Thursday, March 9, 2017

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-৪

পেরা সাজিদ ৪ নাম্বার চেপটারের জবাব। সবার কাছে চ্যালেঞ্জ এর চেয়ে উন্নততর জবাব তৈরির।
"সাজিদ বললো,- ‘যে মূহুর্তে আমরা যুক্তির শর্ত ভাঙবো, ঠিক সেই মূহুর্তে যুক্তি আর যুক্তি থাকবে না।যেটা তখন হবে কু-যুক্তি। ইংরেজিতে বলে- logical fallacy. সেটা তখন আত্মবিরোধের জন্ম দেবে, বুঝেছেন?’
– ‘হ্যাঁ।’- লোকটা বললো।
– ‘আপনি প্রশ্ন করেছেন স্রষ্টার শক্তি নিয়ে। তার মানে, প্রাথমিকভাবে আপনি ধরে নিলেন যে, একজন স্রষ্টা আছেন, রাইট?’
– ‘হ্যাঁ।’
– ‘এখন স্রষ্টার একটি অন্যতম গুণ হলো- তিনি অসীম, ঠিক না?’
– ‘হ্যাঁ, ঠিক।’
– ‘এখন আপনি বলেছেন, স্রষ্টা এমনকিছু বানাতে পারবে কিনা, যেটা স্রষ্টা তুলতে পারবে না। দেখুন, আপনি নিজেই বলেছেন, এমনকিছু, আই মিন something, রাইট?’
– ‘হ্যাঁ।’
– ‘আপনি ‘এমনকিছু’ বলে আসলে জিনিসটার একটা আকৃতি, শেইপ,আকার বুঝিয়েছেন, তাই না? যখনই something ব্যবহার করেছেন, তখন মনে মনে সেটার একটা শেইপ আমরা চিন্তা করি, করি না?’
– ‘হ্যাঁ, করি।’
– ‘আমরা তো এমন কিছুকেই শেইপ বা আকার দিতে পারি, যেটা আসলে সসীম, ঠিক?’
– ‘হ্যাঁ, ঠিক।’
– ‘তাহলে এবার আপনার প্রশ্নে ফিরে যান। আপনি ধরে নিলেন যে স্রষ্টা আছে।স্রষ্টা থাকলে তিনি অবশ্যই অসীম।এরপর আপনি তাকে এমন কিছু বানাতে বলছেন যেটা সসীম।যেটার নির্দিষ্ট একটা মাত্রা আছে,আকার আছে,আয়তন আছে। ঠিক না?’
– ‘হ্যাঁ।’
– ‘পরে শর্ত দিলেন, তিনি সেটা তুলতে পারবে না।দেখুন,আপনার প্রশ্নে লজিকটাই ঠিক নেই। একজন অসীম সত্বা একটি সসীম জিনিস তুলতে পারবে না, এটা তো পুরোটাই লজিকের বাইরের প্রশ্ন। খুবই হাস্যকর না? আমি যদি বলি, উসাইন বোল্ট কোনদিনও দৌঁড়ে ৩ মিটার অতিক্রম করতে পারবে না, এটা কি হাস্যকর ধরনের যুক্তি নয়?’
সজিব নামের লোকটা এবার কিছু বললেন না। চুপ করে আছেন।"
গল্পের লাইনগুলোতে বিদ্যমান যুক্তির নামে মিথ্যাচার অর্থাৎ fallacy টা যেহেতু ছাগুরা নিজেরা দেখতে পাবেনা, তাই তাদের জন্য বলে দেওয়া হচ্ছে, লেখক একরকম "চাইপ্পা দৃশ্য স্কৃপ্ট ঠেলা" এর কাজ করলো যেখানে সে এরকম মিথ্যাচার দিতে চাইছে যে অউত্তোলনীয় বস্তু তৈরি করে সেটাকে উত্তোলনের প্রশ্নে বস্তুটার একটা আকার আকৃতি থাকতে হবে, যা বাস্তবে অর্থাৎ চিন্তার জায়গাতে গেলে আদৌ দরকারই না। আকার আকৃতিহীন অউত্তোলনীয় অর্থাৎ এমন বস্তু যার আকার আকৃতি নেই কিন্তু তৈরি করে উত্তোলন করা যাবেনা, তা দিয়েও প্রশ্ন হয়, কিন্তু লেখক আরিফ সেটা বলবেনা কারন সেটা বললে ওর নিজের কুযুক্তি সেখানেই ধরা। OH WAIT, আমি তো ধরা খাইয়েই দিলাম। যুক্তিবিদ্যায় এরকম মিথ্যাবাজিকে বলা হয় false equivalence. পরস্পর বিচ্ছিন্ন অর্থাৎ discrete ব্যাপারকে "পরস্পর সম্পর্কিত তুলনীয়" হিসাবে প্রচার।
"সাজিদ মুচকি হাসলো। বললো,- ‘আসলে সর্বশক্তিমান মানে এই না যে, তিনি যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।সর্বশক্তিমান মানে হলো- তিনি নিয়মের মধ্যে থেকেই সবকিছু করতে পারেন।নিয়মের বাইরে গিয়ে তিনি কিছু করতে পারেন না।করতে পারেন না বলাটা ঠিক নয়, বলা উচিত তিনি করেন না। এর মানে এই না যে- তিনি সর্বশক্তিমান নন বা তিনি স্রষ্টা নন।
এর মানে হলো এই- কিছু জিনিস তিনি করেন না, এটাও কিন্তু তার স্রষ্টা হবার গুণাবলি। স্রষ্টা হচ্ছেন সকল নিয়মের নিয়ন্ত্রক।এখন তিনি নিজেই যদি নিয়মের বাইরের হন- ব্যাপারটি তখন ডাবলষ্ট্যান্ড হয়ে যায়।স্রষ্টা এরকম নন। তার কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।তিনি সেই বৈশিষ্টগুলো অতিক্রম করেন না।সেগুলো হলো তার মোরালিটি।এগুলো আছে বলেই তিনি স্রষ্টা, নাহলে তিনি স্রষ্টা থাকতেন না।’
সাজিদের কথায় এবার আমি কিছুটা অবাক হলাম।আমি জিজ্ঞেস করলাম- ‘স্রষ্টা পারেনা এমন কি কাজ থাকতে পারে?’
