Friday, December 29, 2017

মিথ্যাচার প্রসঙ্গে

কেউ কোনো ব্যাপারে এক সময়ে এক কথা বলছে, অন্যসময়ে আরেক কথা তথা মিথ্যাচার/বিদ্রোহ করছে, আঞ্চলিক ভাষাতে পল্টিবাজি, সেটাতে "মিথ্যুক/বিদ্রোহিটি সবসময়ে মিথ্যা ও বিদ্রোহ করার পরিকল্পনা করে এসেছিলো।" এর বিপরীতে এই সম্ভাবনাটিও প্রযোজ্য হতে পারে যে সে আসলে মিথ্যুক ছিলোনা, আগে যে কথাটা বলেছিলো সেটা সেসময়ে সত্য ছিলো, পরবর্তীতে যখন উল্টা কথা বলা হয়েছে, তখন সে উল্টা কথাটি সত্য হবার মতো পরিবেশ হয়েছে।

Thursday, December 28, 2017

মনোজাগতিক পর্যায় প্রসঙ্গে

মনোজগতে মনের গভীরতা ও অগভীরতাভিত্তিক চিন্তাকে id, ego ও superego তে শ্রেনিবিভাগ করা হয় যেখানে id হচ্ছে সবচেয়ে গভীর ও প্রাথমিক চিন্তাগুলো যা জীবের চরম আবেগিয় পর্যায়তে চলে আসে, ego ও superego হচ্ছে পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোনোকিছু চিন্তাতে আনা ও সে চিন্তা আনার কারনত্ব ও বৈধতা আনার জায়গা। জিনিসটার উদাহরন হচ্ছে যে কোনো নির্দিষ্ট ঘটনাতে, একই ঘটনাতে একজন দ্রুতগতিতে ভয়ংকরভাবে খুশি হয়, অপরজন রেগে গালিগালাজ করে, লক্ষ্য করবেন যে গালিগালাজ ও খুশি উভয়ের প্রকাশভঙ্গি তার পরিবেশের ভিত্তিতে পরিবর্তন হয় ভাষা ও প্রকাশভঙ্গিতে কিন্তু উভয়ই আসে অনেক দ্রুত, একরকম স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কোনো চিন্তা ও কাজ যখন id এ কড়াভাবে ঢুকে পড়ে কেবল তখন ঐ কাজটি এভাবে করা সম্ভব এবং সামরিক প্রশিক্ষনের বিভিন্ন খাতে এরকমটাই করানোর চেষ্টা করা হয়, যুদ্ধমুখী আক্রমনাত্মক ট্রেনিঙে রাগসহ/ছাড়া খুন করতে পারা যেটা সৈন্যদের দেয়, স্বল্পতম চিন্তাতে, যুদ্ধমুখী চিন্তামূলক ট্রেনিঙে সর্বোচ্চ কার্যকরী উপায় বের করার চিন্তা মননের id এ ঢুকানো, যেটা জেনারেলদের দেয়। আরো জানতে পারবেন pleasure principle, conscious, subconscious, unconscious এর ব্যাপারে বিশ্বকোষীয় লেখাগুলো পড়লে।

Wednesday, December 27, 2017

ড্রাগন ঘটনা

মিমের জগতে মানুষকে সে হোক নিজেকে বা অন্যকে ড্রাগন হিসাবে উল্লেখ করাটা খুব ভয়ংকর জনপ্রিয় একটা মিম এবং সেটা ফেসবুক আবিষ্কারের আগের সময় থেকে।
ঘটনার সূচনা অক্টোবার ১৭, ২০০৩। সেসময়ে ব্লগজগতে জনপ্রিয় ছিলো ব্লগস্পট ও লাইভজরনাল নামক দুইটা সাইট, ওয়ার্ডপ্রেস তখনো বেটা পরীক্ষনের পর্যায়ে বলে। লাইভজরনালে Starblade নামক এক লেখক ধর্মের ভুয়ামি ধরানোমূলক একটা পোস্ট দিলো, সে পোস্টে সে কি লিখেছিলো তা নিচের লিংকে গেলে পুরোটা ইংলিশে পাবেন।
সারমর্ম হচ্ছে সে দেখিয়েছিলো যে যেহেতু গড/আল্লাহ বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান ও অপ্রমান করা যায়না, সেহেতু নিজেকে আধ্যাত্মিকভাবে ড্রাগন মনে করাটা বা অন্য যেকোনোকিছু মনে করাটাও একইরকম এবং ধার্মিকদের যুক্তি "প্রমান করা যায়না বলেই তা মিথ্যা হয়ে যায়না" টা স্টারব্লেডের "নিজেকে ড্রাগন মনে করাটা" এর জন্যও প্রযোজ্য। সেই পোস্টে যে বিতর্কযুদ্ধ লেগেছিলো, সেখানে ছাগুদেরকে তৎকালিন নাস্তিকরা কচুকাটা করে একটি মিম লাইন দিয়ে, তা হচ্ছে
fuck you, i am a dragon.
পোস্টের তারিখ দেখুন। এবার "এরা মানুষ নয়, এরা ড্রাগন" নামক ২০১৭ মিমটা যেটা তৈরি হয়েছে একজনকে "ফেরেশতারা ও বোরাক আসলে কি" প্রশ্নের জবাবের উত্তরকে স্ক্রিনশট করে, সেটার সাথে তুলনা করে দেখুন।

Sunday, December 17, 2017

ভাষা প্রসঙ্গে-২

ভাষার জগতে ভাষার ব্যবহারপদ্ধতি তথা ব্যকরনে স্থিততাবাদি যাদের মিম করে বলা হয় grammar nazi তাদের সাথে ব্যকরনে পরিবর্তনবাদি যারা ভাষার বিবর্তনের পক্ষে ও তা চায়, তাদের কড়া যুদ্ধ ছিলো ও আছে। স্থিততাবাদিদের যুক্তি হচ্ছে যে স্টার ট্রেক ও ম্যাস ইফেক্টের সিরিজে যেরকমটি দেখাতো কয়েক পর্বে যে কোনো কোনো প্রজাতি অতিদ্রুতগতিতে তাদের ভাষা পরিবর্তন করতো বলে মানুষসহ অন্যান্য জাতির পক্ষে তাদের সাথে যোগাযোগ অনেক কঠিন হতো, সেরকম দৃশ্য বাস্তবের মানবজাতির মধ্যে এড়ানোর জন্য ভাষা নিয়ন্ত্রনের এক কেন্দ্রীয় আধিপত্য বা সরকার দরকার যে নতুন কোনো পরিবর্তন আনবার একমাত্র অধিকার রাখবে ভাষার উপরে। পরিবর্তনবাদিদের যুক্তি হচ্ছে এই পদ্ধতি অনেক ধীর। তবে এগুলোই দুইপক্ষের একমাত্র যুক্তি নয়, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে ব্যবহৃত যুক্তি, অন্যান্যর তুলনায়। মানুষ ভাষা আবিষ্কারের পরে মনের ভাব পরিবহন অনেকাংশে সহজ হয় কিন্তু সেখানে সমস্যা থেকে যায় যে অপরজনকে বারবার এক কথা বলে মনে করিয়ে রাখাটা সমস্যা, বিশেষ করে যদি যিনি কথা মনে করিয়ে দিতে চায়, তিনি যদি জীবিত না থাকে। এজন্য মানবজাতি বুদ্ধিতে বের করলো ছবি চিহ্ন দেখানোর মাধ্যমে মনের ভাব বিনিময় ও সে ছবি চিহ্ন কোনো জায়গাতে তৈরি করে সংরক্ষন করে রাখা। তার ফলে তৈরি হলো প্রথম Writing system যার অংশ হলোHieroglyphics Sign language । তারপরে চিহ্ন লিখার মাধ্যম হিসাবে বিভিন্ন জিনিসের উপরে পরীক্ষা চালানোর ফলে Egyptian Civilization এর লোকরা আবিষ্কার করলো যে Papyrus গাছের রস ও ছাল থেকে কেমন একটা জিনিস তৈরি করা যায় যার উপরে চিহ্ন সহজে দেওয়া যায়, মুছে না সহজে আবার খুব কঠিন না মুছা। তৈরি হলো প্রথম paper. তার পরে মানুষ দেখলো যে বারবার হাতে করে লিখা ও খোদাই করা একটা কঠিন কাজ, চেষ্টা চললো কাজটা স্বয়ংকৃয় করার, Johannes Gutenberg আবিষ্কার করে ফেললো Printing Press, ফলে শিক্ষনজগতের বড় বিস্তার ঘটলো স্বয়ংকৃয় ছাপাতে গনহারে বই বিস্তারের ফলে। বিংশ শতাব্দীর দিকে যখন কম্পিউটার আবিষ্কার হলো, প্রথম কম্পিউটারগুলোতে প্রতিটা প্রোগ্রাম নিজে কোড করে প্রতিবার চালাতে হতো, কোনো সেভ করার অপশন না থাকায় বারবার কোড করতে হতো, চরম ঝামেলা, কম্পিউটার সাইন্সের ছেলেমেয়েরা ভালোমত বুঝে সেভ করতে না পারার ঝামেলা। Jon von Neumann আবিষ্কার করলো Automata theory এর সে অংশগুলো যেগুলোর ফলে কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষন এবং স্বয়ংকৃয় পুনর্লিপি তথা copying সম্ভব হলো। সেটা এবং Ascii System নামক কোড সিসটেম যেখানে কমপিউটারের বাইনারি সিগনালকে ইংলিশ লেখার অক্ষরে প্রদর্শনী করা যায় স্কৃনে, এই দুইটার ফলে ভাষা ও প্রকাশনের খাত অনেক বড় একটা বিস্তার লাভ করলো যার ফলে আজকে আমরা মেমোরি কার্ডে টেরাবাইট পরিমান লেখা জমা করে রাখতে পারছি ও প্রয়োজনে চালু করতে পারছি যেকোনো কমপিউটারে।

এই লেখাতে দেখানো হয়েছে যে ভাষাতে বিবর্তনের পক্ষীয় হলে যে বোধগম্য কথ্য ভাষা অবোধগম্যতে পরিনত হতে পারে তা এবং তার সাথে দেখানো হয়েছে যে তথ্যকে সবচেয়ে সংক্ষেপে সবচেয়ে বেশি প্রচার করানোর জন্য যতরকমের প্রচারনা ও সংরক্ষনচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।

Friday, December 15, 2017

কান্নাকাটি প্রসঙ্গে

প্লেয়ার: আপনি ও অনেক নাস্তিক ব্লগাররা প্রায়ই বিভিন্ন ব্যাপারকে নালিশ করার কিছু একটা সাজিয়ে সেটা নিয়ে অনেক কান্নাকাটি জুড়েন, অতীতের বিভিন্ন ট্র্যাজেডি বারবার ডেকে নিয়ে আসেন পোস্টে কমেন্টে, জিনিসটা কেমন জানি, কিছুটা মেয়েমানুষী গন্ধ পাই, মেয়েলী ছিচকাদুনি।
আমি: ব্যাপার নিয়ে কান্নাকাটি বা মেয়েলিবাজি যেটা আপনি বলছেন, এখানে ব্যাপার হচ্ছে একেকজনের আদর্শ একেকরকম এবং কারোরটা কারোর সাথে ১০০% মিলে না। এখন আদর্শিক বৈপরীত্য, সেটা ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির হোক বা নন-ব্যক্তি সত্তা যেমন রাষ্ট্র, সমাজ, গ্রুপ প্রভৃতির হোক, সেখানে সেটা পেলে সেটা নিয়ে নালিশ জুড়া বা আপনার ভাষায় বললে মেয়েলিবাজি যেটা, সেটা অন্যরা কিজন্য করে, সেটা তাদের মগজের ভেতরে এবং তারা বলতে পারবে সঠিকটা, আমি আমারটা বলি, আমি অতীত ঘটনা যা নিয়ে আসি, সেখানে আমি বলে দেই যে এই নির্দিষ্ট স্মৃতিটার মতো অবস্থা তৈরি করতে হবে এবং ওই নির্দিষ্ট স্মৃতির মতো অবস্থা তৈরি করা যাবেনা, মানে replication factor এ যা আসে আমার দিক থেকে। আপনি যদি সার্বিকভাবে মেয়েলিবাজি অর্থাৎ যেকোনো ব্যাপার পেলেই সেটা নিয়ে নাকিকান্না, নালিশ করা, পোস্ট হ্যাশট্যাগ কমেন্ট চিতকার স্লোগান দিয়ে তার বিরুদ্ধে বলা এই পুরো ব্যাপারটার কথা যদি বলতে চান, ব্যাপারটা হচ্ছে কোনো ব্যাপার পেলে সেটার প্রতি একটা প্রতিকৃয়া জানানোর আদর্শিক ধারা, যেটাকে বলে প্রতিকৃয়াশীলতা, reactionary. আপনার আদর্শ আমি যতটুকু জানলাম এতদিনে, তাতে আপনি তার উল্টাপথের অর্থাৎ tolerancy এর আদর্শিক ধারার চর্চা করেন অর্থাৎ সহনশীলতার, যেখানে আপনি মনে কোনো ব্যাপারের প্রতি কিছু অনুভব করেন না অথবা করলেও সেটা প্রকাশ করেন না, আপনি গেম, অ্যানিমে, ফাস্টফুড, ট্রিপ, ড্রিংক, ড্যান্স, স্পোর্টস প্রভৃতি নিয়ে পড়ে থাকেন। এটা হচ্ছে সার্বিকভাবে reactionary vs tolerancy এর আদর্শিক রাজনীতির একটা ভূমিকাতথ্য। আর সার্বিকভাবে না করে আংশিক নির্বাচনী ভাবে যদি বলতে চান, আমি যেরকম নির্দিষ্ট কিছু ব্যাপারে কথা বলি, normative statement অর্থাৎ কি করা উচিত উচিত না, এরকম বক্তব্য দেই, আরেকজন তার আদর্শের জায়গা থেকে সেটা করে এজন্য এরকম দেখবেন যে আমার মেয়েলিবাজির সাথে তার মেয়েলিবাজি মিলবে না। একই ব্যাপারে সে হাউমাউ কান্না চিল্লাচ্ছে, আমি তাতে চুপ করে থাকছি বা হাসছি।
প্লেয়ার: বুঝলাম। কিন্তু প্রায় সবাই যদি আপনাদের অনেকের মতো সারাক্ষন মেয়েলিবাজি করে, তাহলে কি জীবনের অন্যসব কাজ বন্ধ হয়ে যাবেনা?
আমি: এটা আমার আদর্শের দিক থেকে বড় ব্যাপার এবং এখানে যে ব্যাপারটা কাজ করছে, তা ঐ আদর্শিক ভিন্নতাটাই। দিনে গড়ে ৫ ঘন্টা গেম খেলে আপনার সাথে চ্যাট কিংবা বাস্তবে দেখা করে এসব বলা, তারপরে সেটা থেকে বা তা না থেকে পোস্টের বিষয় তৈরি করা কিংবা অন্যকিছু করা, সেটা আমার আদর্শ, যা আমার মানসিক অবস্থার ফল।

প্যারাডকসিকাল সাজিদ বই লিংক

অবশেষে নিল নিমো পারসে। নাস্তিক কমিউনিটির মাঝে ২০১৪ তে আসা, এসেই একধাক্কায় আমার পাওয়ার লেভেলের কাছে আসা, তারপরে দেখানো যে আমার পাওয়ার লেভেলের চেয়েও বেশি তারটা, তার পাওয়ার লেভেলের উৎস চ্যাটে বলার পরে আমাকে মহা-মহা আনন্দিত করা, সেই নিল নিমো, প্যারা সাজিদকে ছবি তুলে আপলোড করে দিয়েছে।

https://drive.google.com/file/d/0B6vWsXqT8m7KXzNOTVoyN1poblE/view

Sunday, December 10, 2017

সাহিত্য প্রসঙ্গে

চিত্র, শব্দ তথা ইন্দ্রিয়মাধ্যমে অনুভূতি তৈরির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু আবেগ ও চেতনা তৈরির পদ্ধতির সমষ্টিকে সাহিত্য/কলা বলে। art এর বাংলা। বিশ্বের প্রথম কলা থেকে শুরু করে সাহিত্যের মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্মীয়, জীবন জ্ঞান ছড়ানোর ব্যাপারটি বিদ্যমান আছে এবং অর্থধ্যায়নের (hermeneutics) বিষয়ে এগুলো গবেষনা করা হয়। উদাহরন: deus ex নামক গেমে বিদ্যমান অধর্মীয়, বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো, কিভাবে সেখানে রাজনীতি ও উত্তরমানবতাবাদ নিয়ে প্রচারনা হয়েছে।

