Sunday, December 4, 2016

সংবিধান প্রসঙ্গে

কোনো বস্তু (entity) যার উদাহরনের মধ্যে পড়ে ব্যক্তি, সমাজ, কোম্পানি, রাষ্ট্র, দল, সংস্থা এবং যেকোনো কিছু, তার নিজস্ব স্বভাব অর্থাৎ কোনটির পক্ষে সে, কোনটির বিপক্ষে সে, কোন ব্যাপারে কি কার্যনীতি (policy), তার সমষ্টিকে তার সংবিধান বলে। বস্তু তার সংবিধানের অগননীয় অংশ লেখা, কথা, প্রভৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে, যা নেটে ফোরাম ও ব্লগে খুব ভালো উদাহরন হিসাবে দেখা যায়, যেখানে লেখকরা বিভিন্ন ব্যাপারে তাদের কার্যনীতি, পক্ষ অবলম্বন প্রদর্শনী করে থাকে।

Friday, December 2, 2016

মজা ও আনন্দ প্রসঙ্গে

মানুষ মজা ও আনন্দ পাবার জন্য বিভিন্নজন বিভিন্ন জিনিস করে থাকে। মজা ও আনন্দ পাবার ব্যাপারগুলো, কে কিসে আনন্দ পায়, তা ব্যক্তি সাপেক্ষে ভিন্ন হয়ে থাকে। উদাহরন অসীম। মজা ও আনন্দের ভিন্নতার ক্ষেত্রে জগতে এমন মানুষ পাওয়া যায় যারা এই দুইটা এমনসব কাজে পেয়ে থাকে যেটা এই লেখার পাঠক তার নিজের প্রতি প্রচন্ডরকম ঘৃনা ও লজ্জার ব্যাপার হিসাবে দেখতে পাবে। মানুষের মধ্যকার মজা পাবার ব্যাপারের ভিন্নতার মধ্যে মানুষে মানুষে লড়াইও হয়, এই লড়াইও আবার কারো কারো কাছে মজা ও আনন্দের ব্যাপার হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট পরিবেশে বিদ্যমান মানুষ তার মজা ও আনন্দ নেবার জন্য কোন কোন কাজটি করতে পারবে এবং কোনটি করতে পারবেনা অর্থাৎ নিষিদ্ধ হিসাবে বিবেচিত হবে, সেটা পরিবেশের ভিত্তিতে আপেক্ষিক হয়ে থাকে এবং কোনো প্রমানই আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি যেটা দেখাতে পারবে যে নির্দিষ্ট কোনো পরিবেশের নিয়ম বা আইন "সঠিক" এবং অন্যগুলো "ভুল"।

Monday, November 28, 2016

সফটওয়্যার দিয়ে সাবটাইটেল তৈরির পদ্ধতি

এই লেখাটি প্রকাশের সময় পর্যন্ত বাঙালি সমাজে বিদ্যমান সাবটাইটেল তৈরিকারক কোনো গ্রুপই সফটওয়্যার দিয়ে সাবটাইটেল তৈরির পদ্ধতি প্রকাশ করেনি। বিশ্বব্যাপী সাবটাইটেলকারক গ্রুপগুলোর মধ্যে সফটওয়্যার দিয়ে সাবটাইটেল তৈরি করাটা নোটপ্যাড দিয়ে তৈরি করার চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। সাবটাইটেল তৈরি ও সম্পাদনার জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যারের নাম এইজিসাব (aegisub)। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে তা দিয়ে সাবটাইটেল ফাইল খুলে বা নতুন সাবটাইটেল ফাইল তৈরি করে সেভ করা যায়। সফটওয়্যারটি গ্রাফিকাল হওয়ার কারনে নোটপ্যাড দিয়ে এডিট এর চেয়ে অনেক সহজ এবং ফিচারসমৃদ্ধ হওয়ায় চেহারা দেখেই ব্যবহার শিখে ফেলা যায়।