সাজিদ আমার দিকে ফিরলো। ফিরে বললো,- ‘স্রষ্টা কি মিথ্যা কথা বলতে পারে? ওয়াদা ভঙ্গ করতে পারে? ঘুমাতে পারে? খেতে পারে?’
আমি বললাম,- ‘আসলেই তো।’
সাজিদ বললো,- ‘এগুলো স্রষ্টা পারেন না বা করেন না।কারন, এগুলা স্রষ্টার গুণের সাথে কন্ট্রাডিক্টরি।কিন্তু এগুলো করেন না বলে কি তিনি সর্বশক্তিমান নন? না। তিনি এগুলো করেন না,কারন, এগুলা তার মোরালিটির সাথে যায় না।’
এবার লোকটি প্রশ্ন করলো,- ‘কিন্তু এমন জিনিস তিনি বানাতে পারবেন না কেন, যেটা তিনি তুলতে পারবেন না?’
সাজিদ বললো,- ‘কারন, স্রষ্টা যদি এমন জিনিস বানান, যেটা তিনি তুলতে পারবেন না- তাহলে জিনিসটাকে অবশ্যই স্রষ্টার চেয়েও বেশি শক্তিশালী হতে হবে।
স্রষ্টা যে মূহুর্তে এরকম জিনিস বানাবেন, সেই মূহুর্তেই তিনি স্রষ্টা হবার অধিকার হারাবেন।তখন স্রষ্টা হয়ে যাবে তারচেয়ে বেশি শক্তিশালী ওই জিনিসটি।কিন্তু এটা তো স্রষ্টার নীতি বিরুদ্ধ। তিনি এটা কিভাবে করবেন?’
লোকটা বললো,- ‘তাহলে এমন জিনিস কি থাকা উচিত নয় যেটা স্রষ্টা বানাতে পারলেও তুলতে পারবে না?’
– ‘এমন জিনিস অবশ্যই থাকতে পারে, তবে যেটা থাকা উচিত নয়, তা হলো- এমন প্রশ্ন।’"
এখন আরিফ আজাদ স্বয়ং কুরান ও হাদিস বিকৃত করে ফেললো তার ইসলামকে প্রচার করতে। যেখানে কুরানে আয়াতই আছে যেখানে আল্লাহ নিজেকে "সর্বোত্তম ধুরন্দরবাজ" হিসাবে ঘোষনা দিয়াছে, আরবি শব্দটার সরাসরি অনুবাদ করলে দাড়ায় "সর্বোত্তম প্রতারক/মিথ্যুক" সেখানে আরিফ প্রচার করছে যে স্রষ্টা বা আল্লাহ সর্বশক্তিমান মানে "এই না যে সে সবকিছু করতে পারবে।" এখানে সে কুরানে বর্নীত এবং কুরানের বাইরে যত ধর্ম ও দর্শন আছে, সব অনুযায়ী সর্বশক্তিমানের যে "সংগা", সেটাই উল্টে ফেলে যা "সর্বশক্তিমান না" তাকে "সর্বশক্তিমান" হিসাব চালাচ্ছে। এখন আরিফ আজাদকে কুরান বিকৃতির দায়ে কেনো কতল করা হবেনা?
"সাজিদ বললো,- ‘ফাইনালি আপনাকে একটি প্রশ্ন করি। আপনার কাছে দুটি অপশান। হয় ‘হ্যাঁ’ বলবেন, নয়তো- ‘না’।আমি আবারো বলছি, হয় হ্যাঁ বলবেন, নয়তো- না।’
লোকটা বললো,- ‘আচ্ছা।’
– ‘আপনি কি আপনার বউকে পেটানো বন্ধ করেছেন?’
লোকটি কিছুক্ষন চুপ মেরে ছিলো।এরপর বললো,- ‘হ্যাঁ।’
এরপর সাজিদ বললো,- ‘তার মানে আপনি একসময় বউ পেটাতেন?’