সাহিত্যের বিভিন্ন ধারা মননের উপরে feedback loop করে এভাবে যে একটা নির্দিষ্ট মানসিকতা থেকে নির্দিষ্ট সাহিত্য (লেখা, ছবি, গেম, অ্যানিমে, মুভি) তৈরি হয়, সেটা আবার সে মানসিকতাকে হয় তৈরিতে নয় ধ্বংসতে সাহায্য করে।

Thursday, December 7, 2017

পার্টনার প্রসঙ্গে

এটা ২০১৩ সালে আমার ফেসবুক প্রফাইল, যার নাম ব্লগের নামে ছিলো, সেটাতে লিখেছিলাম। আজকে তা লেখা হলো স্মৃতি থেকে যতটা সম্ভব।

নাস্তিক কমিউনিটিতে কে কিরকম পার্টনার চায় যৌনভিত্তিক, তা নিয়ে এই ইভেন্টে বিভিন্নজনের এন্ট্রির পাশে আমার এই এন্ট্রিটি।

অবশ্যই নাস্তিক চাই কারন নামাজ, পূজা, চার্চ প্রে যেটাই হোক, সেটা প্রমান ছাড়া অনুভূতি, বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানানো কোনো পার্টনার চাইনা এবং এ নিয়ে দাম্পত্য যুদ্ধগুলোও চাইনা।

নাস্তিক পার্টনারের অন্যান্য আদর্শ কি কি হবে, তার লেখা অনেক লম্বা হবে, এখন যা মনে পড়ছে, ততটুকুই লিখলাম। পার্টনারকে গেম ও অ্যানিমের কড়া ফ্যান হতে হবে, এরকম যে সে গেম খেলবে, অ্যানিমে দেখবে এবং মাঝেমধ্যে তাদের সম্পর্কিত বিভিন্ন background story তাদের উইকিতে পড়বে আর সেটা আমাকে দেখাবে এবং আনন্দের সাথে। তাকে নিয়ে বিভিন্ন কমিকনে ঘুরতে যাওয়া যাবে, তার মুখের ভাষাহবে গালিহীন আঞ্চলিকতা চিবানোহীন formal english এবং আধুনিক ঘরানার পোশাক ও চেহারা, তাকে নিয়ে কমিকনে হাতে হাত ধরে, কোমরে হাত রেখে এবং দুই হাতের উপরে মানে কোলে তুলে বহন করতে চাই। তার সাথে গেম কনটেস্টে গেম খেলতে চাই 1 vs 1. বাইরে থাকা অবস্থায় তার বড় ফোন বা কম্পিউটার বের করে সেখানে কোনো anime/comic related trivia লোড করে দেখাবে, fireworks and laser light show তে ্আমার সাথে থাকবে এবং খুব বাঙ্গাল রোমান্টিক না আবার খুব ফরমাল না এরকম মধ্যম western romantic কথা ও আচরন করবে।

Wednesday, December 6, 2017

মনোজগতীয় চলক প্রসঙ্গে

মানুষসহ কিছু প্রজাতির প্রানি যাদের মগজ বিবর্তিত হয়েছে সরল উচ্ছাসীয় চিন্তা/instinctual thought এর বাইরে জটিল চিন্তাক্ষমতা নিয়ে, সেসব প্রানির মধ্যে বিভিন্ন স্মৃতি, চিন্তা ও তার ফলে সৃষ্ট কর্ম/action কে চালু করা যায় বিভিন্নরকমের আলো, শব্দ, কথা, পরিবেশের দৃশ্য ইত্যাদি দিয়ে। এসব ব্যাপার যেগুলোর মাধ্যমে মনে স্মৃতি চিন্তা এসব চালু করা যায় মানে মগজ চালু করা যায়, সেগুলোকে মনোবিজ্ঞানে বলে মনোজগতীয় চলক বা psychological trigger. বিভিন্নরকমের মনোরোগ যেমন বিষন্নতা, অতিসুখ, post traumatic stress disorder, সন্দেহবাতিকতা (paranoia), আতংকরোগ (panic disorder), রাগ ইত্যাদি তৈরি করার ক্ষমতা যেহেতু বিভিন্ন কথ্যভাষা ও পরিবেশের মধ্যে থাকে, সেহেতু পশ্চিমা বিশ্বে পড়ুয়া জগতে (academics) এ বিভিন্ন বইয়ের পাঠ্যসূচি বা ক্লাস লেকচার শুরুর আগে সেখানে trigger alert/trigger warning বলা হয় যেখানে জানানো হয় যে আপনাদের মধ্যে যাদের উপরোক্ত বা কাছাকাছি কোনোরকম সমস্যা আছে, তারা যেনো পড়াটি পড়তে বা জানতে যাবার আগে প্রস্তুতি নেয় অথবা যেনো ক্লাস ত্যাগ করে। a soldier who saw his comrades burn to death might have intense reactions to the smell of grilling
আমিসহ যত ব্লগার ও ফেসবুকাররা আছে যারা লেখার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য পূরন করানোর চেষ্টা করছে মানুষকে লেখার মাধ্যমে জানিয়ে, তারা এই psychological trigger ব্যাপারটিরই ব্যবহার করাচ্ছে।
এই লেখাটি পড়ার ফলে আপনার মনে যেসব স্মৃতি ও চিন্তা আসছে, সেগুলোর পিছনে এই লেখাটি trigger হিসাবে কাজ করছে।
ক্যাকারট!!

আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রসঙ্গে

অক্টোবার ১৭. ২০১০
ব্লগ আমলের প্লেয়ার Horus Ahmed লিংকে দেওয়া লেখাটি প্রকাশ করে। লেখাটি প্রকাশ ছিলো বাংলা অনলাইনে নাস্তিকদের বড় আকারের বিজয়ের একটি। লেখাটির ফলে বাংলাভাষীরা জানতে পারে যে জগতে জ্বিন ভূত পরী আল্লা ইশ্বরের উপস্থিতির অনুভূতি তৈরির একটি কৃত্রিম যন্ত্র আছে যার মাধ্যমে মসজিদে সারাক্ষন পরে থাকা কড়া ঈমানির অনুভূতিগুলো হোরাসের মত সুপারপ্লেয়ার নাস্তিকের মগজেও তৈরি করা সম্ভব। যন্ত্রটি god helmet/ইশ্বরের শিরস্ত্রান। লেখাটি আমি পড়ি ২০১১ সালের Q3/fall season সময়ে। তারপরে বাংলাভাষী ও ইংলিশভাষী বহু ফোরাম ও চ্যাটরুমে মুসলিম ও খৃষ্টান ছাগুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়ে কাজে দিয়েছিলো গড হেলমেটের লেখাটি।

পাগল প্রসঙ্গে

এটা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দেখা যায় যে প্রতিপক্ষরা অপরপক্ষকে পাগল বা মেন্টাল বা insane লেবেল দেয়, বিশেষ করে টারগেট করে প্রতিপক্ষের নেতাদেরকে। বাংলাভাষী নাস্তিক কমিউনিটির সদস্যদের মধ্যে বড় প্লেয়ার যারা জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতার দিক থেকে, তাদের মধ্যকার যুদ্ধগুলোতে দেখতে পাবেন পরস্পরকে বিভিন্ন মানসিক রোগে আক্রান্ত হবার অভিযোগ ছুড়তে। মানসিক রোগাক্রান্ত আছে কতটা ও কতটা হচ্ছে ভুয়া অভিযোগ সে হিসাব অজানা এবং সঠিক হিসাব বের করা প্রায় অসম্ভব। কারনটি এরপরের লাইন থেকে শুরু। ঘটনা হচ্ছে যে মানুষকে পরিবেশে চারপাশ থেকে তাকে যে আদর্শ শিখানো হয়, বিশেষকরে এভাবে যে সে আদর্শই সব এবং সেটাই তাবৎ জগত তথা omniverse এর জন্য মঙ্গলজনক, সেটার প্রতি তখন সে নেশাগ্রস্ত হয়ে উঠে (মুমিনদের নামাজ ও সওয়াব নেশা দ্রষ্টব্য) যেটাকে মানুষ বলে obsessive compulsion রোগ, কিন্তু এই উদাহরনে তার নেশাটি কতটুকু আদতে রোগ ও কতটুকু আদর্শের সৃষ্টি?
এরপরে মানসিক রোগ ও রোগের চিকিতসার প্রসঙ্গে, বিশ্বের ইতিহাসে শিকার শিকারী যুগ থেকে আদর্শিক অমিলে আদর্শের অনুসারীদেরকে পাগল নামে রটিয়ে দিয়ে তাকে নেতৃত্ব থেকে সরানো, তার আদর্শকে পাগলামি লেবেল দিয়ে তা থেকে মানুষকে সরানো ও তার চিকিতসার নামে তাকে আটকানো ও মেরে ফেলা পর্যন্ত খুব জনপ্রিয় এবং ভয়ংকর একটি মিলিটারি কৌশল। ইতিহাসসহ বিস্তারিত জানতে পড়ুন https://en.wikipedia.org/wiki/Antipsychiatry এবং https://en.wikipedia.org/…/Controversy_surrounding_psychiat…
এসব কথাকে ফরমাল গবেষনা আকারে প্রকাশনার জন্য communist দের কাছে আবার jacques lacan, michael foucault, erving goffman, thomas szasz জনপ্রিয় the four horsemen of the antipsychiatric apocalpyse হিসাবে। তবে আবার কমিউনিস্ট বা সমাজতান্ত্রিকরা বিরোধী আদর্শের নেশাগ্রস্ত অনুসারীদেরকে পাগল নামে রটিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে মানসিক হাসপাতাল গারদে আটকানোতে সবচেয়ে পারদর্শী ছিলো। দেখুন https://en.wikipedia.org/wiki/Political_abuse_of_psychiatry এবং https://en.wikipedia.org/…/Political_abuse_of_psychiatry_in…
তাহলে যাদের আচরনে আমরা পাগলামি দেখছি বলে মনে করছি, তারা কি তাহলে? যে লোকগুলো তাদের মুমিনত্ব, জাতীয়তাবাদ, সাংস্কৃতিক বিশুদ্ধতাসহ বহু আদর্শকে কায়েমের জন্য রাস্তার পাগলের টাইপের পাগলামি করছে, কমের মধ্যে মজা লুটা হে হে হু হু হি হি বাজি সাথে গালিগালাজ ও বেশির মধ্যে রাস্তাতে আক্রমন ও ভাংচুর, তারা তাহলে কি? সেক্ষেত্রে বড় রকমের সম্ভাব্য উত্তর হচ্ছে যে তারা পরার্থপর (altruistic) তবে altruistic in their own ways. এই জিনিসটা ভালো করে বুঝবেন বিনোদনের মাধ্যমে যদি mass effect 3 নামক গেমটি খেলুন। পুরো ম্যাস ইফেক্ট সিরিজের ঘটনা ও তার সমাপ্তি হচ্ছে তাদের ইউনিভার্সে রিপার নামক এক জীবপ্রজাতির "পাগলামি" ঠেকাতে মানবজাতি ও আরো কয়েক এলিয়েন জীবপ্রজাতির সম্মিলিত যুদ্ধচেষ্টা। রিপাররা জগতের তাবতের উপকার ও সুখ চায়, জগতের সকল জীব সুখি হোক। কিন্তু সুখি হওয়াটা ও সুখটা হবে রিপাররা তাদের মনে যেটাকে সুখ হিসাবে দেখে, সেটাকে। এজন্য তারা সবকিছুকে জিনেটিকালি এসেম্বল করে রিপার প্রজাতিতে পরিনত করে, নিজেদের মতো করে সবার জিন বানিয়ে ফেলে যাতে করে আর কেউ মুক্তভাবে চিন্তা মানে freethinking করে অনেক কিছু চিন্তা করে তাদের দৃষ্টিতে "পাগল" হয়ে যেতে না পারে। সেটাকে ঠেকানো হবে নাকি বাড়তে দিয়ে জিততে দেওয়া হবে, সেটা হলো mass effect 3 এর বহু সমাপ্তিদৃশ্যের অংশ। রিপারদের এটার সাথে আশেপাশের কোন "পাগল বলে রটানোদের মিল পান?"
সারমর্ম: যেসব লোক আপনাকে ও আপনার পছন্দের আদর্শের অনুসারীদেরকে পাগল বলে রটাচ্ছে ও মানসিক চিকিতসার সাজেশন দিচ্ছে, তারা কি আদতে আদর্শটি ঠেকানোর জন্য আপনাকে ও আপনার আদর্শের ব্যক্তিদের মূল্য কমাতে পরিকল্পনা জেনেই এরকম বলছে নাকি না জেনে বলছে? চিন্তা করে দেখুন।

ব্যঙ্গ প্রসঙ্গে

বিশ্বব্যাপী নাস্তিকদের মধ্যে মজালস ট্রল ব্যঙ্গকারী গ্রুপদের সাথে সিরিয়াস বিতর্ক গ্রুপদের সম্পর্ক কোপানির। কোপাকুপিতে সিরিয়াস গ্রুপদের কমন অর্থাৎ বহুজনের মুখ থেকে দেওয়া একই যুক্তি হচ্ছে
বিবর্তনীয় ধারাতে ইতিহাসের একটা বড় divergence বা ভাংগুরাংশ যে মানবজাতির মনোজগতে সিরিয়াসনেস হিংস্রতা নির্দয়তা vs মজানেয়তা নরমতা দয়ালুতার বিভাজন ঘটে। স্যাপিয়েন্স প্রজাতির আমল শুরু হবার কিছু শতখানেক বছর পরে। এটা মানুষসহ খুব অল্প কিছু প্রজাতির মধ্যে দেখা যায় যে তারা নিজ প্রজাতির মধ্যে উপপ্রজাতি করে নিজেদের শিকার করে। আরো সহজ করে বললে, পিছে লাগা ও যুদ্ধ লাগানো।
মানুষসহ সেসব প্রানি প্রজাতি কখনোই প্রকাশ করেনা যে তারা কি ক্ষতির ধান্দাতে আছে নাকি না।
সেজন্য বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের আবিষ্কার বলে যে বিবর্তনের ফলে মানুষসহ কতিপয় প্রানির মগজে এটা তৈরি হয় যে তারা যার মধ্যে হিংস্রতা ও সিরিয়াসনেস দেখবে, তাকে বেশি মান্য করবে।মন অটো তা চালু হয়।
এজন্যই কমেডি শো গুলোতে যত বেশি সম্ভব "হে হে হো হো লু লু" টাইপ লোক ডাকা হয় কিন্তু মিলিটারি, হেভি ইনডাস্ট্রির পেশা যেমন ট্রেন বিমান ইনজিনিয়ারিং, স্পেস ইনজিনিয়ারিং, এসবে ডাকা হয় যতটা সম্ভব সিরিয়াস রোবট মানুষ এবং তারপরেও তাদেরকে কড়া ট্রেনিং দেওয়া হয় যেনো মনে একটুর জন্যও মজা লস হে হে মানসিকতা একদমই তৈরি যাতে না হয়।
এজন্য নাস্তিকদের সিরিয়াস গ্রুপের সদস্যরা মরনপর্যন্ত কিবোর্ড, কলম ও মাইক দখলে রাখতে মরিয়া বিতর্ক করতে। কোনো ট্রল না, মিম না, মজা লওন না, ব্যঙ্গ না, খোচা না। কেবল অপরপক্ষকে দেখানো যে তার ভুল কই, তার সমস্যা কই। যতবেশি তথ্য দেওয়া যায়।
এখানে শুরু হয়ে যায় মজালস গ্রুপের হামলা অথবা সিরিয়াস গ্রুপের হামলা। নিজপক্ষকে "ধ্বংস" করা ঠেকাতে প্রতিপক্ষ, মজালস গ্রুপের কাছে সিরিয়াসরা প্রতিপক্ষ, সিরিয়াসের কাছে মজালস, প্রতিপক্ষের সাথে যুদ্ধ লাগায়।