Sunday, November 27, 2016

ইবুক-১

একই বিষয়ের তর্ক বারবার নতুন করে তৈরি না করে একটি ছাচ থেকে তৈরিকৃত তর্কগুলো প্রয়োগ করার জন্য আমার ইবুকটি যেটাতে আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও সিদ্ধান্তগুলো লিখার কাজ চলছে। কপিরাইট রক্ষনের প্রমান হিসেবে ইবুক পোস্টগুলো তৈরি করা হলো।

সূচিপত্র+ভূমিকা
"জগতের বিভিন্ন বর্ণনা ও কথাকে সংক্ষেপ করার জন্য বড় বাক্য বর্ণনাগুলোর বিপরীতে বিকল্প ক্ষুদ্রশব্দ তৈরি করা হয়েছে ও এখনো তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাষার, বিভিন্ন গতিতে। ইংরেজী ভাষায় তৈরির গতি বর্তমানে সর্বোচ্চ।
জীবের মানসিকতার বিভিন্ন অবস্থা আছে, সাইকোলজিকাল স্টেট। এক একটি অবস্থাতে থাকা সময়ে অন্য অবস্থাটি সাধারনত অনুধাবন করা প্রায় অসাধ্য।
সেকেন্ড ওয়েভ সেক্স পজিটিভ ফেমিনিস্ট ও থার্ড ওয়েভ সেক্স নেগেটিভ ফেমিনিস্টদের মধ্যকার শত্রুতা ও দখলের লড়াই বর্তমানে বাঙালী সমাজে কঠোরভাবে হচ্ছে।
ক্রমাগত বিপ্লব ও প্রতিবিপ্লবের দুষ্টচক্র গৃহযুদ্ধ তৈরি করে।
আর্গুমেন্ট ফ্রম অথোরিটি এর ব্যবহার সর্বোচ্চ মাত্রায় করছে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী ও নীতিবাদি ব্যক্তি ও সংঘগুলো।"

Sunday, October 9, 2016

ডিজিটাল বই অর্থাৎ ইবুক প্রকাশনা প্রসঙ্গে

কম্পিউটারের আবিষ্কারের ফলে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বপ্রকাশনা (self publishing) চালানো প্রচন্ড সহজ হয়ে পড়েছে কম্পিউটার পূর্ববর্তী যুগের তুলনায়। এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হচ্ছে পিডিএফ, ইপাব, মোবি ফরম্যাটে বইয়ের ফাইল তৈরিকারী বিভিন্ন টুল যেমন acrobat, calibre, ghostscript, pdfcreator, dopdf, nitropdf ও বিভিন্ন ওয়েব কনভার্টারগুলো এবং পিডিএফ আপলোডকারী বিভিন্ন সাইট। বিভিন্ন বইশেয়ারিং সাইট আছে, তাদের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো বিবেচনা করে সঠিক সাইট বাছাই করাটা একটু কঠিনই হয়ে পড়ে, তবে পিডিএফের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক রক্ষনকৃত (maintained) সাইট হচ্ছে pdf-archive.com । সাইটটি সম্পূর্ণ ফ্রি, কোনো সাইনআপ লাগেনা, সর্বোচ্চ পিডিএফ সাইজ একটি পিডিএফের জন্য ২ গিগাবাইট সাপোর্ট আছে।