লোকটা চোখ বড় বড় করে বললো,- আরে, না না।’
এবার সাজিদ বললো,- ‘হ্যাঁ’ নাহলে কি? না?’
লোকটা এবার ‘না’ বললো।’
সাজিদ হাসতে লাগলো। বললো- ‘তার মানে আপনি এখনো বউ পেটান?’
লোকটা এবার রেগে গেলো। বললো,- ‘আপনি ফাউল প্রশ্ন করছেন।আমি কোনদিন বউ পেটায়নি।এটা আমার নীতি বিরুদ্ধ।
সাজিদ বললো,- ‘আপনিও স্রষ্টাকে নিয়ে একটি ফাউল প্রশ্ন করেছেন। এটা স্রষ্টার নীতি বিরুদ্ধ।"
আরো কতবড় মিথ্যাচার ও কথার প্রতারনা, দেখুন। লোকটি বউ কোনোদিন না পেটালে "আপনি বউ পেটানো বন্ধ করেছেন" প্রশ্নের উত্তর হতো "আমি বউ কিবে পিটাতাম?/ বউ পিটানোর কথা কিভাবে আসলো?" সেখানে আরিফের স্কৃপ্টে "আপনি বউ পেটানো বন্ধ করেছেন" প্রশ্নে লোকটি উত্তর দিলো "হ্যা" মানে YES. এবার জিনিসটা এভাবে চিন্তা করেন পাঠকবৃন্দ। আপনারা আমাকে প্রশ্ন করলেন "আমি পর্ন দেখা বন্ধ করেছি কিনা?"। আমি যদি অতীতে পর্ন কোনোদিন না দেখতাম, তাহলে বলতাম "আমি কবে পর্ন দেখতাম?" কিন্তু আমি যদি বলি "হ্যা করেছি।" তার মানে অবশ্যই, ১০০% এটাই যে আমি অতীতে পর্ন দেখতাম,কারন না দেখলে দেখা বন্ধ করার প্রশ্নটাই আসতো না।

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-৩

পেরা সাজিদ ৩ নাম্বার চেপটারের জবাব। সবার কাছে চ্যালেঞ্জ এর চেয়ে উন্নততর জবাব তৈরির।
"সাজিদ বললো,- ‘খালু, ইতিহাস থেকে আমরা আরো জানতে পারি, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকে চতুর্থ আমেনহোটেপের আগে যেসকল শাসকেরা মিশরকে শাসন করেছে, তাদের সবাইকেই ‘রাজা’ বলে ডাকা হতো। কিন্তু, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে চতুর্থ আমেনহোটেপের পরে যেসকল শাসকেরা মিশরকে শাসন করেছিলো, তাদের সবাইকে ‘ফেরাঊন’ বলে ডাকা হতো। ঈউসুফ আঃ মিশরকে শাসন করেছিলেন খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকের চতুর্থ আমেনহোটেপের আগে।আর, মূসা আঃ মিশরে জন্মলাভ করেছিলেন চতুর্থ আমেনহোটেপের কমপক্ষে আরো দু’শো বছর পরে।অর্থাৎ, মূসা আঃ যখন মিশরে জন্মগ্রহন করেন, তখন মিশরের শাসকদের আর ‘রাজা’ বলা হতো না, ‘ফেরাঊন’ বলা হতো।’
– ‘হুম, তো?’
– ‘কিন্তু খালু, কোরানে ঈউসুফ আঃ এবং মূসা আঃ দুইজনের কথাই আছে। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, কোরান ঈউসুফ আঃ এর বেলায় শাসকদের ক্ষেত্রে ‘রাজা’ শব্দ ব্যবহার করলেও, একই দেশের, মূসা আঃ এর সময়কার শাসকদের বেলায় ব্যবহার করেছে ‘ফিরাঊন’ শব্দটি। বলুন তো খালু, মরুভূমির বালুতে উট চরানো বালক মুহাম্মদ সাঃ ইতিহাসের এই পাঠ কোথায় পেলেন? তিনি কিভাবে জানতেন যে, ঈউসুফ আঃ এর সময়ের শাসকদের ‘রাজা’ বলা হতো, মূসা আঃ সময়কার শাসকদের ‘ফেরাঊন’? এবং, ঠিক সেই মতো শব্দ ব্যবহার করে তাদের পরিচয় দেওয়া হলো?’
