Monday, February 12, 2018

উৎসনির্দেশ প্রসঙ্গে

উৎসনির্দেশ হচ্ছে referencing এর বাংলা। কোনো কথা কাজ প্রভৃতি তথ্যের উৎস দেখানোর পদ্ধতি এটা। উৎসনির্দেশের পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রেনিবিভাগ হচ্ছে মূখ্য ও গৌন উৎসনির্দেশ। কোনো নির্দেশের উৎসটি সে নিজে হলে সেটা মূখ্য ও উৎসটি বাইরের কেউ হলে তা গৌন। জিনিসটা সহজভাবে বুঝতে এভাবে দেখুন যে কারো দাবির পক্ষে কেউ যদি প্রমান হিসাবে বলে তার নিজের দাবিটিই প্রমান, সেটা মূখ্য উৎসনির্দেশ আর প্রমান হিসাবে বাইরের কোনো উৎস নিয়ে আসলে তা গৌন। লক্ষ্যনীয় যে ধর্মভিত্তিক ব্যবস্থা ও ধর্মগ্রন্থের উৎসনির্দেশ পদ্ধতিগুলো সবসময়ে মূখ্য যেমন কুরান বেদ এসবের প্রমান তাদের লেখা নিজে, ইসলাম সত্য কারন কুরানে লেখা আছে বলে, কুরানে লেখা আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই তাই তাতে সন্দেহ নেই। গৌন উৎসনির্দেশে আবার ব্যাপার থাকে গৌন উৎসের সত্যতা যাচাই নিয়ে, আদালতের মিথ্যা সাক্ষ্য ব্যাপারগুলো দ্রষ্টব্য।