Tuesday, September 20, 2016

কুসংস্কার সমাচার: সাবজেক্ট: জন্ডিস

বাঙালি সমাজে যেসব রোগ নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার বেশি মাত্রায় প্রচলিত, তার একটি হলো জন্ডিস। জিনিসটা কি, কিজন্য হয় ইত্যাদি অর্থাৎ কার্যকারণ জানলে বুঝা যাবে কোনটি সত্য কোনটি কুসংস্কার।
জন্ডিস হলো মানুষের শরীরে বিলিরুবিনের পরিমান বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট লক্ষনসমাহার, তা নিজে কোনো রোগ নয়, তা হলো রোগের লক্ষন। মানুষের শরীরের রক্তের লাল কনাগুলো যখন মারা যায়, তখন তার ভেতরের মধ্যকার বিভিন্ন পদার্থগুলো বের হয়ে যায়, যা লিভার ও কিডনীর মাধ্যমে ফিল্টার হয়ে বের হয়ে আসে শরীর থেকে। এরকম একটি পদার্থ হলো বিলিরুবিন। যদি লিভার কোনোকারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা বিলিরুবিন ফিল্টার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে, ফলে তা শরীরে জমতে থাকে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, লিভার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার ক্ষত পুরো সারাতে সক্ষম। হেপাটাইটিস হচ্ছে লিভারকে ক্ষতিকারী রোগ, যা এ বি সি ডি ই এই পাচটি ভাইরাসের যেকোনোটির ফলে হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এ ভাইরাসটি বেশি কমন যা খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। ভাইরাসগুলো লিভারের মাংস উপাদান ভক্ষনের মাধ্যমে লিভারের ক্ষতি করে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার চিকিৎসা হচ্ছে সকল ধরনের পরিশ্রম, এমনকি বসা ও হাটা বন্ধ করে যতটা সম্ভব স্থির থেকে ঘুমানোর চেষ্টা করা কারন মানুষ যত নড়াচড়া করে, লিভার সুস্থ অবস্থাতেই তত ব্যবহৃত হয়, আর এখানে অসুস্থ অবস্থা। স্থির ঘুম এবং কোমা, এই দুইটা অবস্থায় মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে শক্তিশালী থাকে, যা হেপাটাইটিস এ এর ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সহায়ক হয়। আমাদের দেশে হেপাটাইটিস এ বা জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পানিপড়া, চালপড়া, তেলপড়া দেওয়া হয় যা সম্পূর্ণ কুসংস্কার। এছাড়াও ডাবের পানি, আখের রস, গুড়ের শরবত বেশি করে খাওয়ানো হয় যা আদৌ রোগ চিকিৎসায় সহায়ক নয় বরঙ রোগির শরীরে প্রস্রাবের পরিমান বাড়িয়ে দেয় ফলে রোগিকে বারবার বাথরুমে যেতে হয় ফলে তার চিকিৎসা ধীর হয়ে যায় ও ভাইরাসের হাতে বারবার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লম্বা কাহিনি ছোট করে বললে, চিকিৎসা হলো NOBODY MOVE!

Sunday, September 18, 2016

প্রিজম থেকে বের হয়ে আসুন

পরিচয়বাদী অর্থাৎ যারা নিজেদের পরিচয় তথ্য প্রকাশ করার এবং অন্যদেরটার পিছনে লাগার পক্ষে এবং পরিচয়হীনতাবাদি অর্থাৎ যারা নিজেদের পরিচয় তথ্য গোপন করার এবং অন্যদেরকে গোপন করতে অনুপ্রানিত করার পক্ষে, এই দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই অনির্দিষ্ট লম্বা কাল ধরে। তাদের মধ্যকার "অস্ত্র প্রতিযোগিতা/arms race" এর একটি গতি আসে ২০১৩ সালে এডওয়ার্ড স্নোডেনের প্রকাশিত সারভেইলেন্স লিকের মাধ্যমে। বৈশ্বিক পর্যায়ের বিভিন্ন নজরদারি প্রচেষ্টাতে বাধাদানের জন্য ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রাইভেসিপন্থী বিভিন্ন সাইট, টুল ও সফটওয়্যারের ইনডেক্স বা সূচিপত্র হিসাবে লিংককৃত সাইটটি তৈরি করা হয়, যা পরিচয়হীনতাবাদিদের জন্য সহায়ক হবে।

https://prism-break.org/en/