Friday, January 13, 2017

বিশ্বাস ও আস্থা প্রসঙ্গে

আগের লেখা "তথ্য ও শিক্ষণ প্রসঙ্গে" তে দেখিয়েছিলাম যে তথ্য কিভাবে তৈরি ও ছড়ায়, কিভাবে প্রমান ধ্বংসের চেষ্টা হয় মিথ্যা রক্ষনের জন্য, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।
মানুষসহ বিভিন্ন প্রানী যারা মগজভিত্তিক স্নায়ুব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন চিন্তা ও স্মৃতি তৈরি করতে সক্ষম, তারা যেহেতু মনের ভেতরে কি তৈরি হয়েছে, তা মন থেকে মনে পড়তে অর্থাৎ mind reading করার মতো ব্যবস্থা, প্রযুক্তি এখনো তৈরি করতে পারেনি, সেহেতু তাদেরকে সর্বনিকট সম্ভাব্য তথ্যপ্রকাশ ব্যবস্থা অর্থাৎ ভাষার উপরে নির্ভর করতে হয়। এই ভাষার রয়েছে বোধঅগম্যতা বা ambiguity এর সমস্যাটা, অর্থাৎ, ভাষার ব্যবহারকারী যা বলছে, মনে তাই আছে কিনা। জগতের ব্যবস্থায় সততা অর্থাৎ মনে যা আছে, ভাষাপ্রকাশে তাই প্রকাশ করার অভাবের কারনে বিভিন্ন প্রানীকে কথ্যভাষার পাশাপাশি চিহ্নভাষা অর্থাৎ sign language এর উপরে নির্ভর করতে হয়, যেমন আচরন, চেহারা, শরীরের ভঙ্গি, জীবনে নেওয়া বিভিন্ন কাজের উপরে নির্ভর করে মনের তথ্যকে জানার সবচেয়ে সম্ভাব্য চেষ্টাটা করা। এই চিহ্নভাষাতে আবার সমস্যা হচ্ছে যে এখানে আবার ভুল ফালানো হয় এবং কথ্যভাষায় মনের ভাব প্রকাশের চেয়ে বেশি পরিমানে, অর্থাৎ ভুল বোঝা। কিন্তু প্রানীসমাজগুলোতে সততা সহগ অর্থাৎ truth factor এর পরিমান হিসাবে নিয়ে মানুষসহ বিভিন্ন প্রানী চিহ্নভাষার উপরে নির্ভরশীল এখনো শুধু এই সহগের পরিমানের কারনেই।

Friday, January 6, 2017

তথ্য ও শিক্ষণ প্রসঙ্গে

জগতে কোনো ঘটনা প্রানীকুল যেভাবে তার ইন্দ্রিয়গুলো দিয়ে অনুধাবন করে যেভাবে তার বর্ণনাযোগ্য অনুধাবন তৈরি করে, সেটাকে তথ্য/জ্ঞান বলে। জগতে সংঘটিত ঘটনসংখ্যা এবং তা থেকে সৃষ্ট অনুধাবনের সংখ্যা হিসাব করলে এটা প্রমান হয় যে তথ্যের পরিমান অসীম এবং প্রতিনিয়ত তৈরি হয়। তথ্য বিনিময়ের জন্য বিভিন্ন প্রানী তাদের প্রজাতিতে বিদ্যমান বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে থাকে যেটা সে প্রজাতির প্রানীরা বুঝতে সক্ষম হয়। কিছু প্রজাতির প্রানীরা জগতে স্বার্থের প্রয়োজনে মিথ্যা তথ্য অর্থাৎ যে তথ্য বাস্তবতার সাথে মিলেনা, সে তথ্যকে বাস্তবতার তথ্য হিসাবে প্রচার করার মতো বুদ্ধি অর্জন করার ফলে ঐসব প্রানীসমাজে মিথ্যাচারের প্রচলন ঘটে, অনুরূপভাবে মানুষের সমাজের ইতিহাসে মিথ্যাচারের প্রচলন ও বিস্তার ঘটে। কোন তথ্য সত্য আর কোন তথ্য মিথ্যা, সেটা ধরার জন্য তথ্যকে যাচাইকরামূলক অতিরিক্ত সংযোজিত তথ্য লাগে, যেটাকে প্রমান বলা হয়। সকল তথ্যের পিছনে জগতে প্রমান থাকা বৈজ্ঞানিকভাবে অসম্ভব তথ্যসৃষ্টি ও বিস্তারের সূত্রমতে, আমি কোনো ঘটনার তারিখ ও ঘটনা ব্যাপারে যা বলছি, তা সত্য হতে পারে, মিথ্যাও হতে পারে এবং প্রমান হয়তো না থেকেই তা সত্য বা মিথ্যা হতে পারে। তথ্য দেওয়া ও নেওয়া অর্থাৎ পরিবহনের এই খাতে এই ব্যাপারটির সাথে সম্পর্কিত হিসাবে বিদ্যমান তথ্যের উপরে বিশ্বাসের ব্যাপার। যেহেতু মানবজাতির মধ্যে এখনো এমন কোনো দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্য তৈরি হয়নি যার ফলে সে সত্য কথা বললে তার ঐ দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্যটি পরিবর্তন হবে বা মিথ্যা বলে ঐ বৈশিষ্ট্যটি পরিবর্তন হবে, সেহেতু এখনো শুধু কথা দেখে বোঝার উপায় নেই যে কথাটি সত্য নাকি মিথ্যা এবং কথাটি শ্রোতা/দর্শক বিশ্বাস করেছে নাকি করেনি, পুরো ব্যাপারটাই মগজের ভেতরে এবং সচেতনভাবে হোক, অচেতনভাবে হোক, অধিকাংশ মানুষ ভাষাগতভাবে তার মনকে একদম ১০০% প্রকাশ করতে সক্ষম নয়।