জঙ্গিবাদ বিস্তারে নাস্তিকদের সহায়তা প্রসঙ্গে-২

২০১২ সালে বাংলাভাষি নাস্তিকদের একটা সম্মেলন হয়েছিলো। সে সম্মলনে বিষয় ছিলো নাস্তিকতা বিজ্ঞানবাদ মুক্তচিন্তা বিস্তারের জন্য বই কাগজে লিখে সেটা বইমেলাতে প্রকাশ করে সেটার প্রফিট থেকে প্রচারনার ফান্ড চালানো। আমি সেখানে যে বক্তৃতাটা দিয়েছিলাম সবার সামনে সেটা আজও প্রযোজ্য এবং এখানে দেওয়া হলো
আপনারা মনে করেন যে আপনারা যারা "বিজ্ঞান ও ধর্ম" "আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী" "বিশ্বাসের ভাইরাস" "বিবর্তনের পথ ধরে" টাইপের বইগুলো কাগজে তৈরি করে বিক্রির মাধ্যমে ছড়াতে চাইছেন, তারা মনে করেন যে মানুষ এসব বইয়ের নাম ও লেখকের নাম দেখলে কুরান হাদিস তাফসির মকসুদুল মুমিনিন টাইপ বইয়ের মতো গনহারে কিনবে ও বাচ্চাদের জোর করে পড়াবে। একদমই না, উল্টা প্রকাশনাতে ও বইমেলাতে ভাংচুর হামলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। শহরের মডার্ন ইসলামিক (ছাগু শব্দের ব্যবহার তখনো শিখিনি) এবং গ্রামের ইসলামিকরা দলবেধে আসবে লেখককে খুজতে ও বই ধ্বংস করতে, তখন কি দিয়ে আপনারা প্রচার করবেন? আমি নিজে ও অনেকে নাস্তিক হয়েছে কাগজের বই কিনে না, নেট থেকে, নেটের জগতে ফ্রিতে লেখা প্রচার হয়, সেটা পড়ে এতকিছু জানা, আপনারা যদি নাস্তিকতা বিজ্ঞানবাদের বই দিয়ে ধান্দা for profit করতে চান, ৩৫০ বছর অপেক্ষা করুন কমপক্ষে, এখন ইসলাম অনেক বেয়াড়া এবং সবাইকে কুপায়ে পুরো পৃথিবীকে অরবিট থেকে চ্যুত করে হলেও নিজেকে কায়েম করানোর চেষ্টা করবে, যদি না আমরা নিজেদের টাকা খরচ করে ফ্রিতে কাগজের বই ও নেটে লেখা বিতরন না করি।
তাই বই নিয়ে ধান্দাবাজি বন্ধ হোক immediately.
২০১২ এর পরে যেসব নাস্তিকরা এই বক্তৃতার জন্য আমাকে শত্রু বানিয়েছিলো, ২০১৫ এর পরে তারা সব কেদে একাকার এবং শেষপর্যন্ত সব ফ্রিতে ছাড়লো নেটে।
TOO
BLOODY
LATE

জঙ্গিবাদ বিস্তারে নাস্তিকদের সহায়তা প্রসঙ্গে

ইসলামি জঙ্গিবাদ বিস্তারে সহায়তা করার জন্য ইসলাম যে ভুয়া ও মিথ্যা, সেটা প্রচার না করে ও সে প্রচার হতে না দিয়ে কেবল কোরবানির টাকা কোরবানিতে না দিয়ে সেটা বন্যা বা গরীব বা অন্যখাতে ব্যয় করতে বলা হচ্ছে। তাদের প্ল্যানটা ত্রুটিমুক্ত এই পর্যন্ত যে এরকম প্রচারনা দেখলে মুসলিমরা খেপবে, খেপে ইসলামি প্রচারনা বাড়াবে ও সে বাড়ন্ত প্রচারনাতে আরো মুসলিম জঙ্গি তৈরি হবে যারা তাদের মিথ্যাচারকে সত্য আরো কড়াভাবে মনে করবে এবং অস্ত্র হাতে যুদ্ধ লাগাবে। জঙ্গি ধরার আগে যারা কোরবানির টাকা অন্যখাতে দান করতে বলছে, তাদেরকে ধরা দরকার যে তারা জামাত ও হিজবুত থেকে কি পরিমান পেমেন্ট ও ক্ষমতার বিনিময়ে এভাবে জঙ্গিত্ব বিস্তারে সাহায্য করছে।

ভাষা প্রসঙ্গে

মানুষ প্রজাতির মধ্যে মনের কথা পড়ার বৈশিষ্ট্য না থাকায় কোনো কথা কাজ কি অর্থে বলা ও করা হয়, তা নির্ণয় বড় মাত্রায় অস্পষ্ট ৷ jacques derrida এর deconstruction নিয়ে গবেষনা এই ব্যাপারটা বেশি করে দেখিয়ে দিয়ে তাকে বিখ্যাত করেছে ৷

জীবনসঙ্গি প্রসঙ্গে

ইনবক্সে আগত প্রশ্ন: আমরা যারা অবিশ্বাসী আছি, আমরা কীভাবে আমাদের মত জীবনসঙ্গী পাবো? এটা একটা সমস্যা।
উত্তর বড় পোস্ট এবং এটা সেটা। নিচে পড়া শুরু করুন।
পৃথিবীতে মানবজাতির আদিযুগ থেকে সঙ্গিনির্বাচন ও বংশরক্ষা খুব ভয়ংকর একটি প্রতিযোগিতার ব্যাপার ছিলো এবং ধর্মগুলোর তৈরির পিছনে একটা বড় ফ্যাক্টর ছিলো অলীকের ভয় দেখিয়ে পরিবার ও বংশরক্ষা।
এই হিসাবে অবিশ্বাসীরা সবসময়ে পিছিয়ে ছিলো সঙ্গী নির্বাচন ও রক্ষাতে যে তাদের সঙ্গীরা ধর্মভিত্তিক নির্ভরশীলতার জায়গা থেকে
পরিবার গঠন করতো না বলে তাদের পরিবার কম টিকতো ও টিকে।

কিন্তু মিথ্যা দিয়ে বেশিকাল চলা যায়না কারন তথ্যপ্রবাহের গতির উপরে নির্ভর করে মিথ্যা ধরা খায়। যেহেতু পৃথিবীবহির্ভূত নেটওয়ার্ক বা extranet এখন নেই, পৃথিবীর ভেতরে internet দিয়ে সহজে তথ্য পরিবহন করা যায় আলোর গতিতে, তাই মানবজাতির মধ্যে মিথ্যা ছড়ানো ও ধরা, এই দুইটা এখন অনেক সহজ হওয়ায় ধর্মের মিথ্যা ধরে ফেলা যায়। ফলে ধর্ম উধাও হয়ে যাচ্ছে। তো এখন পরিবার তৈরি ও রক্ষন কি নিয়ে হবে? সেই পলিসির প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত এবং মতের পার্থক্যগত যুদ্ধ নিয়ে ঘটে ঝগড়া ও ভাংগন।
এখন তাহলে জীবনসঙ্গী কিভাবে পাবো? প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর হচ্ছে প্রায় অসম্ভব। জীবনসঙ্গী খোজা তথা ডেটিং, সেটার রেজিস্ট্রিকরন তথা বিবাহ, সংসারকরন তথা family matters এসবে নাস্তিকদের সংখ্যাগতভাবে ~৬৪% (বামপাশের ~ চিহ্নটি দিয়ে প্রায় কথাটা বুঝায়) এর বিকর্ষন আছে এবং তাদের এক বড় অংশের বিকর্ষনটা তৈরি পরিবারগত ও যৌনগত ব্যাপারে মতভেদের ফলে। একপক্ষ আধুনিক ডিস্কো গেমার টাইপ, অপরপক্ষ রাবীন্দ্রিক বা ইউরোক্ল্যাসিকাল, লেগে গেলো ফাইট। এরপরে আছে নারীবাদ অর্থাৎ feminism ব্যাপারে নারীবাদি অর্থাৎ feminist দের মধ্যকার মারামারি এই ইস্যুতে। একপক্ষ বলে প্রেম ভালোবাসা সব মিষ্টি এবং স্বাধীনতার স্মারক, আরেকপক্ষ বলে তা পুরুষতন্ত্রের চাপানো ষড়যন্ত্র।

Thursday, November 16, 2017

বিজ্ঞান কি?

ধার্মিকরা গালভরা যুক্তি (!) দেয় বিজ্ঞান এত কিছু পারে তাহলে - জীবন সৃষ্টি করতে পারেনা কেন? বিজ্ঞান কেন মৃত্যু রোধ করতে পারে না? আরেকটা কোরান তৈরী করে দেখাতে পারেনা কেন? এই শ্রেণীর জ্ঞানীরা (!) আল্লাহর অসীম ক্ষমতার কাছে বিজ্ঞান নস্যি তা বোঝাতে বলে থাকে - এসব চন্দ্র সূর্য গ্রহ কে সৃষ্টি করেছে?(সৃষ্টির ঘটনা আদৌ ঘটে থাকলে তো) কোরান গবেষণা করেই আধুনিক বিজ্ঞান অগ্রসর হয়। বিজ্ঞান যা বলে কোরান তা ১৪০০ বছর আগে বলে দিয়েছে।
যুক্তিহীন এই মানুষগুলি "বিজ্ঞান বনাম কোরান" প্রশ্নে প্রায়ই যে ভুলটা করে থাকেন তা হচ্ছে বেলতলা (বিজ্ঞান) আর খাটেরতলা (ধর্ম) - এই দুইয়ের মধ্যে যে তুলনাই চলেনা সেটা বুঝতে না পারা। প্রকৃত অর্থে বিজ্ঞান কি তা বুঝতে না পারার ব্যর্থতা। কেন বেলতলাকে বিজ্ঞান আর খাটেরতলাকে ধর্মের সাথে তুলনা দিলাম সে প্রশ্নে পরে আসছি। কেন বিজ্ঞান আর কোরানের তুলনা চলেনা সহজভাবে আগে সেটাই বলি।
কোরান একটি গ্রন্থ বা বই। বিজ্ঞান কোন বই নয়, একটি বিষয়। 
কোরান ধর্ম ভিত্তিক। বিজ্ঞানের ভিত্তি গবেষনা। 
কোরান বিশ্বাস ভিত্তিক। বিজ্ঞান প্রমাণ ভিত্তিক (বিশ্বাস দিয়ে বিজ্ঞান চলে না)। 
কোরান চ্যালেঞ্জ করা নিষেধ। বিজ্ঞান চ্যালেঞ্জ করা যায়।
কথায় আছে ন্যাড়া একবারই বেলতলা যায়। কৌতুক করে বলা হয় ন্যাড়া দুইবার বেলতলা যায় - দ্বিতীয়বার যায় বেল কুড়াতে। বিজ্ঞান এই বেলতলা। ন্যাড়া বা বিজ্ঞানীরা বারবার বেলতলায় ফিরে বিষয়ের মূলে যেতে। যেমন মহাকাশ বিজ্ঞান। কোটি কোটি টাকা এবং মানুষের জীবনদান - এরপরেও থেমে নেই মহাকাশ বিজ্ঞান। অন্যদিকে রাতে না ঘুমিয়ে ট্যাঁ ট্যাঁ করে যে বাচ্চা কেঁদেই চলেছে তাকে বললেই হয় "চুপ করো নাহলে খাটের তলা থেকে বাঘ-ভাল্লুক ভূত-রাক্ষস দৈত্য-দানব এসে কামড়াবে"। বাচ্চা চুপ। শান্তির ঘুম। নামাজ পড়ো, রোজা রাখো নাহলে কবরে শাস্তি, আখিরাতে শাস্তি। সুতরাং নামাজ পড়ে মানসিক শান্তির ঘুম!
জীবন দান বা মৃত্যু প্রতিহত করা বিজ্ঞানের কাজ বলেই বিজ্ঞানের জোরে এত ওষুধ আবিষ্কার। মুসলমান দেশগুলোতে ৭০ এর দশকে ওষুধের সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট প্রায় হবার সময়ে দেশগুলোর নেংটা হয়ে কান্না দ্রষ্টব্য। তার সাথে কেন জীবনের সৃষ্টি হয়, কিভাবে প্রাণের সৃষ্টি হয় সেই জ্ঞান গবেষণাই বিজ্ঞান। আরেকটা ধর্মগ্রন্থ তৈরী বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য নয়, বরং কোরানে যা আছে রয়েছে তা কতটা সত্য, যৌক্তিক তা যাচাই করে কোন একটি সিধান্তে পৌঁছানোই বিজ্ঞান। কেউ বলে দিলো মৃত্যুর পর আছে পরকাল। মহাম্মদ বলে দিলেন কোরান তার উপরে নাযিল হওয়া খোদার বাণী। মহাআহম্মকের মত তা বিশ্বাস অবিশ্বাস কোনটাই না করে গবেষণার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোই বিজ্ঞান।
আল্লাহর অস্তিত্ব আছে অথবা আল্লাহর অস্তিত্ব নেই প্রমাণ সাক্ষ্য ছাড়া যেকোন একটি বেছে নেয়া বিজ্ঞান নয়। এই মহাবিশ্ব কেউ তৈরী করেছে কি করেনি তা নিয়ে গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানের কাছে এই মুহূর্তে এর চূড়ান্ত কোন উত্তর নেই ঠিকই কিন্তু একসময় তা হয়ত পাওয়া যাবে। হয়ত যাবেনা। পঞ্চাশ বছর আগে তো বিজ্ঞান ছিল তাহলে ল্যাপ্টপ, মোবাইল, ফেইসবুক ছিল না কেন? এখন কেন আছে? কারণ বিজ্ঞান একটি চলমান প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি। এই পৃথিবী চন্দ্র সূর্য কিভাবে হল এর উত্তর এখন নেই মানে এই নয় যে মনগড়া কাল্পনিক এক রাম ভগবান ঈশ্বর আল্লাহ তৈরী করে প্রমাণ ছাড়াই বলে দিলাম সবই আল্লাহর সৃষ্টি আর ব্যস হয়ে গেল উত্তর - বিজ্ঞান তা সমর্থন করেনা। বিজ্ঞান চায় প্রমাণ। এখানেই বিশ্বাস বা ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের মূল পার্থক্য!