Wednesday, October 5, 2016

প্যাসকেলের বাজি প্রসঙ্গে

ধর্মের পক্ষের "যুক্তি" হিসাবে ধার্মিকরা এই কথাটি নিয়ে আসে যে "যদি আপনি মারা যাওয়ার পরে দেখেন যে ধর্মটি সত্য, তাহলে লস, কিন্তু যদি দেখেন যে ধর্মটি মিথ্যা, তাহলে আপনি কোনো লসের শিকার হচ্ছেন না, তাই ধর্ম মানাই যৌক্তিক।" এই "যুক্তি"টাকে প্যাসকেলের বাজি বলে। এই "যুক্তি" এর ফাক, যেটা প্যাসকেল নিজেই ধরিয়ে দিয়েছিলো, তা হলো যে জগতে ধর্মের সংখ্যা এবং এক একটি ধর্মের মধ্যকার উপধর্মগুলো যেমন ইসলামধর্মের "শিয়া/সুন্নি/আহমাদি/...", হিন্দুধর্মের "ইসকনি/সনাতনি/....." এরকম বহু সংখ্যক। অধিকাংশ ধর্মের লেখনি অনুযায়ী, কোনো অধার্মিক এবং অন্যধর্মের বিশ্বাসী মৃত্যুর পরে শাস্তি যা পাবে তা প্রায় সমান। তো, আপনি যিনি মুসলমান, আপনি মৃত্যুর পরে যদি দেখেন যে আপনি আজ যে হিন্দুটিকে মালু বলে গালি দিচ্ছেন, তার কথাগুলোই সত্য, তাহলে....। একই কথা হিন্দুদের জন্য প্রযোজ্য, আর বাকি ধর্মগুলোর কথা বললে লেখা অনেক লম্বা হয়ে যাবে।                            

Tuesday, September 20, 2016

কুসংস্কার সমাচার: সাবজেক্ট: জন্ডিস

বাঙালি সমাজে যেসব রোগ নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার বেশি মাত্রায় প্রচলিত, তার একটি হলো জন্ডিস। জিনিসটা কি, কিজন্য হয় ইত্যাদি অর্থাৎ কার্যকারণ জানলে বুঝা যাবে কোনটি সত্য কোনটি কুসংস্কার।
জন্ডিস হলো মানুষের শরীরে বিলিরুবিনের পরিমান বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট লক্ষনসমাহার, তা নিজে কোনো রোগ নয়, তা হলো রোগের লক্ষন। মানুষের শরীরের রক্তের লাল কনাগুলো যখন মারা যায়, তখন তার ভেতরের মধ্যকার বিভিন্ন পদার্থগুলো বের হয়ে যায়, যা লিভার ও কিডনীর মাধ্যমে ফিল্টার হয়ে বের হয়ে আসে শরীর থেকে। এরকম একটি পদার্থ হলো বিলিরুবিন। যদি লিভার কোনোকারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা বিলিরুবিন ফিল্টার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে, ফলে তা শরীরে জমতে থাকে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, লিভার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার ক্ষত পুরো সারাতে সক্ষম। হেপাটাইটিস হচ্ছে লিভারকে ক্ষতিকারী রোগ, যা এ বি সি ডি ই এই পাচটি ভাইরাসের যেকোনোটির ফলে হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এ ভাইরাসটি বেশি কমন যা খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। ভাইরাসগুলো লিভারের মাংস উপাদান ভক্ষনের মাধ্যমে লিভারের ক্ষতি করে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার চিকিৎসা হচ্ছে সকল ধরনের পরিশ্রম, এমনকি বসা ও হাটা বন্ধ করে যতটা সম্ভব স্থির থেকে ঘুমানোর চেষ্টা করা কারন মানুষ যত নড়াচড়া করে, লিভার সুস্থ অবস্থাতেই তত ব্যবহৃত হয়, আর এখানে অসুস্থ অবস্থা। স্থির ঘুম এবং কোমা, এই দুইটা অবস্থায় মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে শক্তিশালী থাকে, যা হেপাটাইটিস এ এর ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সহায়ক হয়। আমাদের দেশে হেপাটাইটিস এ বা জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পানিপড়া, চালপড়া, তেলপড়া দেওয়া হয় যা সম্পূর্ণ কুসংস্কার। এছাড়াও ডাবের পানি, আখের রস, গুড়ের শরবত বেশি করে খাওয়ানো হয় যা আদৌ রোগ চিকিৎসায় সহায়ক নয় বরঙ রোগির শরীরে প্রস্রাবের পরিমান বাড়িয়ে দেয় ফলে রোগিকে বারবার বাথরুমে যেতে হয় ফলে তার চিকিৎসা ধীর হয়ে যায় ও ভাইরাসের হাতে বারবার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লম্বা কাহিনি ছোট করে বললে, চিকিৎসা হলো NOBODY MOVE!

