Tuesday, January 19, 2016

গেমারগেট পরিচিতি

২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে শুরু হওয়া অনলাইন ঘটনা (online phenomenon) এটি যা তীব্র মাত্রায় মিডিয়া কভারেজ পায়। ঘটনাটি ভিডিওগেমের সাংস্কৃতিক জগতে প্রগতিবাদ (progressivism) ও যৌনবৈষম্যবাদ (sexism) এর আলোচনাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে। ঘটনাটির সূচনা হয় জো কুইন (zoe quinn) এর সাবেক বালকবন্ধু এরন জনি (eron gzoni) প্রকাশিত ব্লগ "zoe post" এর পরে, যেখানে সে ৯৪২৫ টি শব্দের একটি রচনাতে বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা করে যার সারাংশ হচ্ছে যে কুইন, নাথান গ্রেসন নামক এক সাংবাদিক, যে সাংবাদিক গকার মিডিয়ার কোটাকু পত্রিকায় কাজ করতো। ব্লগটি প্রকাশের পর অনলাইনে যেসব ব্যক্তিরা, তাদের নিজস্ব ভাষ্য অনুযায়ী "ভিডিওগেম সংস্কৃতিতে রাজনৈতিক সংশোধনবাদ (political correctness) এর বিরুদ্ধে" তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে #gamergate হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে ও তার সাথে নিজস্ব ঘৃনাবাচ্য (hate speech), হুমকি এবং ব্যক্তিগত তথ্যপ্রকাশের কাজ করে থাকে। গেমারগেটপন্থীদের অধিকাংশরা টুইটার, ফোরচ্যান, এইটচ্যান ও রেডিটে জড়ো হয়ে তাদের কাজগুলো করতে থাকে। বিস্তারিত: https://en.wikipedia.org/wiki/Gamergate_controversy

Thursday, January 14, 2016

প্রাইভেসি লংঘন নাকি?

http://www.istishon.com/node/15341 এই লিংকে এবং http://www.istishon.com/node/15314 এই লিংকে প্রদর্শিত তথ্যগুলোর উৎস কি? তথ্যগুলো কি আদৌ সত্য প্রমানিত। সত্য প্রমানিত ও গোপন সূত্র হয়ে থাকলে "গোপন সূত্র"সমূহ থেকে গোপন খবর পাবলিক ব্লগে আসলো কিভাবে? প্রাইভেসি আইনের লংঘনের মাধ্যমে গোপন তথ্য প্রকাশ ও একইসাথে libel অর্থাৎ মানহানির অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা কেনো? এই ব্লগাররা কিভাবে সকল আইন ও ক্ষমতার উর্ধ্বে উঠলো?

Friday, January 8, 2016

নাস্তিকতা, মুক্তচিন্তা, তৎসংশ্লিষ্ট ধান্দাবাজি

নাস্তিকতা, মুক্তচিন্তা নিয়ে তথ্যপ্রকাশ নিয়ে একধরণের ধান্দাবাজি হচ্ছে যার লক্ষণ হচ্ছে নাস্তিকতা নিয়ে নেটে লেখা বাঙালিদের আকস্মিক খ্যাতিবৃদ্ধি, বিত্তবৃদ্ধি, ক্ষমতাবৃদ্ধি এবং এই ধান্দাবাজির পথে আনার জন্য নব্য নাস্তিক বাঙালিদের একরকম খোচা দেওয়া হচ্ছে। ইউজনেট ও ৯০ এর দশকের ইন্টারনেটে নাস্তিকতা, ধর্মের ইতিহাস, বিশ্বের ইতিহাস নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন ইংরেজি লেখার বাংলা অনুবাদ করার জন্য যে এতকিছু হচ্ছে, তার ফলে তারা যে ক্ষমতা ও গুরুত্ব পাচ্ছে সেটাকে ইংরেজিতে unwarranted importance বলা যায়, বাংলায় অযাচিত গুরুত্ব। সাথে অর্থপ্রাপ্তির ব্যাপার আছেই।

Saturday, January 2, 2016

সন্ত্রাস ও বিপ্লব

বিপ্লব বা revolution এর সংজ্ঞানুযায়ী সকল বিপ্লবী কর্মই সন্ত্রাস। মুক্তমনা-দাবিদারদের কৃত বিপ্লবসমূহ অবশ্যই সন্ত্রাসের বাইরে কিছু নয়। ইন্টারনেট ও বাস্তবজগতে ব্যক্তিগত তথ্যফাস, মিথ্যাচার, শারীরিক ও মানসিক আক্রমনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারী মুক্তমনা-নামধারীদের রূপ উন্মোচনের কাজ অনেকটা স্বতঃর্স্ফূতভাবে এই ব্লগের লেখক করে ফেলেছিলেন। https://www.youtube.com/watch?v=V8F003H46rA কিছু প্রমাণ।

anti-psychiatry, মানসিক চিকিৎসাবিরোধিতা

মানসিক চিকিৎসাবিরোধিতা আন্দোলনটি মানসিক চিকিৎসার "মননিয়ন্ত্রক (mind controlling)" এবং বিপদজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জায়গা থেকে পরিচালিত। মুক্তমনা বা freethinker এর শর্তসমূহের একটি হলো anti-psychiatry এর সমর্থন, চিন্তা ও আচরনের স্বাধীনতার জায়গা থেকে। বাঙালি সমাজে বিদ্যমান নাস্তিক ব্লগার ও ফেসবুকারদের মধ্যে মুক্তমনা দাবিদারদের অধিকাংশরাই এই শর্তটি পূরণ করেনা বরং তারা মানসিক চিকিৎসাব্যবস্থার কড়া সমর্থক, যা বড় মাত্রার hypocrisy তথা বাটপারি। আইন ও সামরিকব্যবস্থায় যথেষ্ট ক্ষমতা না থাকায় এদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা দেওয়া যাচ্ছেনা।

মুক্তমনাদের বৈশিষ্ট্য ও "মুক্তমনা নামধারী"

মুক্তচিন্তা ও মুক্তমনার সর্বগৃহীত সংজ্ঞা অনুযায়ী মুক্তমনারা গালি দিতে পারবেনা, মজা নিতে পারবেনা, মিথ্যাচার করতে পারবেনা, বৈষম্য (discrimination) ও করুণা করতে পারবেনা, অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য অনুসন্ধান করে অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারবেনা। বাঙালি সমাজে বিদ্যমান অধিকাংশ মুক্তমনা দাবীদাররা (সবাই নয়) "মুক্তমনা নামধারী" (self-proclaimed freethinkers/freethinkers in name only) তাদের মধ্যে সে বৈশিষ্ট্যগুলো অনুপস্থিত বরঙ মানবতার চরম অবমাননা ও ধ্বংসকারী বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান যা তারা ইন্টারনেটে গালি, ব্যক্তিগত তথ্যপ্রকাশ, হুমকি ও ভীতিপ্রদানের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। এই ব্লগের লেখক ও মালিক নিজে সেগুলোর কট্টর ভিকটিম হিসেবে এই কথা বলছে। আইন ও সামরিকব্যবস্থায় যথেষ্ট ক্ষমতা না থাকায় এদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা দেওয়া যাচ্ছেনা।