Tuesday, November 14, 2017

আইনস্টাইনের ধর্ম ও ইশ্বর প্রসঙ্গে

আপনাদের কি মনে পড়ে যে ধর্মীয় জঙ্গিরা, বিশেষ করে ইসলামিগুলো মানে ছাগুরা যে আইনস্টাইনের একটা quote বা উক্তি স্প্যাম করে ধর্মকে বাচাতে, সেটা হচ্ছে
science without religion is lame, religion without science is blind.
মনে পড়ে?
তো এই উক্তিটি আইনস্টাইন আসলে কি বুঝাতে বলেছিলো, তার আগে পরে কি আছে?
জাকির নায়েক OUT OF CONTEXT QUOTING কথাটিকে জনপ্রিয় করেছিলো, কিন্তু তার কথা তার প্রজাতির উপরে একদিন এভাবে ব্যবহৃত হবে, সেটা কি সে ভেবে গিয়েছিলো।
খেলা শুরু
3
.
.
.
.
2
.
.
.
.
1
.
.
.
.
.
.GO
.
.
.
.
.
Now, even though the realms of religion and science in themselves are clearly marked off from each other, nevertheless there exist between the two strong reciprocal relationships and dependencies. Though religion may be that which determines the goal, it has, nevertheless, learned from science, in the broadest sense, what means will contribute to the attainment of the goals it has set up. But science can only be created by those who are thoroughly imbued with the aspiration toward truth and understanding. This source of feeling, however, springs from the sphere of religion. To this there also belongs the faith in the possibility that the regulations valid for the world of existence are rational, that is, comprehensible to reason. I cannot conceive of a genuine scientist without that profound faith. The situation may be expressed by an image: science without religion is lame, religion without science is blind.
সাইন্স উইথআউট এর আগের লাইনগুলো পড়ুন। "science can only be created by those who are thoroughly imbued with the aspiration..........." বিজ্ঞান কেবল তৈরি হতে পারে কেবল তাদের দিয়েই যারা সম্পূর্নভাবে ডুবে আছে সত্যকে খুজার নেশা/চেতনাতে........................
this source of feeling, however, springs from the sphere of religion. এই অনুভূতির উৎস যদিও, ধর্মের "জগত" থেকে উঠে আসে।
খেয়াল করে দেখবেন যে এখানে বলা হয়েছে ধর্মের জগত থেকে উঠে আসা "সত্য খোজার চেতনা" কে, কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের নাম উচ্চারনই হয়নি, ১৪০০ বছর আগের বর্বর খুন ধর্ষনপ্রিয় আরব জাতির ফ্যান্টাসি ধর্ম তো নয়ই।
আঘাত শেষ?
NO
এবার part 2
Though I have asserted above that in truth a legitimate conflict between religion and science cannot exist, I must nevertheless qualify this assertion once again on an essential point, with reference to the actual content of historical religions. This qualification has to do with the concept of God. During the youthful period of mankind's spiritual evolution human fantasy created gods in man's own image, who, by the operations of their will were supposed to determine, or at any rate to influence, the phenomenal world. Man sought to alter the disposition of these gods in his own favor by means of magic and prayer. The idea of God in the religions taught at present is a sublimation of that old concept of the gods. Its anthropomorphic character is shown, for instance, by the fact that men appeal to the Divine Being in prayers and plead for the fulfillment of their wishes.
Nobody, certainly, will deny that the idea of the existence of an omnipotent, just, and omnibeneficent personal God is able to accord man solace, help, and guidance; also, by virtue of its simplicity it is accessible to the most undeveloped mind. But, on the other hand, there are decisive weaknesses attached to this idea in itself, which have been painfully felt since the beginning of history. That is, if this being is omnipotent, then every occurrence, including every human action, every human thought, and every human feeling and aspiration is also His work; how is it possible to think of holding men responsible for their deeds and thoughts before such an almighty Being? In giving out punishment and rewards He would to a certain extent be passing judgment on Himself. How can this be combined with the goodness and righteousness ascribed to Him?
পুরাটা পড়তে না পারলে এই লাইনগুলো দেখুন
//This qualification has to do with the concept of God. During the youthful period of mankind's spiritual evolution human fantasy created gods in man's own image, who, by the operations of their will were supposed to determine, or at any rate to influence, the phenomenal world. Man sought to alter the disposition of these gods in his own favor by means of magic and prayer. The idea of God in the religions taught at present is a sublimation of that old concept of the gods.//
আদিম যুগের আদিম কল্পনা থেকে মানুষ, মানুষের ইমেজ তথা মনোচিত্রে গড বা ইশ্বরগুলো বানিয়েছে (note the plural number, সে এক ইশ্বর বলেনাই)। বর্তমান ইশ্বরের যে আইডিয়া ধর্মগুলোতে শিখানো হয়, সেগুলো সে আদি ইশ্বরগুলোর sublimation মানে পাতিত অবশিষ্টাংশ।
//Nobody, certainly, will deny that the idea of the existence of an omnipotent, just, and omnibeneficent personal God is able to accord man solace, help, and guidance; also, by virtue of its simplicity it is accessible to the most undeveloped mind. But, on the other hand, there are decisive weaknesses attached to this idea in itself, which have been painfully felt since the beginning of history. That is, if this being is omnipotent, then every occurrence, including every human action, every human thought, and every human feeling and aspiration is also His work; how is it possible to think of holding men responsible for their deeds and thoughts before such an almighty Being? In giving out punishment and rewards He would to a certain extent be passing judgment on Himself. How can this be combined with the goodness and righteousness ascribed to Him?//
আনডেভেলপড মাইন্ডের জন্য সর্বক্ষম সর্বজ্ঞানী ইশ্বর? তাও যদি সম্ভব হয়, সেটার জন্য মানুষকে দায়ি করা যাবেনা, এই কথা বলছে আইনস্টাইন।
FATALITY!
.
.
.
.
.
.PERFECT!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
YOU WIN!!!

Wednesday, November 1, 2017

অ্যাজাইলাম, ট্রিট ও ফান্ড প্রসঙ্গে

নাস্তিকতা বিজ্ঞানবাদ মুক্তচিন্তা নিয়ে অ্যাসাইলাম ব্যবসা বা বিদেশে ভিসার ধান্দার অভিযোগ নতুন না এবং ছাগুরা এটার উদ্ভাবক ও প্রচারক। পরবর্তীতে বিভিন্ন নাস্তিক গ্রুপ এই ব্যাপার নিয়ে প্রচার শুরু করে। তবে এটা চিন্তা করবেন যে অ্যাসাইলাম ব্যবসার বীজ রোপন হয় যেদিন নাস্তিকতা মুক্তচিন্তা বিস্তারের জন্য এক লোক আরেক লোককে বন্ধু বানিয়ে চা ট্রিট করে। সূচনা।
প্রথমে চা, তারপরে চা থেকে বিস্কুট, তারপরে বিস্কুট থেকে কেক, তারপরে তা থেকে ফাস্টফুড ও চাইনিজে আপগ্রেড, তারপরে সেখান থেকে বারে আপগ্রেড।
উল্লেখ্য যে অ্যাজাইলাম ব্যবসা ও ট্রিট ব্যবসা নিয়ে নাস্তিকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে।

Wednesday, October 18, 2017

নাস্তিক দিয়ে নাস্তিক কোপানো সমাচার

https://www.facebook.com/nahida.akhter.1426/posts/175085133035252

এই পোস্টটা এখন দেখার আগে নাহিদার সাথে ইনবক্সে যে আলাপটা হয় সেটা করার পরে পোস্টটা দেখে বুঝলাম যে এখন ইস্যুটা নিয়ে একটা পাবলিক এলার্ট পোস্ট করা দরকার তাই আজকে নাহিদার সাথে যা কথা হলো, সেটা এবং গত ৬ বছর ধরে আমি যা বলে এসেছিলাম সেটা প্রকাশ করা দরকার জনসম্মুখে। যা হয় হোক কারন আদর্শ থেকে পিছু হটা আমার আদর্শ না।
ঘটনা হচ্ছে যে নাস্তিকতা বিজ্ঞানবাদ দর্শন জীবনধরন ধর্ম প্রভৃতি "জ্ঞানের শাখা" বিস্তারের জগতটা যেটাকে অনেকে দেখে মনে করতো "কি সুন্দর বই পড়ুয়া জ্ঞানী লোকজন সুন্দর আচরন হবে" বলে মনে করতো, সেটা আসলে আন্তর্জাতিক রাজনীতির জগত এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিভিন্ন খাতের মধ্যে ভয়ংকরতম এটা, the intelligence sector. ফেসবুক তৈরির বহু, বহু বছর আগে, ৮০ এর দশকের ইউজনেট আমল থেকে, বিভিন্ন জ্ঞান তথ্য আদর্শের ব্যাপারে বিতর্ক যেগুলো চলতো নেটে, সেগুলোতে দেশি ও বিদেশি একাধিক সরকার ও বেসরকারি গ্রুপ ও ব্যক্তিত্ব জড়িত আছে একাধিক লক্ষ্য নিয়ে এবং তাদের মধ্যকার "emperor vs king war" এর অংশে টাকা দিয়ে পেইড সৈন্যের বাইরে "বোকা চেংড়া পোলাপান" ভাড়া করে যাদেরকে মনে করানো হয় যে আপনি যেটার জন্য লড়ছেন সেটাই সঠিক এবং ওটা ধ্বংস হয়ে গেলে the whole universe is going to die (ভেজিটার ভয়েস হবে এখানে)। জিনিসটাতে আন্তর্জাতিক গ্রুপগুলোর বড় রকমের আগ্রহ তৈরি হয় ৯৮ এর ওকলাহোমা বোমা হামলা ও ৯৯ এর কলামবাইন শুটিং এর পরে যখন তারা দেখে যে খুনি হামলাকারীরা নেট জগত থেকে অনুপ্রানিত এবং নেটে কি কি ধরনের লিখা ইংলিশে লিখা হতো। বাংলাভাষীদের জগতে ইন্টারনেটে প্রথম দিকের ব্যবহারকারীগুলো জামাতপন্থি ইসলামি (জামাত গ্রুপকে অন্য মুসলিম গ্রুপরা দেখতে পারেনা, হেফাজত ইসলাম জামাতের mortal enemy) হওয়ায় তাদের দখল বড় আকারে আসে প্রথম দিকগুলোতে, যেটার একটা বড় ধাক্কা আসে ২০১১ সালে আমেরিকার কয়েকটা জায়গাতে ইসলামিক রায়ট বাজানোর চেষ্টা করে ছাগুরা, যে ছাগুদের "আদর" করার মাধ্যমে জানা যায় যে তারা ইসলামি ছাত্রশিবির ও জামাতের বাংলা লেখা দিয়ে অনুপ্রানিত, বাংলাভাষি মুসলিমরা শিবিরের কথাগুলো ইংলিশে অনুবাদ করে অন্যকিছু মডারেট ছাগুদের কড়া বানিয়ে রায়টিং। সেটা আমেরিকার আমর্ড ফোর্সের এক অংশকে আগ্রহি করে আমাদের ভাষার ছাগুদের প্রতি এবং এক কান থেকে এক কান হয়ে পেনটাগন পর্যন্ত যায় বাংলাভাষী ছাগুদের ছ্যাংড়ামি। ছ্যাংড়ামির উপরে নজরদারি ও প্রতিরোধবাহিনি মানে resistance force এর ঝাল আরো শক্তিশালি হয় ২০১৭ সালে প্যারাডকসিকাল সাজিদ স্ক্যান্ডালের পরে, যেটা নিয়ে পশচিমে এই ছাগুরা হামলা করতে গিয়েছিলো বিভিন্ন এলাকাতে।
ছাগুরা এরকম করতে পারে ও করেছে। নাস্তিক ব্লগাররা কি তা করতে পারে? উত্তর হ্যা, পারতো এবং এখনো পারে। কিভাবে? একেক ব্লগারের একেক আদর্শ আছে এবং সে আদর্শ তারা পুরো মাল্টিভার্স মানে যত ইউনিভার্স আছে, সবগুলোতে কায়েম করতে চায়। দেবাশীষ ও সৌরভদের আন্তর্জাতিকতাবাদ দেখুন, তারা চায় বরডার নাই করে সব উন্মুক্ত করে দিতে। উন্মুক্ত বর্ডার নিয়ে stormfront , above top secret প্রমুখ ফোরামে পক্ষবিপক্ষ তর্ক থেকে অস্ত্রহাতে রায়ট হয়েছে, ২০১০ থেকে ১২ তে। পৃথিবীতে একাধিক যে রাষ্ট্র, একেকজনের একেক ইন্টারেস্ট এবং একই জিনিস এক দেশ চায়, আরেকদেশ ঠেকাতে চায়। চাওয়া ও ঠেক চাওয়া, দুই পক্ষই তাদের সম্পদ ব্যবহার করেছে ও করছে প্রচুর পরিমানে সৈন্য তৈরি করতে যা দিয়ে তারা অপরপক্ষকে নাই করে দিবে এবং এ কাজে hollow point bullet সহকারে পিস্তল নিয়ে যুদ্ধে লোক পাঠানোর চেষ্টা করে, যদি তা না পারে, তবে খালি হাতে। ছবিরহাট থাকা অবস্থায় ছবিরহাটের মারামারিগুলো বড় উদাহরন, আজিজ মার্কেটে চাকু হাতে "কবি" "লেখক"দের মারামারি দ্রষ্টব্য। এখন একেকজনের একেক আদর্শগত মারামারিতে আদর্শের ভিন্নতার জায়গা থেকে যারা আজকে নাহিদাকে নিয়ে গালিগালাজ করছে, কাল নাহিদা তার পারিবারিক ক্ষমতা (নাহিদা যে পুলিশকে ঠান্ডা করাতে সক্ষম ফোন দিয়ে, সেটা নিয়ে তার পোস্ট দ্রষ্টব্য) ব্যবহার করে সেসব গালিগালাজকারী কিংবা হামলাকারী বিরোধিদের ঠান্ডা করতে সক্ষম এবং ইচ্ছুক কিনা, সেটা আরেক প্রশ্ন। কথা হচ্ছে, there are some others similar to nahida akhter. not that i am against it, ব্লগ ও লেখালেখির জগতে আইন ও অস্ত্রবাজি দিয়ে বিপরীত আদর্শকে ঠেকানোর পক্ষে বহু আগে থেকে কথা বলা লোকদের একজন আমি নিজে। এই জিনিসটা বড় চিন্তার জায়গা এবং আমি ভবিষ্যতের সবাইকে সতর্ক করে দিতে এই পোস্টটা দিয়েছি যে যারা আদর্শপ্রচারের জগতে ঢুকতে চায়, তারা যেনো CIA, Mi6, NSI, MSS এবং এসবের বাইরে বেসরকারি যত ব্যক্তি ও গ্রুপ আছে ক্ষমতার সাথে জড়িত, তাদের সাথে হয় ফাইট করার ক্ষমতা অথবা ডিল করে বেচে থাকার ক্ষমতাটা অর্জন করে যেনো অন্তত ঢুকে কারন আমি নিজেসহ প্রায় সবাই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কিছু মাত্রাতে হলেও জড়িত হয়ে পড়েছে কারন ওয়াচ রাখা হয় বিভিন্ন গ্রুপ থেকে যে অজ পাড়াগার কার পোস্টে ডালাস টেকসাসে আগুন জ্বলতে পারে।
those people doing বদনামি about you? they are involved in the politics. it is mafia and military politics of the highest level and interest.