মহব্বত আলি নামের ভদ্রলোকটি হো হো হো করে হাসতে লাগলো। বললো,- ‘মূসা আর ঈউসুফের কাহিনী তো বাইবেলেও ছিলো। মুহাম্মদ সেখান থেকে কপি করেছে, সিম্পল।’
সাজিদ মুচকি হেসে বললো,- ‘খালু, ম্যাটার অফ সরো দ্যাট, বাইবেল এই জায়গায় চরম একটি ভুল করেছে। বাইবেল ঈউসুফ আঃ এবং মূসা আঃ দুজনের সময়কার শাসকদের জন্যই ‘ফেরাঊন’ শব্দ ব্যবহার করেছে, যা ঐতিহাসিক ভুল। আপনি চাইলে আমি আপনাকে বাইবেলের ওল্ড টেষ্টামেণ্ট থেকে প্রমান দেখাতে পারি।’
লোকটা কিছুই বললো না। চুপ করে আছে। সম্ভবত, উনার প্রমান দরকার হচ্ছে না।"
এখন হা-রিপ মিথ্যা ইতিহাস শেখানো শুরু করেছে। যেখানে বাস্তব সত্য হলো আমেনহোটেপ এর আগে যত "রাজা" ছিলো, তাদেরকেও ফেরাউন বলে ডাকা হতো। wikipedia article on pharaoh, amenhotep iv পড়ে দেখুন।
মুহাম্মাদ উম্মি ছিলোনা। মুসলমানদের স্বয়ং বুখারি হাদিসই বলে যে মুহাম্মদ চিঠি লিখতো, তাও হুমকিওয়ালা চিঠি, নিজের হাতে। মুসলমানরা কতবড় চুতিয়া হলে হাদিস বিকৃতি করে নিজেদের বাচাতে। বাইবেলিয় জোসেফ (কুরানি ইউসুফ) ও মোজেস (কুরানি মুসা) দুইটার সময়কালই ছিলো ফেরাউন ফারাও বংশের আমল। তাতে কি দাড়ালো? কুরানের ভুল, বাইবেলের বেশি।
"সাজিদ আবার বলতে লাগলো,- ‘খালু, কোরানে একটি সূরা আছে, সূরা আল ফাজর নামে। এই সূরার ৬ নম্বর আয়াতটি এরকম,- ‘তোমরা কি লক্ষ্য করো নি, তোমাদের পালনকর্তা ইরাম গোত্রের সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?’
এই সূরা ফাজরে মূলত আদ জাতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। আদ জাতির আলাপের মধ্যে হঠাৎ করে ‘ইরাম’ নামে একটি শব্দ চলে এলো, যা কেউই জানতো না এটা আসলে কি। কেউ কেউ বললো, এটা আদ জাতির কোন বীর পালোয়ানের নাম, কেউ কেউ বললো, এই ইরাম হতে পারে আদ জাতির শারীরিক কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য, কারন, এই সূরায় আদ জাতির শক্তিমত্তা নিয়েও আয়াত আছে। মোদ্দাকথা, এই ‘ইরাম’ আসলে কি, সেটার সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা কেউই দিতে পারেনি তখন। এমনকি, গোটা পৃথিবীর কোন ইতিহাসে ‘ইরাম’ নিয়ে কিছুই বলা ছিলো না।
কিন্তু, ১৯৭৩ সালে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সিরিয়ায় মাটির নিচে একটি শহরের সন্ধান পায়।এই শহরটি ছিলো আদ জাতিদের শহর। সেই শহরে পাওয়া যায়, সুপ্রাচীন উঁচু উঁচু দালান। এমনকি, এই শহরে আবিষ্কার হয় তখনকার একটি লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরিতে একটি তালিকা পাওয়া যায়। এই তালিকায় তারা যেসকল শহরের সাথে বাণিজ্য করতো, সেসব শহরের নাম উল্লেখ ছিলো।আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এই- সেই তালিকায় ‘ইরাম’ নামের একটি শহরের নামও পাওয়া যায়, যেটা আদ জাতিদেরই একটি শহর ছিলো। শহরটি ছিলো একটি পাহাড়ের মধ্যে। এতেও ছিলো সুউচ্চ দালান।
চিন্তা করুন, যে ‘ইরাম’ শব্দের সঠিক ব্যাখ্যা এর পূর্বে তাফসিরকারকরাও করতে পারেনি। কেউ এটাকে বীরের নাম, কেউ এটাকে আদ জাতির শারিরীক বৈশিষ্ট্যের নাম বলে ব্যাখ্যা করেছে,
১৯৭৩ সালের আগে যে ‘ইরাম’ শহরের সন্ধান পৃথিবীর তাবৎ ইতিহাসে ছিলো না, কোন ভূগোলবিদ, ইতিহাসবিদই এই শহর সম্পর্কে কিছুই জানতো না, প্রায় ৪৩ শত বছর আগের আদ জাতিদের সেই শহরের নাম কিভাবে কোরান উল্লেখ করলো? যেটা আমরা জেনেছি ১৯৭৩ সালে, সেটা মুহাম্মদ সাঃ কিভাবে আরবের মরুভূমিতে বসে ১৪০০ বছর আগে জানলো? হাউ পসিবল? তিনি তো অশিক্ষিত ছিলেন।কোনদিন ইতিহাস বা ভূগোল পড়েন নি। কিভাবে জানলেন, খালু?’"