Sunday, September 18, 2016

প্রিজম থেকে বের হয়ে আসুন

পরিচয়বাদী অর্থাৎ যারা নিজেদের পরিচয় তথ্য প্রকাশ করার এবং অন্যদেরটার পিছনে লাগার পক্ষে এবং পরিচয়হীনতাবাদি অর্থাৎ যারা নিজেদের পরিচয় তথ্য গোপন করার এবং অন্যদেরকে গোপন করতে অনুপ্রানিত করার পক্ষে, এই দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই অনির্দিষ্ট লম্বা কাল ধরে। তাদের মধ্যকার "অস্ত্র প্রতিযোগিতা/arms race" এর একটি গতি আসে ২০১৩ সালে এডওয়ার্ড স্নোডেনের প্রকাশিত সারভেইলেন্স লিকের মাধ্যমে। বৈশ্বিক পর্যায়ের বিভিন্ন নজরদারি প্রচেষ্টাতে বাধাদানের জন্য ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রাইভেসিপন্থী বিভিন্ন সাইট, টুল ও সফটওয়্যারের ইনডেক্স বা সূচিপত্র হিসাবে লিংককৃত সাইটটি তৈরি করা হয়, যা পরিচয়হীনতাবাদিদের জন্য সহায়ক হবে।

https://prism-break.org/en/

Monday, March 14, 2016

এন্ড অফ ডেজ

end of days বা দিনসমূহের সমাপ্তি কথাটি দিয়ে কিয়ামতকে বোঝানো হয়, বিশ্বজগতের সমাপ্তিকালকে। "বনের বাঘে খায়না, মনের বাঘে খায়" প্রবাদটি দিয়ে এই কথা বোঝানো হয় যে মন যদি ধ্বংস হয়ে যায় এবং মনে করে যে দূর্যোগ ঘটেছে, তবেই সেটা ব্যক্তির জন্য আসল দূর্যোগের ফল নিয়ে আসে। বাঙালী সমাজে নাস্তিক ব্লগার ও ফেসবুকারদের কৃত বিভিন্ন বাটপারি, প্রতারণা, ব্যক্তিগত তথ্যপ্রকাশ, হুমকিদান, সহিংসতা, কুসংস্কারপ্রচার ও তৎসংশ্লিষ্ট এজেন্সির দালালির মহামারী, সেইসাথে এই লেখকের উপরে সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা লেখককে "কিয়ামতি" মানসিকতায় নিয়ে এসেছে, যেখানে সবকিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত ও আশাহীন বলে প্রতীত হয়। উল্লেখ্য, মানুষের মনস্তত্ত্ব গবেষনার মাধ্যমে যে ক্ষুদ্র তথ্য আবিষ্কার হয়েছে এই ব্যাপারে, তা বলে থাকে যে ব্যক্তি যা করে থাকে, তার পিছনে অধিকাংশই প্রাপ্তির লোভ ও অপ্রাপ্তির ভয় কাজ করে। যেহেতু এই লেখকের পক্ষে এরকম কোনো সম্পদ বা কোনো বিরতকরনের ব্যবস্থা নেই যার মাধ্যমে তাদেরকে তাদের কুকর্ম থেকে বিরত করা যাবে, তাই ব্যর্থতা হচ্ছে বর্তমান অনিবার্য ফল।

Monday, March 7, 2016

কপিরাইট ইস্যু

আন্তর্জাতিক কপিরাইট আইন অনুযায়ী ৭৫ বছরের বেশি পুরাতন সকল বুদ্ধিবৃত্তিক বস্তু (লেখা, ভিডিও, গানের সুর প্রভৃতি) পাবলিক ডোমেইনের অংশ, অর্থাৎ, তার উপরে কপিরাইট প্রযোজ্য না। পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত সকল বস্তুর কথা রেফারেন্স করা কিংবা উৎসের নাম সহকারে কপিপেস্ট করাটা সবার জন্য বৈধ। ইন্টারনেটে বিদ্যমান বস্তু বা কন্টেন্টসমূহের এক অগনণিত অংশর জন্যও পাবলিক ডোমেইন আইন প্রযোজ্য। অভিজিৎ রায়, বন্যা আহমেদ ও শামসুজ্জোহা মানিকের রিলিজকৃত বইগুলোর অধিকাংশই পাবলিক ডোমেইন কন্টেন্টের উপর ভিত্তি করে তৈরিকৃত রেফারেন্স শিট, কোনো অরিজিনাল কন্টেন্ট খুজে পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে তারা যেসব রেফারেন্সের কথা উল্লেখ করেছে, সেগুলো অন্য কেউ তার নিজের লেখায় উল্লেখ করলে তা কপিরাইটের লংঘন হবেনা।