Tuesday, October 17, 2017

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-৭

পেরা সাজিদ ৭ নাম্বার চেপটারের জবাব। সবার কাছে চ্যালেঞ্জ এর চেয়ে উন্নততর জবাব তৈরির।
//বেশ লোভনীয় শিরোনাম।শারীরিক ক্লান্তি ভুলেই আমি ঘটনাটির প্রথম থেকে পড়া শুরু করলাম।ঘটনাটি সাজিদের ডায়েরিতে যেভাবে লেখা, ঠিক সেভাবেই আমি পাঠকদের জন্য তুলে ধরছি-
‘কয়েকদিন আগে ক্লাশের থার্ড পিরিয়ডে মফিজুর রহমান স্যার এসে আমাকে দাঁড় করালেন।বললেন,- ‘তুমি ভাগ্যে,আই মিন তাকদিরে বিশ্বাস করো?’
আমি আচমকা অবাক হলাম। আসলে এই আলাপগুলো হলো ধর্মীয় আলাপ। মাইক্রোবায়োলজির একজন শিক্ষক যখন ক্লাশে এসে এসব জিজ্ঞেস করেন, তখন খানিকটা বিব্রত বোধ করাই স্বাভাবিক। স্যার আমার উত্তরের আশায় আমার মুখের দিকে চেয়ে আছেন।
আমি বললাম,- ‘জ্বি, স্যার।এ্যাজ এ্যা মুসলিম, আমি তাকদিরে বিশ্বাস করি।এটি আমার ঈমানের মূল সাতটি বিষয়ের মধ্যে একটি।’
স্যার বললেন,- ‘তুমি কি বিশ্বাস করো যে, মানুষ জীবনে যা যা করবে তার সবকিছুই তার জন্মের অনেক অনেক বছর আগে তার তাকদিরে লিখে দেওয়া হয়েছে?’
– ‘জ্বি স্যার’- আমি উত্তর দিলাম।
– ‘বলা হয়, স্রষ্টার ইচ্ছা ছাড়া গাছের একটি ক্ষুদ্র পাতাও নড়েনা, তাই না?’
– ‘জ্বি স্যার।’
– ‘ধরো, আজ সকালে আমি একজন লোককে খুন করলাম। এটা কি আমার তাকদিরে পূর্ব নির্ধারিত ছিলো না?’
– ‘জ্বি, ছিলো।’
– ‘আমার তাকদির যখন লেখা হচ্ছিলো, তখন কি আমি জীবিত ছিলাম?’
– ‘না, ছিলেন না।’
– ‘আমার তাকদির কে লিখেছে? বা, কার নির্দেশে লিখিত হয়েছে?’
– ‘স্রষ্টার।’
– ‘তাহলে, সোজা এবং সরল লজিক এটাই বলে- ‘আজ সকালে যে খুনটি আমি করেছি, সেটি মূলত আমি করি নি।আমি এখানে একটি রোবট মাত্র।আমার ভেতরে একটি প্রোগ্রাম সেট করে দিয়েছেন স্রষ্টা।সেই প্রোগ্রামে লেখা ছিলো যে, আজ সকালে আমি একজন লোককে খুন করবো।সুতরাং, আমি ঠিক তাই-ই করেছি, যা আমার জন্য স্রষ্টা পূর্বে ঠিক করে রেখেছেন।এতে আমার কোন হাত নেই।ডু ইউ এগ্রি,সাজিদ?’
– ‘কিছুটা’- আমি উত্তর দিলাম।
স্যার এবার হাসলেন।হেসে বললেন,- ‘আমি জানতাম তুমি কিছুটাই একমত হবে,পুরোটা নয়।এখন তুমি আমাকে নিশ্চই যুক্তি দেখিয়ে বলবে,- স্যার, স্রষ্টা আমাদের একটি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন।আমরা এটা দিয়ে ভালো-মন্দ বিচার করে চলি,রাইট?’
– ‘জ্বি স্যার।’
– ‘কিন্তু সাজিদ, এটা খুবই লেইম লজিক,ইউ নো? ধরো, আমি তোমার হাতে বাজারের একটি লিষ্ট দিলাম।লিষ্টে যা যা কিনতে হবে, তার সবকিছু লেখা আছে।এখন তুমি বাজার করে ফিরলে।তুমি ঠিক তাই তাই কিনলে যা আমি লিষ্টে লিখে দিয়েছি।এবং তুমি এটা করতে বাধ্য।’
এতটুকু বলে স্যার আমার কাছে জানতে চাইলেন,- ‘বুঝতে পারছো?’
আমি বললাম,- ‘জ্বি স্যার।’
– ‘ভেরি গুড! ধরো, তুমি বাজার করে আসার পর, একজন জিজ্ঞেস করলো, সাজিদ কি কি বাজার করেছো? তখন আমি উত্তর দিলাম,- ‘ওর যা যা খেতে মন চেয়েছে, তা-ই তা-ই কিনেছে। বলতো, আমি সত্য বলেছি কিনা?’
আমি বললাম,- ‘নাহ, আপনি মিথ্যা বলেছেন।’
স্যার চিৎকার করে বলে উঠলেন,- ‘এক্সাক্টলি। ইউ হ্যাভ গট দ্য পয়েণ্ট,মাই ডিয়ার।আমি মিথ্যা বলেছি।আমি লিষ্টে বলেই দিয়েছি তোমাকে কি কি কিনতে হবে।তুমি ঠিক তা-ই তা-ই কিনেছো যা আমি কিনতে বলেছি।যা কিনেছো সব আমার পছন্দের জিনিস। এখন আমি যদি বলি,- ‘ওর যা যা খেতে মন চেয়েছে,সে তা-ই তা-ই কিনেছে’, তাহলে এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা,না?’
– ‘জ্বি,স্যার।’
– ‘ঠিক স্রষ্টাও এভাবে মিথ্যা বলেছেন।দুই নাম্বারি করেছেন। তিনি অনেক আগে আমাদের তাকদির লিখে তা আমাদের গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছেন।এখন
আমরা সেটাই করি, যা স্রষ্টা সেখানে লিখে রেখেছেন।আবার, এ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে, এই কাজের জন্য কেউ জান্নাতে যাচ্ছে, কেউ জাহান্নামে।কিন্তু কেনো? এখানে মানুষের তো কোন হাত নেই।ম্যানুয়ালটা স্রষ্টার তৈরি। আমরা তো জাষ্ট পারফর্মার।স্ক্রিপ্ট রাইটার তো স্রষ্টা।স্রষ্টা এরজন্য আমাদের কাউকে জান্নাত,কাউকে জাহান্নাম দিতে পারেন না। যুক্তি তাই বলে,ঠিক?’
আমি চুপ করে রইলাম। পুরো ক্লাশে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছে তখন।
স্যার বললেন,- ‘হ্যাভ ইউ এ্যানি প্রপার লজিক অন দ্যাট টিপিক্যাল কোয়েশ্চান,ডিয়ার?’
আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম।
স্যার মুচকি হাসলেন। মনে হলো- উনি ধরেই নিয়েছেন যে, উনি আমাকে এবার সত্যি সত্যিই কুপোকাত করে দিয়েছেন।বিজয়ীর হাসি।
আমাকে যারা চিনে তারা জানে, আমি কখনো কারো প্রশ্নের উত্তর দিতে সময় নিই না।আজকে যেহেতু তার ব্যতিক্রম ঘটলো, আমার বন্ধুরা আমার দিকে ড্যাব ড্যাব চোখ করে তাকালো।তাদের চাহনি দেখে মনে হচ্ছিলো, এই সাজিদকে তারা চিনেই না।কোনদিন দেখে নি।
আর, ক্লাশে আমার বিরুদ্ধ মতের যারা আছে, তাদের চেহারা তখন মূহুর্তেই উজ্জ্বল বর্ণ ধারন করলো।তারা হয়তো মনে মনে বলতে লাগলো,- ‘মোল্লার দৌঁড় অই মসজিদ পর্যন্তই।হা হা হা’।
আমি মুখ তুলে স্যারের দিকে তাকালাম।মুচকি হাসিটা স্যারের মুখে তখনও বিরাজমান।
আমি বললাম,- ‘স্যার, এই ক্লাশে কার সম্পর্কে আপনার কি অভিমত?’
স্যার ভ্যাবাচ্যাকা খেলেন। স্যার জিজ্ঞেস করেছেন কি আর আমি বলছি কি।
স্যার বললেন,- ‘বুঝলাম না।’
– ‘মানে, আমাদের ক্লাশের কার মেধা কি রকম, সে বিষয়ে আপনার কি ধারনা?’
– ‘ভালো ধারনা। ছাত্রদের সম্পর্কে একজন শিক্ষকেরই তো সবচেয়ে ভালো জ্ঞান থাকে।’
আমি বললাম,- ‘স্যার, আপনি বলুন তো, এই ক্লাশের কারা কারা ফাষ্ট ক্লাশ আর কারা কারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে?’
স্যার কিছুটা বিস্মিত হলেন। বললেন,- ‘আমি তোমাকে অন্য বিষয়ে প্রশ্ন করেছি।তুমি ‘আউট অফ কনটেক্সট’ এ গিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করছো,সাজিদ।’
– ‘না স্যার, আমি কনটেক্সটেই আছি। আপনি উত্তর দিন।’
স্যার বললেন,- ‘এই ক্লাশ থেকে রায়হান, মমতাজ, ফারহানা, সজীব, ওয়ারেশ, ইফতি, সুমন,জাবেদ এবং তুমি ফাষ্ট ক্লাশ পাবে। আর বাকিরা সেকেন্ড ক্লাশ।’
স্যার যাদের নাম বলেছেন, তারা সবাই ক্লাশের ব্রিলিয়্যাণ্ট ষ্টুডেণ্ট।সুতরাং, স্যারের অনুমান খুব একটা ভুল না।
আমি বললাম,- ‘স্যার, আপনি এটা লিখে দিতে পারেন?’
– ‘Why not’- স্যার বললেন।
এই বলে তিনি খচখচ করে একটা কাগজের একপাশে যারা ফাষ্ট ক্লাশ পাবে তাদের নাম, অন্যপাশে যারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে,তাদের নাম লিখে আমার হাতে দিলেন।
আমি বললাম,- ‘স্যার, ধরে নিলাম যে আপনার ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ সত্য হয়েছে।মানে, আপনি ফাষ্ট ক্লাশ পাবে বলে যাদের নাম লিখেছেন,তারা সবাই ফাষ্ট ক্লাশ পেয়েছে,আর যারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে লিখেছেন, তাদের সবাই সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে।’
– ‘হুম, তো?’
– ‘এখন, স্যার বলুন তো, যারা ফাষ্ট ক্লাশ পেয়েছে, আপনি এই কাগজে তাদের নাম লিখেছেন বলেই কি তারা ফাষ্ট ক্লাশ পেয়েছে?’
– ‘নাহ তো।’
– ‘যারা সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে, তারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে বলে আপনি এই কাগজে লিখেছেন বলেই কি তারা সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে?’
স্যার বললেন,- ‘একদম না।’
– ‘তাহলে মূল ব্যাপারটি কি স্যার?’
স্যার বললেন,- ‘মূল ব্যাপার হলো, আমি তোমাদের শিক্ষক।আমি খুব ভালো জানি পড়াশুনায় তোমাদের কে কেমন।আমি খুব ভালো করেই জানি, কার কেমন মেধা। সুতরাং, আমি চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারি কে কেমন রেজাল্ট করবে।’
আমি হাসলাম। বললাম,- ‘স্যার, যারা সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে, তারা যদি আপনাকে দোষ দেয়? যদি বলে, আপনি ‘সেকেন্ড ক্লাশ’ ক্যাটাগরিতে তাদের নাম লিখেছেন বলেই তারা সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে?’
স্যার কপালের ভাঁজ লম্বা করে বললেন,- ‘ইট উড বি টোট্যালি বুলশিট! আমি কেন এর জন্য দায়ী হবো? এটা তো সম্পূর্ণ তাদের দায়। আমি শুধু তাদের মেধা,যোগ্যতা সম্পর্কে ধারনা রাখি বলেই অগ্রিম বলে দিতে পেরেছি যে কে কেমন রেজাল্ট করবে।’
আমি আবার জোরে জোরে হাসতে লাগলাম। পুরো ক্লাশ আমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে।
আমি থামলাম।বললাম,- ‘স্যার, তাকদির তথা ভাগ্যটাও ঠিক এরকম। আপনি যেমন আমাদের মেধা, যোগ্যতা,ক্ষমতা সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখেন, স্রষ্টাও তেমনি তার সৃষ্টি সম্পর্কে ধারনা রাখেন।আপনার ধারনা মাঝে মাঝে ভুল হতে পারে, কিন্তু স্রষ্টার ধারনায় কোন ভুল নেই।স্রষ্টা হলেন আলিমুল গায়েব।তিনি ভূত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সব জানেন।
আপনি যেরকম আমাদের সম্পর্কে পূর্বানুমান করে লিখে দিয়েছেন যে, আমাদের মধ্যে কারা কারা ফাষ্ট ক্লাশ পাবে, আর কারা সেকেন্ড ক্লাশ।এর মানে কিন্তু এই না যে, আপনি বলেছেন বলে আমাদের কেউ ফাষ্ট ক্লাশ পাচ্ছি, কেউ সেকেন্ড ক্লাশ।
স্রষ্টাও সেরকম পূর্বানুমান করে আমাদের তাকদির লিখে রেখেছেন।তাতে লেখা আছে দুনিয়ায় আমরা কে কি করবো।এর মানেও কিন্তু এই না যে, তিনি লিখে দিয়েছেন বলেই আমরা কাজগুলো করছি।বরং, এর মানে হলো এই- তিনি জানেন যে, আমরা দুনিয়ায় এই এই কাজগুলো করবো।তাই তিনি তা অগ্রিম লিখে রেখেছেন তাকদির হিসেবে।
আমাদের মধ্যে কেউ ফাষ্ট ক্লাশ আর কেউ সেকেন্ড ক্লাশ পাবার জন্য যেমন কোনভাবেই আপনি দায়ী নন, ঠিক সেভাবে, মানুষের মধ্যে কেউ ভালো কাজ করে জান্নাতে, আর কেউ খারাপ কাজ করে জাহান্নামে যাবার জন্যও স্রষ্টা দায়ী নন।স্রষ্টা জানেন যে, আপনি আজ সকালে একজনকে খুন করবেন।
তাই তিনি সেটা আগেই আপনার তাকদিরে লিখে রেখেছেন।এটার মানে এই না যে- স্রষ্টা লিখে রেখেছে বলেই আপনি খুনটি করেছেন।এর মানে হলো- স্রষ্টা জানেন যে,আপনি আজ খুনটি করবেন।তাই সেটা অগ্রিম লিখে রেখেছেন আপনার তাকদির হিসেবে।
স্যার, ব্যাপারটা কি এখন পরিষ্কার?
স্যারের চেহারাটা কিছুটা ফ্যাকাশে মনে হলো। তিনি বললেন,- ‘হুম।’
এরপর স্যার কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন।তারপর বললেন,- ‘আমি শুনেছিলাম তুমি ক’দিন আগেও নাস্তিক ছিলে।তুমি আবার আস্তিক হলে কবে?’
আমি হা হা হা করে হাসলাম। বললাম,- ‘এই প্রশ্নটা কিন্তু স্যার আউট অফ কনটেক্সট।’
এটা শুনে পুরো ক্লাশ হাসিতে ফেঁটে পড়লো।
পিরিওডের একদম শেষদিকে, স্যার আবার আমাকে দাঁড় করালেন।বললেন,- ‘বুঝলাম স্রষ্টা আগে থেকে জানেন বলেই লিখে রেখেছেন।তিনি যেহেতু আগে থেকেই জানেন কে ভালো কাজ করবে আর কে খারাপ কাজ করবে, তাহলে পরীক্ষা নেওয়ার কি দরকার? যারা জান্নাতে যাওয়ার তাদের জান্নাতে, যারা জাহান্নামে যাওয়ার তাদের জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলেই তো হতো,তাই না?’
আমি আবার হাসলাম। আমার হাতে স্যারের লিখে দেওয়া কাগজটি তখনও ধরা ছিলো।আমি সেটা স্যারকে দেখিয়ে বললাম,- ‘স্যার, এই কাগজে কারা কারা ফাষ্ট ক্লাশ পাবে, আর কারা কারা সেকেন্ড ক্লাশ পাবে, তাদের নাম লেখা আছে। তাহলে এই কাগজটির ভিত্তিতেই রেজাল্ট দিয়ে দিন।বাড়তি করে পরীক্ষা নিচ্ছেন কেনো?’
স্যার বললেন,- ‘পরীক্ষা না নিলে কেউ হয়তো এই বলে অভিযোগ করতে পারে যে,- ‘স্যার আমাকে ইচ্ছা করেই সেকেন্ড ক্লাশ দিয়েছে।পরীক্ষা দিলে আমি হয়তো ঠিকই ফাষ্ট ক্লাশ পেতাম।’
আমি বললাম,- ‘একদম তাই,স্যার। স্রষ্টাও এইজন্য পরীক্ষা নিচ্ছেন,যাতে কেউ বলতে না পারে- দুনিয়ায় পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলে আমি অবশ্যই আজকে জান্নাতে থাকতাম। স্রষ্টা ইচ্ছা করেই আমাকে জাহান্নামে পাঠিয়েছে।’
ক্লাশের সবাই হাত তালি দিতে শুরু করলো। স্যার বললেন,- ‘সাজিদ, আই হ্যাভ এ্যা লাষ্ট কোয়েশ্চান।’
– ‘ডেফিনেইটলি, স্যার।’- আমি বললাম।
– ‘আচ্ছা, যে মানুষ পুরো জীবনে খারাপ কাজ বেশি করে,সে অন্তত কিছু না কিছু ভালো কাজ তো করে,তাই না?’
– ‘জ্বি স্যার।’
– ‘তাহলে, এই ভালো কাজগুলোর জন্য হলেও তো তার জান্নাতে যাওয়া দরকার,তাই না?’
আমি বললাম,- ‘স্যার, পানি কিভাবে তৈরি হয়?’
স্যার আবার অবাক হলেন। হয়তো বলতে যাচ্ছিলেন যে, এই প্রশ্নটাও আউট অফ কনটেক্সট, কিন্তু কি ভেবে যেন চুপসে গেলেন।বললেন,- ‘দুই ভাগ হাইড্রোজেন আর এক ভাগ অক্সিজেনের সংমিশ্রণে।’
আমি বললাম,- ‘আপনি এক ভাগ হাইড্রোজেন আর এক ভাগ অক্সিজেন দিয়ে পানি তৈরি করতে পারবেন?’
– ‘কখনোই না।’
– ‘ঠিক সেভাবে, এক ভাগ ভালো কাজ আর এক ভাগ মন্দ কাজে জান্নাত পাওয়া যায়না। জান্নাত পেতে হলে হয় তিন ভাগই ভালো কাজ হতে হবে, নতুবা দুই ভাগ ভালো কাজ, এক ভাগ মন্দ কাজ হতে হবে। অর্থাৎ, ভালো কাজের পাল্লা ভারি হওয়া আবশ্যক।’
সেদিন আর কোন প্রশ্ন স্যার আমাকে করেন নি।’
এক নিশ্বাঃসে পুরোটা পড়ে ফেললাম।কোথাও একটুও থামিনি। পড়া শেষে যেই মাত্র সাজিদের ডায়েরিটা বন্ধ করতে যাবো, অমনি দেখলাম, পেছন থেকে সাজিদ এসে আমার কান মলে ধরেছে।সে বললো,- ‘তুই তো সাংঘাতিক লেভেলের চোর।’
আমি হেসে বললাম,- ‘হা হা হা। স্যারকে তো ভালো জব্দ করেছিস ব্যাটা।’
কথাটা সে কানে নিলো বলে মনে হলো না।নিজের সম্পর্কে কোন কমপ্লিমেন্টই সে আমলে নেয় না। গামছায় মুখ মুছতে মুছতে সে খাটের উপর শুয়ে পড়লো।
আমি তার কাঁধে হাত রাখলাম। বললাম,- ‘সাজিদ……’
– ‘হু’
– ‘একটা কথা বলবো?’
– ‘বল।’
– ‘জানিস, একসময় যুবকেরা হিমু হতে চাইতো।হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে, মরুভূমিতে গর্ত খুঁড়ে জ্যোৎস্না দেখার স্বপ্ন দেখতো।দেখিস,এমন একদিন আসবে, যেদিন যুবকেরা সাজিদ হতে চাইবে। ঠিক তোর মতো……’
এই বলে আমি সাজিদের দিকে তাকালাম।দেখলাম, ততক্ষণে সে ঘুমিয়ে পড়েছে। অঘোর ঘুম……..//
এই অধ্যায় লেখক কুরানের কথার উল্টা কথাকে কুরানের নামে চালানোর এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে সর্বদ্রষ্টা না, অনুমানের ভিত্তিতে চলা মানুষ (স্যার) এর সাথে সর্বদ্রষ্টা আল্লাহ এর তুলনা করে "মিল" দেখিয়েছে। এটা ১০০% শিরক। আর কুরানের কোন কথাকে বিকৃত করলো? কুরানে একাধিক আয়াত এবং হাদিসে লেখা যে আল্লাহ সবকিছু, এমনকি আখিরাতে কে কোন অবস্থানে যাবে, ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি ৬, বিকাল ৪:৩২ মিনিটে কি করেছি, তাসহ লিখে রেখেছে ও তার একচুল নড়বড় হবেনা, এই হিসাবে স্বাধীন ইচ্ছার অস্তিত্ব নেই। নেই!!!!
প্রমান করো যে হা-জাত যা লিখেছে তাই সত্য এবং আসলে সে কুরান বিকৃতি ও শিরকি করেনি।