আরো মিথ্যা ইতিহাস। এই লেখাতে বর্নীত লাইনগুলি আদৌ সত্য কিনা, তা কেউ নেট সার্চ করে দেখবে না, সবডি অন্ধবিশ্বাসী চুতিয়া বলে। ১৯৭৩ সালের বর্নীত ঘটনাটি আদৌ ঘটেইনি। মিথ্যুকের মিথ্যাচার। আদ জাতির ইতিহাস, ইংলিশ উইকিপিডিয়ায় দ্রষ্টব্য। উইকি ও সমগ্র নেটের তাবৎ গবেষনা সাইটে ইরাম ও আদের ব্যাপারে এই জিওগ্রাফিক ঘটনার কোনো উল্লেখই নেই। এত মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে জাতি কি করবে?

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-২

পেরা সাজিদ ২ নাম্বার চেপটারের জবাব। সবার প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ এর চেয়ে উন্নততর জবাব তৈরির।
"সাজিদ বললো,- ‘স্যার, গত শতাব্দীতেও বিজ্ঞানিরা ভাবতেন, এই মহাবিশ্ব অনন্তকাল ধরে আছে।মানে, এটার কোন শুরু নেই।তারা আরো ভাবতো, এটার কোন শেষও নাই।তাই তারা বলতো- যেহেতু এটার শুরু-শেষ কিছুই নাই, সুতরাং, এটার জন্য একটা সৃষ্টিকর্তারও দরকার নাই।
কিন্তু থার্মোডাইনামিক্সের তাপ ও গতির সূত্রগুলো আবিষ্কার হওয়ার পর এই ধারনা তো পুরোপুরিভাবে ভ্যানিশ হয়ই,সাথে পদার্থবিজ্ঞানেও ঘটে যায় একটা বিপ্লব।থার্মোডাইনামিক্সের তাপ ও গতির দ্বিতীয় সূত্র বলছে- ‘এই মহাবিশ্ব ক্রমাগত ও নিরবচ্ছিন্ন উত্তাপ অস্তিত্ব থেকে পর্যায়ক্রমে উত্তাপহীন অস্তিত্বের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে।কিন্তু এই সূত্রটাকে উল্টোথেকে প্রয়োগ কখনোই সম্ভব নয়।
অর্থাৎ, কম উত্তাপ অস্তিত্ব থেকে এটাকে বেশি উত্তাপ অস্তিত্বের দিকে নিয়ে যাওয়া আদৌ সম্ভব নয়।এই ধারনা থেকে প্রমান হয়, মহাবিশ্ব চিরন্তন নয়।এটা অনন্তকাল ধরে এভাবে নেই।এটার একটা নির্দিষ্ট শুরু আছে।থার্মোডাইনামিক্সের সূত্র আরো বলে, – এভাবে চলতে চলতে একসময় মহাবিশ্বের সকল শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে।আর মহাবিশ্ব ধ্বংস হবে।’"
হা-রিপ চুতিয়া থারমোডাইনামিকসের ভুল সংগা শিখিয়ে মুমিন তৈরি করছে। কতবড় চুতিয়া। আসল সংগা জানতে english wikipedia তে second law of thermodynamics, thermodynamics লিখে তা পড়ে দেখা উচিত। সংক্ষেপে এটা বলা যায়, গর্বের সাথে যে মহাবিশ্ব উত্তাপ থেকে নিরুত্তাপে যাওয়ার কথাটা ১০০% ভুল। আসলে হচ্ছে মহাবিশ্বের এনট্রপির বৃদ্ধি। see entropy article.
কম উত্তাপ অস্তিত্ব থেকে বেশি উত্তাপ অস্তিত্ব কথাটা একেতো ভুল তার উপরে এই ধারনা থেকে কিভাবে প্রমান হয় যে মহাবিশ্ব চিরন্তন না এবং এর আদি ছিলো, তার উত্তরও সাজিদের কাছে নেই। মিথ্যাচার হলো মুমিনের প্রান। মহাবিশ্বের সকল শক্তি নিঃশেষ হবার কথাও থারমোডাইনামিকসে নেই এবং তাও ভুয়া।
‘এর থেকে প্রমান হয়, মহাবিশ্বের একটা শুরু আছে। মহাবিশ্বের যে একটা শুরু আছে- তারও প্রমান বিজ্ঞানিরা পেয়েছে। মহাবিশ্ব সৃষ্টি তত্বের উপর এ যাবৎ যতোগুলো থিওরি বিজ্ঞানিমহলে এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, প্রমানের দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী থিওরি হলো- বিগ ব্যাং থিওরি।বিগ ব্যাং থিওরি বলছে- মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছে একটি বিস্ফোরণের ফলে।তাহলে স্যার, এটা এখন নিশ্চিত যে, মহাবিশ্বের একটি শুরু আছে।’
এক নামবার চেপটারেও এই মিথ্যাচারটা করেছিলো হা-রিপ। প্রমান নেইকে প্রমান আছে বলে চালানো এবং এবার আরো বড় ব্যাপার, বিগ ব্যাং যেখানে আসলে ঘটলো মহাবিশ্বের সম্প্রসারন, সেটাকে চালাচ্ছে সৃষ্টি হিসাবে। আর সৃষ্টির ঘটনা "যদি" ঘটে থাকে, তা আল্লায় করলো নাকি কোয়েতজলোকাতোল করলো নাকি ব্রহমা করলো নাকি ইকচুতুলহু করলো, তাও বললো না। তবে গ্রেনেড মারমু যদি কস আল্লা ছাড়া অন্য কেউ বানাইছে। big bang in wikipedia, read to know real big bang.
