Thursday, December 28, 2017

মনোজাগতিক পর্যায় প্রসঙ্গে

মনোজগতে মনের গভীরতা ও অগভীরতাভিত্তিক চিন্তাকে id, ego ও superego তে শ্রেনিবিভাগ করা হয় যেখানে id হচ্ছে সবচেয়ে গভীর ও প্রাথমিক চিন্তাগুলো যা জীবের চরম আবেগিয় পর্যায়তে চলে আসে, ego ও superego হচ্ছে পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোনোকিছু চিন্তাতে আনা ও সে চিন্তা আনার কারনত্ব ও বৈধতা আনার জায়গা। জিনিসটার উদাহরন হচ্ছে যে কোনো নির্দিষ্ট ঘটনাতে, একই ঘটনাতে একজন দ্রুতগতিতে ভয়ংকরভাবে খুশি হয়, অপরজন রেগে গালিগালাজ করে, লক্ষ্য করবেন যে গালিগালাজ ও খুশি উভয়ের প্রকাশভঙ্গি তার পরিবেশের ভিত্তিতে পরিবর্তন হয় ভাষা ও প্রকাশভঙ্গিতে কিন্তু উভয়ই আসে অনেক দ্রুত, একরকম স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কোনো চিন্তা ও কাজ যখন id এ কড়াভাবে ঢুকে পড়ে কেবল তখন ঐ কাজটি এভাবে করা সম্ভব এবং সামরিক প্রশিক্ষনের বিভিন্ন খাতে এরকমটাই করানোর চেষ্টা করা হয়, যুদ্ধমুখী আক্রমনাত্মক ট্রেনিঙে রাগসহ/ছাড়া খুন করতে পারা যেটা সৈন্যদের দেয়, স্বল্পতম চিন্তাতে, যুদ্ধমুখী চিন্তামূলক ট্রেনিঙে সর্বোচ্চ কার্যকরী উপায় বের করার চিন্তা মননের id এ ঢুকানো, যেটা জেনারেলদের দেয়। আরো জানতে পারবেন pleasure principle, conscious, subconscious, unconscious এর ব্যাপারে বিশ্বকোষীয় লেখাগুলো পড়লে।

1 comment:

  1. সাধারণ ভাবে সবকিছু নেয়া আদৌ সবার ক্ষেত্রে কি সম্ভব?

    ReplyDelete