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-৬

পেরা সাজিদ ৬ নাম্বার চেপটারের জবাব। সবার কাছে চ্যালেঞ্জ এর চেয়ে উন্নততর জবাব তৈরির।
//মফিজুর রহমান স্যার। এই ভদ্রলোক ক্লাশে আমাকে উনার শত্রু মনে করেন। ঠিক শত্রু না, প্রতিদ্বন্দ্বী বলা যায়।
আমাকে নিয়ে উনার সমস্যা হলো- উনি উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে, ক্লাশের ছেলে-মেয়েদের মনে ধর্ম, ধর্মীয় কিতাব, আল্লাহ, রাসূল ইত্যাদি
নিয়ে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করেন।কিন্তু, আমি প্রতিবারই উনার এহেন কাজের প্রতিবাদ করি।উনার যুক্তির বীপরিতে যুক্তি দিই। এমনও হয়েছে, যুক্তিতে আমার কাছে পরাজিত হয়ে উনি ক্লাশ থেকেও চলে গিয়েছিলেন কয়েকবার।
এই কারনে এই বামপন্থি লোকটা আমাকে উনার চক্ষুশূল মনে করেন।
সে যাকগে! আজকের কথা বলি।
আজকে ক্লাশে এসেই ভদ্রলোক আমাকে খুঁজে বের করলেন। বুঝতে পেরেছি, নতুন কোন উছিলা খুঁজে পেয়েছে আমাকে ঘায়েল করার।
ক্লাশে আসার আগে মনে হয় পান খেয়েছিলেন। ঠোঁটের এক কোণায় চুন লেগে আছে।
আমাকে দাঁড় করিয়ে বড় বড় চোখ করে বললেন,- ‘বাবা আইনষ্টাইন, কি খবর?’
ভদ্রলোক আমাকে তাচ্ছিল্য করে ‘আইনষ্টাইন’ বলে ডাকেন। আমাকে আইনষ্টাইন ডাকতে দেখে উনার অন্য শাগরেদবৃন্দগণ হাসাহাসি শুরু করলো।
আমি কিছু না বলে চুপ করে আছি। তিনি আবার বললেন,- ‘শোন বাবা আইনষ্টাইন, তুমি তো অনেক বিজ্ঞান জানো, বলো তো দেখি, সূর্য কি পানিতে ডুবে যায়?’
ক্লাশ স্তিমিত হয়ে গেলো। সবাই চুপচাপ।
আমি মাথা তুলে স্যারের দিকে তাকালাম। বললাম,- ‘জ্বি না স্যার। সূর্য কখনোই পানিতে ডুবে না।’
স্যার অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে বললেন,- ‘ ডুবে না? ঠিক তো?’
– ‘জ্বি স্যার।’
– ‘তাহলে সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় কেন হয় বাবা? বিজ্ঞান কি বলে?’
আমি বললাম, – ‘স্যার, সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘুরে।সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরার সময়, পৃথিবী গোলার্ধের যে অংশটা সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, সে অংশে তখন সূর্যোদয় হয়, দিন থাকে। ঠিক একইভাবে, পৃথিবী গোলার্ধের যে অংশটা তখন সূর্যের বীপরিত দিকে মুখ করে থাকে, তাতে তখন সূর্যাস্ত হয়, রাত নামে।আদতে, সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয় বলে কিছু নেই।সূর্য অস্তও যায় না। উদিতও হয়না। পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারনে আমাদের এমনটি মনে হয়।’
স্যার বললেন,- ‘বাহ! সুন্দর ব্যাখ্যা।’
উনি আমার দিকে ঝুঁকে এসে বললেন,- ‘তা বাবা, এই ব্যাপারটার উপর তোমার আস্থা আছে তো? সূর্য পানিতে ডুবে-টুবে যাওয়া তে বিশ্বাস-টিশ্বাস করো কি?’
পুরো ক্লাশে তখনও পিনপতন নিরবতা।
আমি বললাম,- ‘না স্যার। সূর্যের পানিতে ডুবে যাওয়া-টাওয়া তে আমি বিশ্বাস করিনা।’
এরপর স্যার বললেন,- ‘বেশ! তাহলে ধরে নিলাম, আজ থেকে তুমি আর কোরআনে বিশ্বাস করো না।’
স্যারের কথা শুনে আমি খানিকটা অবাক হলাম।পুরো ক্লাশও সম্ভবত আমার মতোই হতবাক।স্যার মুচকি হেসে বললেন,- ‘তোমাদের ধর্মীয় কিতাব, যেটাকে আবার বিজ্ঞানময় বলে দাবি করো তোমরা, সেই কোরআনে আছে, সূর্য নাকি পানিতে ডুবে যায়। হা হা হা।’
আমি স্যারের মুখের দিকে চেয়ে আছি। স্যার বললেন, – ‘কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো? দাঁড়াও, পড়ে শোনাই।’
এইটুক বলে স্যার কোরআনের সূরা কাহাফের ৮৬ নাম্বার আয়াতটি পড়ে শোনালেন-
‘(চলতে চলতে) এমনিভাবে তিনি (জুলকারনাঈন) সূর্যের অস্তগমনের জায়গায় গিয়ে পৌঁছুলেন, সেখানে গিয়ে তিনি সূর্যকে (সাগরের) কালো পানিতে ডুবে যেতে দেখলেন।তার পাশে তিনি একটি জাতিকেও (বাস করতে) দেখলেন, আমি বললাম, হে জুলকারনাঈন! (এরা আপনার অধীনস্ত),আপনি
ইচ্ছা করলে (তাদের) শাস্তি দিতে পারেন, অথবা তাদের আপনি সদয়ভাবেও গ্রহণ করতে পারেন।’
এরপর বললেন,- ‘দেখো, তোমাদের বিজ্ঞানময় ধর্মীয় কিতাব বলছে যে, সূর্য নাকি সাগরের কালো পানিতে ডুবে যায়। হা হা হা। বিজ্ঞানময় কিতাব বলে কথা।’
ক্লাশের কেউ কেউ, যারা স্যারের মতোই নাস্তিক, তারা হো হো করে হেসে উঠলো। আমি কিছুই বললাম না।চুপ করে ছিলাম।’

এইটুকুই লেখা। আশ্চর্য! সাজিদ মফিজুর রহমান নামের এই ভদ্রলোকের কথার কোন প্রতিবাদ করলো না? সে তো এরকম করে না সাধারণত। তাহলে কি…….? আমার মনে নানা ধরনের প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিতে লাগলো সেদিন।

এর চারমাস পরের কথা।
হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় সাজিদ আমাকে এসে বললো,- ‘আগামিকাল ডিপার্টমেণ্ট থেকে ট্যুরে যাচ্ছি। তুইও সাথে যাচ্ছিস।’
আমি বললাম, – ‘আমি? পাগল নাকি? তোদের ডিপার্টমেন্ট ট্যুরে আমি কিভাবে যাবো?’
– ‘সে ভাবনাটা আমার। তুকে যা বললাম, জাষ্ট তা শুনে যা।’
পরদিন সকাল বেলা বেরুলাম।তার ফ্রেন্ডদের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলো সাজিদ।স্যারেরাও আছেন। মফিজুর রহমান নামের ভদ্রলোকটির সাথেও দেখা হলো। বিরাট গোঁফওয়ালা। এই লোকের পূর্বপুরুষ সম্ভবত ব্রিটিশদের পিয়নের কাজ করতো।
যাহোক, আমরা যাচ্ছি বরিশালের কুয়াকাটা।
পৌঁছাতে পাক্কা চারঘণ্টা লাগলো।
সারাদিন অনেক ঘুরাঘুরি করলাম। স্যারগুলোকে বেশ বন্ধুবৎসল মনে হলো।
ঘড়িতে সময় তখন পাঁচটা বেজে পঁচিশ মিনিট। আমরা সমুদ্রের কাছাকাছি হোটেলে আছি।আমাদের সাথে মফিজুর রহমান স্যারও আছেন।
তিনি সবার উদ্দেশ্যে বললেন,- ‘গাইজ, বি রেডি! আমরা এখন কুয়াকাটার বিখ্যাত সূর্যাস্ত দেখবো।তোমরা নিশ্চয় জানো, এটি দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত, যেখান থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।’
আমরা সবাই প্রস্তুত ছিলাম আগে থেকেই। বেরুতে যাবো, ঠিক তখনি সাজিদ বলে বসলো,- ‘স্যার, আপনি সূর্যাস্ত দেখবেন?’
স্যার বললেন,- ‘Why not! How can I miss such an amazing moment?’
সাজিদ বললো,- ‘স্যার, আপনি বিজ্ঞানের মানুষ হয়ে খুব অবৈজ্ঞানিক কথা বলছেন। এমন একটি জিনিস আপনি কি করে দেখবেন বলছেন, যেটা আদতে ঘটেই না।’
এবার আমরা সবাই অবাক হলাম।যে যার চেয়ার টেনে বসে পড়লাম। সাজিদ দাঁড়িয়ে আছে।
স্যার কপালের ভাঁজ দীর্ঘ করে বললেন,- ‘What do u want to mean?’
সাজিদ হাসলো। হেসে বললো,- ‘স্যার, খুবই সোজা। আপনি বলছেন, আপনি আমাদের নিয়ে সূর্যাস্ত দেখবেন। কিন্তু স্যার দেখুন, বিজ্ঞান বুঝে এমন লোক মাত্রই জানে, সূর্য আসলে অস্ত যায়না। পৃথিবী গোলার্ধের যে অংশ সূর্যের বীপরিত মুখে অবস্থান করতে শুরু করে, সে অংশটা আস্তে আস্তে অন্ধকারে ছেঁয়ে যায় কেবল। কিন্তু সূর্য তার কক্ষপথেই থাকে।উঠেও না, ডুবেও না। তাহলে স্যার, সূর্যাস্ত কথাটা তো ভুল, তাই না?’
এবার আমি বুঝে গেছি আসল ব্যাপার। মজা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
মফিজুর রহমান নামের লোকটা একরাশ বিরক্তি নিয়ে বললো,- ‘দেখো সাজিদ, সূর্য যে উদিত হয়না আর অস্ত যায়না, তা আমি জানি। কিন্তু, এখান থেকে দাঁড়ালে আমাদের কি মনে হয়? মনে হয়, সূর্যটা যেনো আস্তে আস্তে পানির নিচে ডুবে যাচ্ছে।এটাই আমাদের চর্মচক্ষুর সাধারণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা। তাই, আমরা এটাকে সিম্পলি, ‘সূর্যাস্ত’ নাম দিয়েছি।বলার সুবিধের জন্যও এটাকে ‘সূর্যাস্ত’ বলাটা যুক্তিযুক্ত। দেখো, যদি আমি বলতাম,- ‘ছেলেরা, একটুপর পৃথিবী গোলার্ধের যে অংশে বাংলাদেশের অবস্থান, সে অংশটা সূর্যের ঠিক বীপরিত দিকে মুখ নিতে চলেছে। তারমানে, এখানে এক্ষুনি আঁধার ঘনিয়ে সন্ধ্যা নামবে।আমাদের সামনে থেকে সূর্যটা লুকিয়ে যাবে।চলো, আমরা সেই দৃশ্যটা অবলোকন করে আসি’,
আমি যদি এরকম বলতাম, ব্যাপারটা ঠিক বিদঘুটে শোনাতো। ভাষা তার মাধুর্যতা হারাতো।শ্রুতিমধুরতা হারাতো। এখন আমি এক শব্দেই বুঝিয়ে দিতে পারছি আমি কি বলতে চাচ্ছি, সেটা।’
সাজিদ মুচকি হাসলো। সে বললো,- ‘স্যার, আপনি একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। বিজ্ঞান পড়েন, বিজ্ঞান পড়ান। আপনি আপনার সাধারন চর্মচক্ষু দিয়ে দেখতে পান যে- সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে পানির নিচে। এই ব্যাপারটাকে আপনি সুন্দর করে বোঝানোর জন্য যদি ‘সূর্যাস্ত’ নাম দিতে পারেন, তাহলে সূরা কাহাফে জুলকারনাঈন নামের লোকটি এরকম একটি সাগর পাড়ে এসে যখন দেখলো- সূর্যটা পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে, সেই ঘটনাকে যদি আল্লাহ তা’য়ালা সবাইকে সহজে বুঝানোর জন্য, সহজবোধ্য করার জন্য, ভাষার শ্রুতিমধুরতা ধরে রাখার জন্য, কুলি থেকে মজুর, মাঝি থেকে কাজি, ব্লগার থেকে বিজ্ঞানি,ডাক্তার থেকে ইঞ্জিনিয়ার, ছাত্র থেকে শিক্ষক, সবাইকে সহজে বুঝানোর জন্য যদি বলেন- ‘
‘(চলতে চলতে) এমনিভাবে তিনি (জুলকারনাঈন) যখন সূর্যের অস্তগমনের জায়গায় গিয়ে পৌঁছুলেন, সেখানে গিয়ে তিনি সূর্যকে (সাগরের) কালো পানিতে ডুবে যেতে দেখলেন’,
তখন কেনো স্যার ব্যাপারটা অবৈজ্ঞানিক হবে? কোরান বলেনা যে, সূর্য পানির নিচে ডুবে গেছে। কোরান এখানে ঠিক সেটাই বলেছে, যেটা জুলকারনাঈন দেখেছে, এবং বুঝেছে। আপনি আমাদের সূর্যাস্ত দেখাবেন বলছেন মানে এই না যে- আপনি বলতে চাচ্ছেন সূর্যটা আসলেই ডুবে যায়।আপনি সেটাই বোঝাতে চাচ্ছেন, যেটা আমরা বাহ্যিকভাবে দেখি।তাহলে, একই ব্যাপার আপনি পারলে, কোরান কেন পারবে না স্যার?
আপনারা কথায় কথায় বলেন,- ‘The Sun rises in the east & sets in the west’ এগুলা নাকি Universal Truth..
কিভাবে এগুলো চিরন্তন সত্য হয় স্যার, যেখানে সূর্যের সাথে উঠা-ডুবার কোন সম্পর্কই নাই?
কিন্তু এগুলো আপনাদের কাছে অবৈজ্ঞানিক নয়। আপনারা কথায় কথায় সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের কথা বলেন। অথচ, সেইম কথা কোরান বললেই আপনারা চিৎকার করে বলে উঠেন- কোরান অবৈজ্ঞানিক। কেন স্যার?’
সাজিদ একনাগাড়ে এতসব কথা বলে গেলো। স্যারের মুখটা কিছুটা পানসে দেখা গেলো। তিনি বললেন,- ‘দীর্ঘ চারমাস ধরে, এরকম সুযোগের অপেক্ষা করছিলে তুমি, মি. আইনষ্টাইন?’
আমরা সবাই হেসে দিলাম।
সাজিদও মুচকি হাসলো। বড় অদ্ভুত সে হাসি।।//
পুরাটাই মিথ্যা। প্রথমেই "বামপন্থী নাস্তিক যে হারে" এরকম একটা ফিকশন এনে তা দিয়ে পাঠকের মনকে ইসলামমুখী করানোর কুমির রচনা। তারপরে শুরু কুরানের ভুল অনুবাদ। যে আয়াতের কথা বলা হলো, সেটার আসল অনুবাদ abdullah yusuf ali original বা william pickthall বা আরবি ভাষার নেটিভরা কি অনুবাদ করবে, সেটার সাথে মিলিয়ে দেখুক। প্রমান করুক যে হা-রিপের অনুবাদটা সঠিক, বাকিসব ভুয়া। এরপরে আরো শুরু হলো দিক অর্থাৎ cardinal point শিখাতে বানানো উদাহরনকে আসল উদাহরন হিসাবে ব্যবহারের জোচ্চুরি। হা-রিপ গ্রুপ এটা বুঝতে অক্ষম যে দিকগুলো মানুষের বানানো নাম এবং সেগুলো ব্যবহার করা হয় দিক বুঝাাতে যাতে করে এরকম ঘটনা না হয় যে হা-রিপ যেটাকে পূর্ব বলে, সৈকত সেটাকে দক্ষিন বলে। কুরানের ঐ আয়াতের অনুবাদে কোনো জায়গায় "মনে হলো ডুবছে" নেই সবখানেই আছে "অস্তাচলে গিয়ে ডুবতে দেখলেন"। go ahead, learn original arabic and translate yourself.
additionally, সহীহ বুখারী volume 4, book 52, hadith 54 এ লেখা সুর্য প্রতিদিন অস্ত যাবার পরে আল্লার আরশের তলায় গিয়ে সারারাত সিজদা দেয়। তার মনে পৃথিবীর অপরপ্রান্তে থাকা সুর্যটি TARDIS (ডক্টর হু এর ফ্যানরা কথাটা কোন পর্ব থেকে নেওয়া, তা বুঝবেন)