"সকল সৃষ্টির একটা নির্দিষ্ট শুরু আছে এবং শেষ আছে………… ধরি, এটা সমীকরণ ১।
মহাবিশ্ব একটি সৃষ্টি……….. এটা সমীকরণ ২।
এখন সমীকরণ ১ আর ২ থেকে পাই-
সকল সৃষ্টির শুরু এবং শেষ আছে।মহাবিশ্ব একটি সৃষ্টি,তাই এটারও একটা শুরু এবং শেষ আছে।
তাহলে, আমরা দেখলাম- উপরের দুটি শর্ত পরস্পর মিলে গেলো,এবং তাতে থার্মোডাইনামিক্সের তাপ ও গতির সূত্রের কোন ব্যাঘাত ঘটে নি।
– ‘হু’
– ‘আমার তৃতীয় সমীকরণ হচ্ছে- ‘স্রষ্টা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।’
তাহলে খেয়াল করুন, আমার প্রথম শর্তের সাথে কিন্তু তৃতীয় শর্ত ম্যাচ হচ্ছে না।
আমার প্রথম শর্ত ছিলো- সকল সৃষ্টির শুরু আর শেষ আছে।কিন্তু তৃতীয় শর্তে কথা বলছি স্রষ্টা নিয়ে।তিনি সৃষ্টি নন, তিনি স্রষ্টা।তাই এখানে প্রথম শর্ত খাটে না।সাথে, তাপ ও গতির সূত্রটিও এখানে আর খাটছে না।তার মানে, স্রষ্টার শুরুও নেই, শেষও নাই।অর্থাৎ, তাকে নতুন করে সৃষ্টিরও প্রয়োজন নাই।তার মানে স্রষ্টার আরেকজন স্রষ্টা থাকারও প্রয়োজন নাই। তিনি অনাদি, অনন্ত।’"
সৃষ্টির ঘটনা আদৌ ঘটেছে কিনা, তার কোনো প্রমান দাখিল করলোই না, উল্টা মিথ্যাচার ও তার উপরে মিথ্যাচার যে স্রষ্টা অনাদি অনন্ত। তবে মহাবিশ্ব ও তার উপাদান অনাদি অনন্ত হইতে পারবেনা। আমি ভাত পাবো ডিমসহ, তুমি পাবানা, কেনো পাবানা, তা প্রশ্ন করলে মাইর। মুমিন ট্যাকটিক।
"– ‘স্যার, Laws Of Causality বলবৎ হয় তখনই, যখন থেকে Time, Space এবং Matter জন্ম লাভ করে, ঠিক না? কারন, আইনষ্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটিও স্বীকার করে যে- Time জিনিসটা নিজেই Space আর Matter এর সাথে কানেক্টেড।Cause এর ধারনা তখনই আসবে, যখন Time-Space-Matter এই ব্যাপারগুলা তৈরি হবে।তাহলে, যিনিই এই Time-Space-Matter এর স্রষ্টা, তাকে কি করে আমরা Time-Space-Matter এর বাটখারাতে বসিয়ে Laws Of Causality দিয়ে বিচার করবো,স্যার? এটা তো লজিক বিরুদ্ধ, বিজ্ঞান বিরুদ্ধ।’
লোকটা চুপ করে আছে। কিছু হয়তো বলতে যাচ্ছিলো। এরমধ্যেই আবার সাজিদ বললো,- ‘স্যার, আপনি Laws Of Causality’র যে সংজ্ঞা দিয়েছেন, সেটা ভুল।’"
নিজে কজালিটির ভুল সংগা প্রচার করছে সত্য হিসাবে আর অন্যেরটাকে বলছে ভুল। মুমিনরাই বড় চুতিয়া। আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি এই পোস্টে বর্নিত কথাই বলেনি। আসল কথা হচ্ছে যে গতির সাথে সময়ের গতি কমা, স্থান কমার কথা। theory of relativity in wikipedia. আরো বড় কথা, এসবকিছুর স্রষ্টা যিনি, সেই স্রষ্টা, সৃষ্টির ঘটনার প্রমান না দিয়েই প্রশ্ন তুলছে যে যিনি স্রষ্টা তাকে বাটখাড়াতে বসানো উচিত হবে কিনা। আরে বাপু, বাটখারাতে বসানোর মালডা কই?