Wednesday, March 2, 2016

পুরোনো প্রস্তাবনা আরেকবার

বাঙালী নেটসমাজের ইসলামিস্ট সংগঠনগুলো তাদের সংগঠনসমূহের জন্য একটি করে পাবলিক ফেসবুক গ্রুপ থুলুক (সদালাপ ব্লগের জন্য সদালাপ গ্রুপ, বাশেরকেল্লার জন্য গ্রুপ)। সে গ্রুপগুলোতে নাস্তিকদের উন্মুক্ত প্রবেশ ও বিতর্কের সুযোগ দেওয়া হোক, তারপরে দেখা যাবে কারা যুক্তি ও সত্যের পথে কাজ করছে। আমার চ্যালেঞ্জ।

Saturday, February 27, 2016

ওয়ার্ডস ডোন্ট কিল, ডু দে?

"শব্দমালা মানুষ হত্যা করে, মানুষ মানুষকে হত্যা করে" এই বাক্যসম্বলিত ছবি দিয়ে বাঙালী নাস্তিকদের একটি অংশ নেটে নিজেদের অবস্থিতি (profile) কে প্রদর্শন করছে। তথ্যবিজ্ঞান (information science) ও চিন্তাবিজ্ঞান (memetics) অনুযায়ী প্রমানিত যে সকল শব্দ হচ্ছে চিন্তা (thoughts) এর ক্ষুদ্রতম অংশ মিম (meme) গুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যম। বিস্তারিত ব্যাথ্যা উক্ত বিষয়ের গভীরতর অধ্যয়ন/পড়াশোনার বিষয় এবং এই লেখার অক্ষরসীমার বাইরে। ভাষা ও ভাষা বুঝতে পারা মানুষের মাঝে শব্দের মাধ্যমে চিন্তা ছড়ানোর প্রক্রিয়া জীবাণুবিদ্যা (virology) এর epidemiology বা জীবানু বিস্তারবিদ্যার সূত্রগুলো মেনে চলে, কিছু পরিমানে। অনাকাংখিত জীবাণু বা germs এর মতই বহু চিন্তা আছে যা মানুষের মনে ঋণাত্মক মানসিক অবস্থা তৈরি করতে পারে (রাগ, ক্ষোভ, বিষন্নতা, মরণেচ্ছা, মারণেচ্ছা, বিচ্ছিন্নতেচ্ছা প্রভৃতি)। যেসব চিন্তাএকক বা মিম এভাবে বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে, সেগুলোকে memetic hazard বা মিমগত বিপদ বলে চিহ্নিত করা হয়। এখন এই রচনাটি পড়ে, বিষয়গুলো চিন্তা করে মিলিয়ে দেখুন, লেখাটির টাইটেলে প্রদর্শিত বাক্যটি আদৌ সত্য নাকি একটি মিথ্যা প্রচারণা।

Friday, February 12, 2016

গেমারগেটবিরোধীদের সবাই সত্য কথা বলছে, তা নয়

অগণিত সংখ্যক মিথ্যা মামলা, হুমকি ও হয়রানি গেমারগেটবিরোধীদের মাধ্যমেও করা হয়েছে ও হচ্ছে। অধিকাংশরই থিম বা পরিবেশ হচ্ছে গেমারগেটবিরোধীদের ষড়যন্ত্রগুলোকে ঢেকে ফেলার চেষ্টা। এই ব্যাপারে প্রমাণ reddit.com/r/kotakuinaction এ গিয়ে দেখা যাবে।