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-৫

পেরা সাজিদ ৫ নাম্বার চেপটারের জবাব। সবার কাছে চ্যালেঞ্জ এর চেয়ে উন্নততর জবাব তৈরির।
//স্যার বলেই যাচ্ছেন ধর্ম আর স্রষ্টার অসারতা নিয়ে।

এবার সাজিদ দাঁড়ালো। স্যারের কথার মাঝে সে বললো,- ‘স্যার, সৃষ্টিকর্তা একচোখা নন। তিনি মানুষের ভালো কাজের ক্রেডিট নেন না। তিনি ততোটুকুই নেন, যতোটুকু তিনি পাবেন।ইশ্বর আছেন।’
স্যার সাজিদের দিকে একটু ভালোমতো তাকালেন।বললেন,- ‘শিওর?’
– ‘জ্বি।’
– ‘তাহলে মানুষের মন্দ কাজের জন্য কে দায়ী?’
– ‘মানুষই দায়ী।- সাজিদ বললো।
– ‘ভালো কাজের জন্য?’
– ‘তাও মানুষ।’
স্যার এবার চিৎকার করে বললেন,- ‘এক্সাক্টলি, এটাই বলতে চাচ্ছি। ভালো/মন্দ এসব মানুষেরই কাজ।সো, এর সব ক্রেডিটই মানুষের।এখানে স্রষ্টার কোন হাত নেই। সো, তিনি এখান থেকে না প্রশংসা পেতে পারেন, না তিরস্কার।সোজা কথায়, স্রষ্টা বলতে কেউই নেই।’
ক্লাশে পিনপতন নিরবতা। সাজিদ বললো,- ‘মানুষের ভালো কাজের জন্য স্রষ্টা অবশ্যই প্রশংসা পাবেন, কারন, মানুষকে স্রষ্টা ভালো কাজ করার জন্য দুটি হাত দিয়েছেন, ভালো জিনিস দেখার জন্য দুটি চোখ দিয়েছেন, চিন্তা করার জন্য মস্তিষ্ক দিয়েছেন, দুটি পা দিয়েছেন। এসবকিছুই স্রষ্টার দান।তাই ভালো কাজের জন্য তিনি অবশ্যই প্রশংসা পাবেন।’
স্যার বললেন,- ‘এই গুলো দিয়ে তো মানুষ খারাপ কাজও করে, তখন?’
– ‘এর দায় স্রষ্টার নয়।’
– ‘হা হা হা হা। তুমি খুব মজার মানুষ দেখছি।হা হা হা হা।’//
এবার লেখক কুরান ও হাদিসের উল্টাকথা বলা শুরু করলো। যেখানে কুরান ও হাদিসে আরবি ভাষায় স্পষ্ট করে লিখা যে মানুষ যা কিছু করে, সবকিছু আল্লাহর দিয়ে নির্ধারিত এবং একচুলও হেরফের নাই, গাছের পাতা পর্যন্ত, সেখানে সাজিদকে দিয়ে বলাচ্ছে যে মানুষের ভালো কাজের জন্য স্রষ্টা প্রশংসা পাবে কিন্তু খারাপ কাজের জন্য স্রষ্টার দায় নাই। একেতো ইসলামধর্মের বিকৃতি, তার উপরে দ্বিমুখী নীতি, the paradox of law যে "ভালো কাজ আমি করলে সব প্রশংসা আমার কিন্তু খারাপ কাজ আমি করলেও দায় আমার না।" ঠিক কোন পর্যায়ে মুসলমানদের এখন নামতে হচ্ছে স্বয়ং কুরানের উল্টা কথাকে ইসলাম নামে চালাতে।
//সাজিদ বললো,- ‘স্যার, স্রষ্টা মানুষকে একটি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন।এটা দিয়ে সে নিজেই নিজের কাজ ঠিক করে নেয়। সে কি ভালো করবে, না মন্দ।’
স্যার তিরস্কারের সুরে বললেন, – ‘ধর্মীয় কিতাবাদির কথা বাদ দাও,ম্যান। কাম টু দ্য পয়েণ্ট এন্ড বি লজিক্যাল।’//
অথচ কুরান তো বলে যে মানুষ যা কিছু করেছে, করছে ও করবে, সব আল্লাহ নির্ধারন করে দিয়েছে ও স্বাধীন ইচ্ছা বলে কিছু নেই।
(ব্যাকগ্রাউন্ডে মিস্টার বিনের হাসির সাউন্ডট্র্যাক বাজবে)

বিবর্তন নিয়ে মিথ্যাচার ধরে আমার জবাব

Rajnikanth Reddy এর পুরাতন পরিকল্পনা ও আমার বর্তমান চেষ্টাতে মুমিনবানির জবাবে তৈরি আরেক কপিপেস্ট। এটা ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে কয়েকজনের মাধ্যমে ব্যবহার হতে দেখেছেন, তাদের ক্রেডিট আছে এটা তৈরিতে, আমি এটাতে কিছু পরিবর্তন এনেছি। বিবর্তন নিয়ে মুমিনদের মিথ্যাচারের জবাবে এটি।
ইসলামধর্ম বিবর্তনকে মিথ্যা বলে। বিবর্তন বলে যে কার্বনের সাথে কার্বন মিলে তৈরি হওয়া লং চেইন ও তাতে হাইড্রোজেন অক্সিজেন নাইট্র্রোজেন যুক্ত হয়ে তৈরি হওয়া জৈব যৌগের রাসায়নিক বন্ধন পরিবেশ অনুযায়ী বদল হয় ও তার ফলে জীবের জিনেটিক কোড বংশ থেকে বংশে বদলায়। উল্লেখ্য যে মুমিনরা ছবি স্প্যাম করে যে ছবিতে দেখায় যে বিবর্তনের ফলে এক প্রানি থেকে আরেক প্রানি বংশগতভাবে তৈরি হওয়াটা হচ্ছে অনেকগুলো ভাংগা বা স্ক্র্যাপ ধাতু থেকে কম্পিউটার তৈরি হয়ে যাবার মত, যা সম্পূর্ণ ভুল তুলনা।
ভুল তুলনা এজন্য যে স্ক্র্যাপ ধাতুর উপাদান অ্যালুমিনিয়াম কপার আয়রন এসব মৌলের মধ্যে catenation ক্যাটেনেশন নামক বৈশিষ্ট্যটি নেই, কেবল কারবনের মধ্যে ক্যাটেনেশন আছে যার ফলে কার্বন কার্বন জোড়া লেগে লম্বা চেইন অণু তৈরি হতে পারে যাদের সাথে উপরে বর্নীত মৌল মিলে জৈব যৌগ তৈরি হয়। প্রথমেই মগজে এটা ঢুকাতে হবে।
যারা বলে বিবর্তনবাদ মিথ্যাচার, তাদের এটা দেখা উচিত যে পৃথিবীর তাবৎ নদী ও সমুদ্রে সব জীবের যত বর্জ্য ও মৃতদেহ যায়, তা পরিবেশ অনুযায়ী ভেঙ্গে অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিনত হয় ও সে অ্যামিনো অ্যাসিড যুক্ত হয়ে সরল প্রান তথা জীবানুগুলো তৈরি হয়, যেগুলো সব মাছের খাবার হয়, আবার এসব জীবানুগুলো তাদের বিবর্তন হয়ে জটিলতর জীবানু ও প্রানিতে পরিনত হয়, যা প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তেই ঘটছে। কোন সমুদ্র ও নদীতে কতটুকু জীবানু আছে তা সে জায়গার উর্বরতা মানে কত পরিমান মাছের খাদ্য আছে, তার একটা হিসাব যেটা মেরিন বায়োলজি ল্যাবগুলোতে করতেই হয়। তাহলে এবার কি বিবর্তনবিরোধীরা এটাকেও মিথ্যা বলবে? নাকি এই সত্যপ্রচার ঠেকাতে মেরিন বায়োলজি ল্যাবগুলোতে হামলা করবে?
উল্লেখ্য যে বিবর্তন যদি না ঘটতো তাহলে বর্তমান যুগে আদি প্রান জীবানুগুলো আদৌ পাওয়া যেতোনা কারন বিবর্তনে তাদের উৎপত্তিই সবচেয়ে দ্রুতগতিতে হয়।
যারা ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তুলে যে বানর ও মানুষ প্রকৃতিতে এত আছে কেনো যদি বানর থেকে মানুষ হয়, তাদের অবগতির জন্য, বানর থেকে মানুষ হয়নি। এটা হচ্ছে বিবর্তনের বিরুদ্ধে খৃষ্টানদের তৈরিকৃত মিথ্যাচার এবং এটা মুসলমানরা চুরি করেছে তাদের জিহাদের জন্য। বানর ও মানুষ বিবর্তনীয় কাজিন এবং তাদের বিবর্তনীয় কমন পূর্বপুরুষ যে এপ ছিলো সেটা বিলুপ্ত, কেবল ফসিল আছে। আরো বড় কথা হচ্ছে মাঝপথের বহু প্রানির ফসিল তথা transitional fossil বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে বর্তমান পর্যন্ত আবিস্কার হয়েই যাচ্ছে, মানে মধ্যবর্তী ফসিল না পাওয়ার কথাটিও মিথ্যা।