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-১

২০১৬ সালের নভেম্বার মাসে তৎকালীন প্যারাডকসিকাল সাজিদকে কচুকাটা করেছিলাম আমি একাই। সেবার হা-রিপ সব কমেন্ট ডিলিট করে ব্লক দিয়া পলায়ন করে। তখন জানতাম না যে হা-রিপ এর পেরাসাজিদ একদিন এতবড় একটা ক্যানসারে পরিনত হবে। আজকে সেসময়ের করা মন্তব্য জবাবটি পোস্টে দেওয়া হলো। এটা ১ নামবার গল্পের জবাব এবং এপর্যন্ত পেরাসাজিদের বিরুদ্ধে যত জবাব আসার চেষ্টা করেছে, তাদের প্রায় সবারটার উপরে আমার এটি, প্রতিটা জবাবের শব্দ গুগলে সার্চ দিলে সাক্ষি হাজির এবং এটা আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ, সবার প্রতি, আমার জবাবকে ছাড়িয়ে যেতে। এবার শুরু হোক পেরাডকসিকাল সাজিদকে "পেরাডক্স" দিয়েই ধরা।
১ নামবার গল্পের লিংক কমেন্টে। পোস্টে গল্পের লাইনগুলো ধরে তার জবাব।
সাজিদ গল্পে "‘উনি বলেছিলেন, পৃথিবীই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে, কিন্তু সূর্য ঘোরে না। সূর্য স্থির। কিন্তু আজকের বিজ্ঞান বলে, – নাহ, সূর্য স্থির নয়। সূর্যও নিজের কক্ষপথে অবিরাম ঘূর্ণনরত অবস্থায়।’" লাইনটাই একদম মিথ্যুক কা মিথ্যাচার হোগায়া। কোপারনিকাস বলেছিলো সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরেনা, এতটুকুই। মুমিনরা মিথ্যুক বলে মিথ্যাচার করে যে কোপারনিকাস বলেছিলো সূর্য নাকি স্থির। কতবড় মিথ্যুক ইসলামি ধার্মিকরা!!!!
"আমি বললাম,- ‘ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার ধারনা/অস্তিত্ব হচ্ছে ঠিক এর বিপরীত। দ্যাখ, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মধ্যকার এই গূঢ় পার্থক্য আছে বলেই আমাদের ধর্মগ্রন্থের শুরুতেই বিশ্বাসের কথা বলা আছে। বলা আছে- ‘এটা তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করে।’ (সূরা বাকারা,০২)।
যদি বিজ্ঞানে শেষ বা ফাইনাল কিছু থাকতো, তাহলে হয়তো ধর্মগ্রন্থের শুরুতে বিশ্বাসের বদলে বিজ্ঞানের কথাই বলা হতো। হয়তো বলা হতো,- ‘এটা তাদের জন্যই যারা বিজ্ঞানমনষ্ক।’
কিন্তু যে বিজ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, যে বিজ্ঞানের নিজের উপর নিজেরই বিশ্বাস নেই, তাকে কিভাবে অন্যরা বিশ্বাস করবে?’"
বিজ্ঞান একটা বিষয়, তথ্যের সমষ্টি। বিষয় বা তথ্যের সমষ্টি পরিবর্তন হয়, যেখানে মানুষ নিজের নামও বদলাতে পারে আর নামও তথ্য। কতবড় চুতিয়া হলে সেখানে মুমিন বলতে পারে যে তথ্য বদলায় বলে বিজ্ঞানে আস্থা রাখা যাবেনা কারন বিজ্ঞানের "নিজের উপরে বিশ্বাস নেই।" মুমিন মনে করে বিজ্ঞান একটি প্রানি। তবে ধর্মের উপরে বিশ্বাস রাখতে হবে কঠিন, তাও ৫২০০ ধর্মের মধ্যে ঐ একটাই কারন তারা সত্য। কেমনে সত্য? জিগাবি না, কতল কইরা দিমু।
"‘সৃষ্টিকর্তার পক্ষে অনেক প্রমান আছে, কিন্তু সেটা বিজ্ঞান পুরোপুরি দিতে পারেনা।এটা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, সৃষ্টিকর্তার নয়।বিজ্ঞান অনেক কিছুরই উত্তর দিতে পারেনা। লিষ্ট করতে গেলে অনেক লম্বা একটা লিষ্ট করা যাবে।’" কতবড় চুতিয়া হলে বিজ্ঞান অনেক কিছুর উত্তর দিতে পারেনা, তার সাথে "সৃষ্টিকর্তার পক্ষে অনেক প্রমান আছে" মিথ্যাচার লাইন জুড়ে দিতে পারে। মুমিনরা এই লেখা পড়ে একবারও জিজ্ঞেস করবেনা যে সেই "অনেক প্রমান"গুলো কোথায়???? কোথায়???????!!!!!!!!!!!!!!!!
"আমি হাসতে লাগলাম। বললাম,- ‘আচ্ছা শোন, বলছি। তোর প্রেমিকার নাম মিতু না?’
– ‘এইখানে প্রেমিকার ব্যাপার আসছে কেনো?’
– ‘আরে বল না আগে।’
– ‘হ্যাঁ।’
– ‘কিছু মনে করিস না। কথার কথা বলছি। ধর, আমি মিতুকে ধর্ষণ করলাম। রক্তাক্ত অবস্থায় মিতু তার বেডে পড়ে আছে। আরো ধর, তুই কোনভাবে ব্যাপারটা জেনে গেছিস।’
– ‘হু।’
– ‘এখন বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা কর দেখি, মিতুকে ধর্ষণ করায় কেনো আমার শাস্তি হওয়া দরকার?’