Tuesday, February 2, 2016

smells like false flag

noticed the fact that the day niloy neel was murdered, his wife asha mone was left alive, with the fact standing that asha mone's activities on facebook as of this writing are almost equal to any of the other atheist bloggers and facebooker's acts of performing blasphemous propaganda. the claimed "islamic extremists" had the chance to take down two activists of atheism in that moment. there is also the fact that the ansar islam twitter and facebook accounts which sent out threats and gloats after the murder of avijit roy and niloy neel were created at a very recent times and the way the bengali mainstream media made focus on the "threats" and "gloats". the sequence of events smell like false flag operations. combine this with the events of persecution and threats against mushfique imtiaz chowdhury and myself, amongst uncounted others.

Tuesday, January 19, 2016

গেমারগেট পরিচিতি

২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে শুরু হওয়া অনলাইন ঘটনা (online phenomenon) এটি যা তীব্র মাত্রায় মিডিয়া কভারেজ পায়। ঘটনাটি ভিডিওগেমের সাংস্কৃতিক জগতে প্রগতিবাদ (progressivism) ও যৌনবৈষম্যবাদ (sexism) এর আলোচনাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে। ঘটনাটির সূচনা হয় জো কুইন (zoe quinn) এর সাবেক বালকবন্ধু এরন জনি (eron gzoni) প্রকাশিত ব্লগ "zoe post" এর পরে, যেখানে সে ৯৪২৫ টি শব্দের একটি রচনাতে বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা করে যার সারাংশ হচ্ছে যে কুইন, নাথান গ্রেসন নামক এক সাংবাদিক, যে সাংবাদিক গকার মিডিয়ার কোটাকু পত্রিকায় কাজ করতো। ব্লগটি প্রকাশের পর অনলাইনে যেসব ব্যক্তিরা, তাদের নিজস্ব ভাষ্য অনুযায়ী "ভিডিওগেম সংস্কৃতিতে রাজনৈতিক সংশোধনবাদ (political correctness) এর বিরুদ্ধে" তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে #gamergate হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে ও তার সাথে নিজস্ব ঘৃনাবাচ্য (hate speech), হুমকি এবং ব্যক্তিগত তথ্যপ্রকাশের কাজ করে থাকে। গেমারগেটপন্থীদের অধিকাংশরা টুইটার, ফোরচ্যান, এইটচ্যান ও রেডিটে জড়ো হয়ে তাদের কাজগুলো করতে থাকে। বিস্তারিত: https://en.wikipedia.org/wiki/Gamergate_controversy

Thursday, January 14, 2016

প্রাইভেসি লংঘন নাকি?

http://www.istishon.com/node/15341 এই লিংকে এবং http://www.istishon.com/node/15314 এই লিংকে প্রদর্শিত তথ্যগুলোর উৎস কি? তথ্যগুলো কি আদৌ সত্য প্রমানিত। সত্য প্রমানিত ও গোপন সূত্র হয়ে থাকলে "গোপন সূত্র"সমূহ থেকে গোপন খবর পাবলিক ব্লগে আসলো কিভাবে? প্রাইভেসি আইনের লংঘনের মাধ্যমে গোপন তথ্য প্রকাশ ও একইসাথে libel অর্থাৎ মানহানির অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা কেনো? এই ব্লগাররা কিভাবে সকল আইন ও ক্ষমতার উর্ধ্বে উঠলো?