Thursday, April 6, 2017

হোমো ডিউস - আগামির এক সাময়িক ইতিহাস

১. নতুন মনুষ্য লক্ষ্য
তৃতীয় সহস্রাব্দের সূচনাকালে, মানবজাতি জেগে উঠে, তার অঙ্গগুলো প্রসারন করে এবং চোখগুলো ঘষে। কিছু দুঃসহ দুঃস্বপ্নের অবশিষ্টাংশ তখনো তার মনে ভেসে বেড়াচ্ছে। “ওখানে কিছু একটা ছিলো, কাটাতারের বেড়া এবং বড় আকারের ব্যাঙের ছাতাকৃতি মেঘসহকারে। যাই হোক, এটা স্বপ্ন ছিলো।” বাথরুমে গিয়ে, মানবজাতি তার মুখ ধুলো, তার ভাজগুলো আয়নাতে দেখলো, এককাপ কফি বানালো এবং ডায়রি খুললো। “দেখি আমাদের লক্ষ্যে কি আছে আজ।”
হাজারখানেকবছর ধরে এই প্রশ্নের উত্তর অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। একই তিন সমস্যা আগে থেকে জড়িয়ে রেখেছে বিংশ শতাব্দীর চীন, মধ্যযুগীয় ভারত এবং প্রাচীন মিশরকে। দুর্ভিক্ষ, মড়ক এবং যুদ্ধ সবসময়ে তালিকার উপরে ছিলো। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ প্রার্থনা করেছে প্রত্যেক ইশ্বর, স্বর্গদূত এবং দরবেশদের কাছে, এবং আবিষ্কার করেছে অগনিত যন্ত্র, সংস্থা এবং সামাজিক প্রথা - কিন্তু তারা মরতেই থাকলো, মিলিয়ন পরিমানে, দুর্ভিক্ষ, মড়ক ও হিংস্রতা থেকে। বহু চিন্তাবিদ ও নবীরা উপসংহারে পৌছায় যে দুর্ভিক্ষ, মড়ক এবং যুদ্ধ অবশ্যই ইশ্বরের পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ অথবা আমাদের অনুৎকৃষ্ট প্রকৃতির, এবং সময়ের শেষপ্রান্ত ছাড়া অন্যকিছুই তাদের ঠেকাবে না।
অথচ, তৃতীয় সহস্রাব্দের শুরুতে, মানবজাতি জেগে উঠলো এক আশ্চর্যজনক উপলদ্ধির মধ্যে। অধিকাংশ জনগন বিরল পরিমানে চিন্তা করে ব্যাপারটা নিয়ে, কিন্তু গত কয়েক দশকে আমরা দুর্ভিক্ষ, মড়ক এবং যুদ্ধে লাগাম দিতে পেরেছি। অবশ্যই, এই সমস্যাগুলো সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি, কিন্তু তারা পরিবর্তিত হয়েছে, বোধঅযোগ্য ও নিয়ন্ত্রনঅযোগ্য প্রাকৃতিক বল থেকে ব্যবস্থাযোগ্য প্রতিপক্ষে। এদের হাত থেকে রেহাই পেতে আমাদের দরকার পড়েনা কোনো ইশ্বর বা দরবেশের কাছে প্রার্থনা করতে। আমরা বেশ ভালো জানি যে দুর্ভিক্ষ, মড়ক ও যুদ্ধ রোধ করতে কি করা লাগবে - এবং আমরা সাধারনত তাতে সফল হই।
সত্য, এখনো উল্লেখযোগ্য ব্যর্থতা আছে; কিন্তু যখন এরকম ব্যর্থতার সম্মুখীন হই, আমরা আর কাধ ঝাড়িনা এবং বলিনা, “ভালো, এভাবেই সবকিছু কাজ করে আমাদের অনুৎকৃষ্ট জগতে।” অথবা “ইশ্বরের ইচ্ছায় সব হবে।” বরং, যখন দুর্ভিক্ষ, মড়ক অথবা যুদ্ধ আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে ভেংগে বের হয়ে যায়, আমরা অনুভব করি যে কেউ হয়তো ভুল ফালিয়েছে, আমরা তদন্ত কমিশন গঠন করি এবং নিজেদের শপথ নেই যে পরবর্তীকালে আমরা এর চেয়ে বেশি ভালো করবো।এবং তা আসলেই কাজ করে। এরকম বিপর্যয় আসলেই ঘটে আরো কম বারবার। ইতিহাসে প্রথম বার, কম খেয়ে মরা লোকের চেয়ে বেশি খেয়ে মরা লোকের সংখ্যা বেশি; সংক্রামক রোগে মরার চেয়ে বুড়া হয়ে মরে বেশি; এবং সৈন্যের হাতে হত্যা হবার চেয়ে বেশি লোক আত্মহত্যা করছে। একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, গড় সংখ্যক মানুষের সম্ভাবনা বেশি ম্যাকডোনাল্ডসে খাওয়ার প্রতিযোগীতায় মরা, খরা ইবোলা আল কায়েদার হাতে মরার তুলনায়।
তাই যদিও প্রেসিডেন্ট, সিইও, জেনারেলদের দৈনিক সময়সূচী অর্থনৈতিক সংকট ও সামরিক সংকটে ভরপূর, ইতিহাসের মহাজাগতিক মাত্রাতে মানবজাতি তার চোখ তুলে নতুন দিগন্তের দিকে তাকাতে পারবে। আমরা যদি আসলেই দুর্ভিক্ষ, মড়ক এবং যুদ্ধকে নিয়ন্ত্রনে আনছি, মানবজাতির লক্ষ্যতালিকার উপরের দিকে তাদেরকে কারা প্রতিস্থাপন করবে? অগ্নিকান্ড বিহীন বিশ্বে দমকলকর্মীদের মতোই, একবিংশ শতাব্দীতে মানবজাতি তার নিজেকে এক পূর্বপ্রস্তুতিহীন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই হবে: আমরা নিজেদের নিয়ে কি করবো? একটি স্বাস্থ্যবান, সমৃদ্ধশালী ও সহবস্থানময় জগতে, কি আমাদের মনোযোগ ও বুদ্ধিমত্তাকে আকর্ষন করবে? এই প্রশ্ন দ্বিগুন জরুরি হয়ে পড়ে, জৈবপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের যে কড়া নতুন ক্ষমতা দিচ্ছে, তার হিসাবে।আমরা কি করবো এত ক্ষমতা দিয়ে?

Thursday, March 9, 2017

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-৪

পেরা সাজিদ ৪ নাম্বার চেপটারের জবাব। সবার কাছে চ্যালেঞ্জ এর চেয়ে উন্নততর জবাব তৈরির।
"সাজিদ বললো,- ‘যে মূহুর্তে আমরা যুক্তির শর্ত ভাঙবো, ঠিক সেই মূহুর্তে যুক্তি আর যুক্তি থাকবে না।যেটা তখন হবে কু-যুক্তি। ইংরেজিতে বলে- logical fallacy. সেটা তখন আত্মবিরোধের জন্ম দেবে, বুঝেছেন?’
– ‘হ্যাঁ।’- লোকটা বললো।
– ‘আপনি প্রশ্ন করেছেন স্রষ্টার শক্তি নিয়ে। তার মানে, প্রাথমিকভাবে আপনি ধরে নিলেন যে, একজন স্রষ্টা আছেন, রাইট?’
– ‘হ্যাঁ।’
– ‘এখন স্রষ্টার একটি অন্যতম গুণ হলো- তিনি অসীম, ঠিক না?’
– ‘হ্যাঁ, ঠিক।’
– ‘এখন আপনি বলেছেন, স্রষ্টা এমনকিছু বানাতে পারবে কিনা, যেটা স্রষ্টা তুলতে পারবে না। দেখুন, আপনি নিজেই বলেছেন, এমনকিছু, আই মিন something, রাইট?’
– ‘হ্যাঁ।’
– ‘আপনি ‘এমনকিছু’ বলে আসলে জিনিসটার একটা আকৃতি, শেইপ,আকার বুঝিয়েছেন, তাই না? যখনই something ব্যবহার করেছেন, তখন মনে মনে সেটার একটা শেইপ আমরা চিন্তা করি, করি না?’
– ‘হ্যাঁ, করি।’
– ‘আমরা তো এমন কিছুকেই শেইপ বা আকার দিতে পারি, যেটা আসলে সসীম, ঠিক?’
– ‘হ্যাঁ, ঠিক।’
– ‘তাহলে এবার আপনার প্রশ্নে ফিরে যান। আপনি ধরে নিলেন যে স্রষ্টা আছে।স্রষ্টা থাকলে তিনি অবশ্যই অসীম।এরপর আপনি তাকে এমন কিছু বানাতে বলছেন যেটা সসীম।যেটার নির্দিষ্ট একটা মাত্রা আছে,আকার আছে,আয়তন আছে। ঠিক না?’
– ‘হ্যাঁ।’
– ‘পরে শর্ত দিলেন, তিনি সেটা তুলতে পারবে না।দেখুন,আপনার প্রশ্নে লজিকটাই ঠিক নেই। একজন অসীম সত্বা একটি সসীম জিনিস তুলতে পারবে না, এটা তো পুরোটাই লজিকের বাইরের প্রশ্ন। খুবই হাস্যকর না? আমি যদি বলি, উসাইন বোল্ট কোনদিনও দৌঁড়ে ৩ মিটার অতিক্রম করতে পারবে না, এটা কি হাস্যকর ধরনের যুক্তি নয়?’
সজিব নামের লোকটা এবার কিছু বললেন না। চুপ করে আছেন।"
গল্পের লাইনগুলোতে বিদ্যমান যুক্তির নামে মিথ্যাচার অর্থাৎ fallacy টা যেহেতু ছাগুরা নিজেরা দেখতে পাবেনা, তাই তাদের জন্য বলে দেওয়া হচ্ছে, লেখক একরকম "চাইপ্পা দৃশ্য স্কৃপ্ট ঠেলা" এর কাজ করলো যেখানে সে এরকম মিথ্যাচার দিতে চাইছে যে অউত্তোলনীয় বস্তু তৈরি করে সেটাকে উত্তোলনের প্রশ্নে বস্তুটার একটা আকার আকৃতি থাকতে হবে, যা বাস্তবে অর্থাৎ চিন্তার জায়গাতে গেলে আদৌ দরকারই না। আকার আকৃতিহীন অউত্তোলনীয় অর্থাৎ এমন বস্তু যার আকার আকৃতি নেই কিন্তু তৈরি করে উত্তোলন করা যাবেনা, তা দিয়েও প্রশ্ন হয়, কিন্তু লেখক আরিফ সেটা বলবেনা কারন সেটা বললে ওর নিজের কুযুক্তি সেখানেই ধরা। OH WAIT, আমি তো ধরা খাইয়েই দিলাম। যুক্তিবিদ্যায় এরকম মিথ্যাবাজিকে বলা হয় false equivalence. পরস্পর বিচ্ছিন্ন অর্থাৎ discrete ব্যাপারকে "পরস্পর সম্পর্কিত তুলনীয়" হিসাবে প্রচার।
"সাজিদ মুচকি হাসলো। বললো,- ‘আসলে সর্বশক্তিমান মানে এই না যে, তিনি যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।সর্বশক্তিমান মানে হলো- তিনি নিয়মের মধ্যে থেকেই সবকিছু করতে পারেন।নিয়মের বাইরে গিয়ে তিনি কিছু করতে পারেন না।করতে পারেন না বলাটা ঠিক নয়, বলা উচিত তিনি করেন না। এর মানে এই না যে- তিনি সর্বশক্তিমান নন বা তিনি স্রষ্টা নন।
এর মানে হলো এই- কিছু জিনিস তিনি করেন না, এটাও কিন্তু তার স্রষ্টা হবার গুণাবলি। স্রষ্টা হচ্ছেন সকল নিয়মের নিয়ন্ত্রক।এখন তিনি নিজেই যদি নিয়মের বাইরের হন- ব্যাপারটি তখন ডাবলষ্ট্যান্ড হয়ে যায়।স্রষ্টা এরকম নন। তার কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।তিনি সেই বৈশিষ্টগুলো অতিক্রম করেন না।সেগুলো হলো তার মোরালিটি।এগুলো আছে বলেই তিনি স্রষ্টা, নাহলে তিনি স্রষ্টা থাকতেন না।’
সাজিদের কথায় এবার আমি কিছুটা অবাক হলাম।আমি জিজ্ঞেস করলাম- ‘স্রষ্টা পারেনা এমন কি কাজ থাকতে পারে?’
সাজিদ আমার দিকে ফিরলো। ফিরে বললো,- ‘স্রষ্টা কি মিথ্যা কথা বলতে পারে? ওয়াদা ভঙ্গ করতে পারে? ঘুমাতে পারে? খেতে পারে?’
আমি বললাম,- ‘আসলেই তো।’
সাজিদ বললো,- ‘এগুলো স্রষ্টা পারেন না বা করেন না।কারন, এগুলা স্রষ্টার গুণের সাথে কন্ট্রাডিক্টরি।কিন্তু এগুলো করেন না বলে কি তিনি সর্বশক্তিমান নন? না। তিনি এগুলো করেন না,কারন, এগুলা তার মোরালিটির সাথে যায় না।’
এবার লোকটি প্রশ্ন করলো,- ‘কিন্তু এমন জিনিস তিনি বানাতে পারবেন না কেন, যেটা তিনি তুলতে পারবেন না?’
সাজিদ বললো,- ‘কারন, স্রষ্টা যদি এমন জিনিস বানান, যেটা তিনি তুলতে পারবেন না- তাহলে জিনিসটাকে অবশ্যই স্রষ্টার চেয়েও বেশি শক্তিশালী হতে হবে।
স্রষ্টা যে মূহুর্তে এরকম জিনিস বানাবেন, সেই মূহুর্তেই তিনি স্রষ্টা হবার অধিকার হারাবেন।তখন স্রষ্টা হয়ে যাবে তারচেয়ে বেশি শক্তিশালী ওই জিনিসটি।কিন্তু এটা তো স্রষ্টার নীতি বিরুদ্ধ। তিনি এটা কিভাবে করবেন?’
লোকটা বললো,- ‘তাহলে এমন জিনিস কি থাকা উচিত নয় যেটা স্রষ্টা বানাতে পারলেও তুলতে পারবে না?’
– ‘এমন জিনিস অবশ্যই থাকতে পারে, তবে যেটা থাকা উচিত নয়, তা হলো- এমন প্রশ্ন।’"
এখন আরিফ আজাদ স্বয়ং কুরান ও হাদিস বিকৃত করে ফেললো তার ইসলামকে প্রচার করতে। যেখানে কুরানে আয়াতই আছে যেখানে আল্লাহ নিজেকে "সর্বোত্তম ধুরন্দরবাজ" হিসাবে ঘোষনা দিয়াছে, আরবি শব্দটার সরাসরি অনুবাদ করলে দাড়ায় "সর্বোত্তম প্রতারক/মিথ্যুক" সেখানে আরিফ প্রচার করছে যে স্রষ্টা বা আল্লাহ সর্বশক্তিমান মানে "এই না যে সে সবকিছু করতে পারবে।" এখানে সে কুরানে বর্নীত এবং কুরানের বাইরে যত ধর্ম ও দর্শন আছে, সব অনুযায়ী সর্বশক্তিমানের যে "সংগা", সেটাই উল্টে ফেলে যা "সর্বশক্তিমান না" তাকে "সর্বশক্তিমান" হিসাব চালাচ্ছে। এখন আরিফ আজাদকে কুরান বিকৃতির দায়ে কেনো কতল করা হবেনা?
"সাজিদ বললো,- ‘ফাইনালি আপনাকে একটি প্রশ্ন করি। আপনার কাছে দুটি অপশান। হয় ‘হ্যাঁ’ বলবেন, নয়তো- ‘না’।আমি আবারো বলছি, হয় হ্যাঁ বলবেন, নয়তো- না।’
লোকটা বললো,- ‘আচ্ছা।’
– ‘আপনি কি আপনার বউকে পেটানো বন্ধ করেছেন?’
লোকটি কিছুক্ষন চুপ মেরে ছিলো।এরপর বললো,- ‘হ্যাঁ।’
এরপর সাজিদ বললো,- ‘তার মানে আপনি একসময় বউ পেটাতেন?’
লোকটা চোখ বড় বড় করে বললো,- আরে, না না।’
এবার সাজিদ বললো,- ‘হ্যাঁ’ নাহলে কি? না?’
লোকটা এবার ‘না’ বললো।’
সাজিদ হাসতে লাগলো। বললো- ‘তার মানে আপনি এখনো বউ পেটান?’
লোকটা এবার রেগে গেলো। বললো,- ‘আপনি ফাউল প্রশ্ন করছেন।আমি কোনদিন বউ পেটায়নি।এটা আমার নীতি বিরুদ্ধ।
সাজিদ বললো,- ‘আপনিও স্রষ্টাকে নিয়ে একটি ফাউল প্রশ্ন করেছেন। এটা স্রষ্টার নীতি বিরুদ্ধ।"
আরো কতবড় মিথ্যাচার ও কথার প্রতারনা, দেখুন। লোকটি বউ কোনোদিন না পেটালে "আপনি বউ পেটানো বন্ধ করেছেন" প্রশ্নের উত্তর হতো "আমি বউ কিবে পিটাতাম?/ বউ পিটানোর কথা কিভাবে আসলো?" সেখানে আরিফের স্কৃপ্টে "আপনি বউ পেটানো বন্ধ করেছেন" প্রশ্নে লোকটি উত্তর দিলো "হ্যা" মানে YES. এবার জিনিসটা এভাবে চিন্তা করেন পাঠকবৃন্দ। আপনারা আমাকে প্রশ্ন করলেন "আমি পর্ন দেখা বন্ধ করেছি কিনা?"। আমি যদি অতীতে পর্ন কোনোদিন না দেখতাম, তাহলে বলতাম "আমি কবে পর্ন দেখতাম?" কিন্তু আমি যদি বলি "হ্যা করেছি।" তার মানে অবশ্যই, ১০০% এটাই যে আমি অতীতে পর্ন দেখতাম,কারন না দেখলে দেখা বন্ধ করার প্রশ্নটাই আসতো না।