সাজিদ বললো,- ‘ক্রিটিক্যাল কোয়েশ্চান। এটাকে বিজ্ঞান দিয়ে কিভাবে ব্যাখ্যা করবো?’
– ‘হা হা হা। আগেই বলেছি। এমন অনেক ব্যাপার আছে, যার উত্তর বিজ্ঞানে নেই।’
– ‘কিন্তু এর সাথে স্রষ্টায় বিশ্বাসের সম্পর্ক কি?’
– ‘সম্পর্ক আছে। স্রষ্টায় বিশ্বাসটাও এমন একটা বিষয়, যেটা আমরা, মানে মানুষেরা, আমাদের ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য প্রমানাদি দিয়ে প্রমান করতে পারবো না। স্রষ্টা কোন টেলিষ্কোপে ধরা পড়েন না।উনাকে অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়েও খুঁজে বের করা যায়না। উনাকে জাষ্ট ‘বিশ্বাস করে নিতে হয়।’"
হা-রিপ চুতিয়াটি এখন moral absolutism নামক একটি bullshit এবং false equivalence ফ্যালাসি টেনে এনেছে এখানে। দুইটা ব্যাপার যাদের মধ্যে সম্পর্ক নেই, তাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে বলে প্রচার যাকে বলে। আর চুতিয়াটি বলতে অক্ষম যে কেনো "জাস্ট বিশ্বাস করে নিতে হয়।" কেনো ৫২০০ টি ধর্মের মধ্যে মহাম্মকের পাঠানো হাওয়ার পুতদের জঙ্গিধর্ম ইসলামকেই মানতে হবে এবং ডিসি কমিকসের ফ্ল্যাশপয়েন্ট ২০১১ তে বিশ্বাস আনা যাবেনা।
"‘আচ্ছা, তোর বাবা-মা’র মিলনেই যে তোর জন্ম হয়েছে, সেটা তুই দেখেছিলি? বা,এই মূহুর্তে কোন এভিডেন্স আছে তোর কাছে? হতে পারে তোর মা তোর বাবা ছাড়া অন্য কারো সাথে দৈহিক সম্পর্ক করেছে তোর জন্মের আগে। হতে পারে, তুই অই ব্যক্তিরই জৈব ক্রিয়ার ফল।তুই এটা দেখিস নি।
কিন্তু কোনদিনও কি তোর মা’কে এটা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলি? করিস নি। সেই ছোটবেলা থেকে যাকে বাবা হিসেবে দেখে আসছিস, এখনো তাকে বাবা ডাকছিস। যাকে ভাই হিসেবে জেনে আসছিস, তাকে ভাই।বোনকে বোন।
তুই না দেখেই এসবে বিশ্বাস করিস না? কোনদিন জানতে চেয়েছিস তুই এখন যাকে বাবা ডাকছিস, তুই আসলেই তার ঔরসজাত কিনা? জানতে চাস নি। বিশ্বাস করে গেছিস।এখনো করছিস। ভবিষ্যতেও করবি। স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসটাও ঠিক এমনই রে।এটাকে প্রশ্ন করা যায়না। সন্দেহ করা যায়না। এটাকে হৃদয়ের গভীরে ধারন করতে হয়। এটার নামই বিশ্বাস।’

সাজিদ উঠে বাইরে চলে গেলো। ভাবলাম, সে আমার কথায় কষ্ট পেয়েছে হয়তো।
পরেরদিন ভোরে আমি যখন ফজরের নামাজের জন্য অযূ করতে যাবো, দেখলাম, আমার পাশে সাজিদ এসে দাঁড়িয়েছে।আমি তার মুখের দিকে তাকালাম।সে আমার চাহনির প্রশ্নটা বুঝতে পেরেছে। সে বললো,- ‘নামাজ পড়তে উঠেছি।’"
চুতিয়ার উপরে চুতিয়া। বাংলা সিনেমার কল্যানে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ "জন্মের পর যাকে বাপ বলে জানা, একদিন তাকে পালক বাপ হিসাবে আবিষ্কার করা, তারপরে বাজনার তালে আসল বাপকে "বাবাআআআআ" চিতকার দিতে দিতে খুজা" দেখতে দেখতে মগজ এমনই পচালো যে এটাও বুঝতে অক্ষম যে জন্মের পরে যাকে বাবা মা হিসাবে চিনা, তারা যে পালক হতে পারে এবং বাস্তবে অহরহ হচ্ছে, সেটা এড়িয়ে গেলো, যেনো বাস্তব জগতে তা ঘটেই না। শেষ লাইনে হা-রিপ তার কল্পনার ঘটনা যা তৈরি করলো, বাস্তব জগত হলে যা হতো
"সাজিদ এরপর আর হলে আসেনি। সে তার বাপ মার কাছে গিয়ে ডিএনএ টেস্ট এর মাধ্যমে চেক করতে যায় যে তারা তার আসল নাকি পালক।"