Friday, January 8, 2016

নাস্তিকতা, মুক্তচিন্তা, তৎসংশ্লিষ্ট ধান্দাবাজি

নাস্তিকতা, মুক্তচিন্তা নিয়ে তথ্যপ্রকাশ নিয়ে একধরণের ধান্দাবাজি হচ্ছে যার লক্ষণ হচ্ছে নাস্তিকতা নিয়ে নেটে লেখা বাঙালিদের আকস্মিক খ্যাতিবৃদ্ধি, বিত্তবৃদ্ধি, ক্ষমতাবৃদ্ধি এবং এই ধান্দাবাজির পথে আনার জন্য নব্য নাস্তিক বাঙালিদের একরকম খোচা দেওয়া হচ্ছে। ইউজনেট ও ৯০ এর দশকের ইন্টারনেটে নাস্তিকতা, ধর্মের ইতিহাস, বিশ্বের ইতিহাস নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন ইংরেজি লেখার বাংলা অনুবাদ করার জন্য যে এতকিছু হচ্ছে, তার ফলে তারা যে ক্ষমতা ও গুরুত্ব পাচ্ছে সেটাকে ইংরেজিতে unwarranted importance বলা যায়, বাংলায় অযাচিত গুরুত্ব। সাথে অর্থপ্রাপ্তির ব্যাপার আছেই।

Saturday, January 2, 2016

সন্ত্রাস ও বিপ্লব

বিপ্লব বা revolution এর সংজ্ঞানুযায়ী সকল বিপ্লবী কর্মই সন্ত্রাস। মুক্তমনা-দাবিদারদের কৃত বিপ্লবসমূহ অবশ্যই সন্ত্রাসের বাইরে কিছু নয়। ইন্টারনেট ও বাস্তবজগতে ব্যক্তিগত তথ্যফাস, মিথ্যাচার, শারীরিক ও মানসিক আক্রমনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারী মুক্তমনা-নামধারীদের রূপ উন্মোচনের কাজ অনেকটা স্বতঃর্স্ফূতভাবে এই ব্লগের লেখক করে ফেলেছিলেন। https://www.youtube.com/watch?v=V8F003H46rA কিছু প্রমাণ।

anti-psychiatry, মানসিক চিকিৎসাবিরোধিতা

মানসিক চিকিৎসাবিরোধিতা আন্দোলনটি মানসিক চিকিৎসার "মননিয়ন্ত্রক (mind controlling)" এবং বিপদজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জায়গা থেকে পরিচালিত। মুক্তমনা বা freethinker এর শর্তসমূহের একটি হলো anti-psychiatry এর সমর্থন, চিন্তা ও আচরনের স্বাধীনতার জায়গা থেকে। বাঙালি সমাজে বিদ্যমান নাস্তিক ব্লগার ও ফেসবুকারদের মধ্যে মুক্তমনা দাবিদারদের অধিকাংশরাই এই শর্তটি পূরণ করেনা বরং তারা মানসিক চিকিৎসাব্যবস্থার কড়া সমর্থক, যা বড় মাত্রার hypocrisy তথা বাটপারি। আইন ও সামরিকব্যবস্থায় যথেষ্ট ক্ষমতা না থাকায় এদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা দেওয়া যাচ্ছেনা।

মুক্তমনাদের বৈশিষ্ট্য ও "মুক্তমনা নামধারী"

মুক্তচিন্তা ও মুক্তমনার সর্বগৃহীত সংজ্ঞা অনুযায়ী মুক্তমনারা গালি দিতে পারবেনা, মজা নিতে পারবেনা, মিথ্যাচার করতে পারবেনা, বৈষম্য (discrimination) ও করুণা করতে পারবেনা, অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য অনুসন্ধান করে অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারবেনা। বাঙালি সমাজে বিদ্যমান অধিকাংশ মুক্তমনা দাবীদাররা (সবাই নয়) "মুক্তমনা নামধারী" (self-proclaimed freethinkers/freethinkers in name only) তাদের মধ্যে সে বৈশিষ্ট্যগুলো অনুপস্থিত বরঙ মানবতার চরম অবমাননা ও ধ্বংসকারী বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান যা তারা ইন্টারনেটে গালি, ব্যক্তিগত তথ্যপ্রকাশ, হুমকি ও ভীতিপ্রদানের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। এই ব্লগের লেখক ও মালিক নিজে সেগুলোর কট্টর ভিকটিম হিসেবে এই কথা বলছে। আইন ও সামরিকব্যবস্থায় যথেষ্ট ক্ষমতা না থাকায় এদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা দেওয়া যাচ্ছেনা।