Friday, December 29, 2017

মিথ্যাচার প্রসঙ্গে

কেউ কোনো ব্যাপারে এক সময়ে এক কথা বলছে, অন্যসময়ে আরেক কথা তথা মিথ্যাচার/বিদ্রোহ করছে, আঞ্চলিক ভাষাতে পল্টিবাজি, সেটাতে "মিথ্যুক/বিদ্রোহিটি সবসময়ে মিথ্যা ও বিদ্রোহ করার পরিকল্পনা করে এসেছিলো।" এর বিপরীতে এই সম্ভাবনাটিও প্রযোজ্য হতে পারে যে সে আসলে মিথ্যুক ছিলোনা, আগে যে কথাটা বলেছিলো সেটা সেসময়ে সত্য ছিলো, পরবর্তীতে যখন উল্টা কথা বলা হয়েছে, তখন সে উল্টা কথাটি সত্য হবার মতো পরিবেশ হয়েছে।

Thursday, December 28, 2017

মনোজাগতিক পর্যায় প্রসঙ্গে

মনোজগতে মনের গভীরতা ও অগভীরতাভিত্তিক চিন্তাকে id, ego ও superego তে শ্রেনিবিভাগ করা হয় যেখানে id হচ্ছে সবচেয়ে গভীর ও প্রাথমিক চিন্তাগুলো যা জীবের চরম আবেগিয় পর্যায়তে চলে আসে, ego ও superego হচ্ছে পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোনোকিছু চিন্তাতে আনা ও সে চিন্তা আনার কারনত্ব ও বৈধতা আনার জায়গা। জিনিসটার উদাহরন হচ্ছে যে কোনো নির্দিষ্ট ঘটনাতে, একই ঘটনাতে একজন দ্রুতগতিতে ভয়ংকরভাবে খুশি হয়, অপরজন রেগে গালিগালাজ করে, লক্ষ্য করবেন যে গালিগালাজ ও খুশি উভয়ের প্রকাশভঙ্গি তার পরিবেশের ভিত্তিতে পরিবর্তন হয় ভাষা ও প্রকাশভঙ্গিতে কিন্তু উভয়ই আসে অনেক দ্রুত, একরকম স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কোনো চিন্তা ও কাজ যখন id এ কড়াভাবে ঢুকে পড়ে কেবল তখন ঐ কাজটি এভাবে করা সম্ভব এবং সামরিক প্রশিক্ষনের বিভিন্ন খাতে এরকমটাই করানোর চেষ্টা করা হয়, যুদ্ধমুখী আক্রমনাত্মক ট্রেনিঙে রাগসহ/ছাড়া খুন করতে পারা যেটা সৈন্যদের দেয়, স্বল্পতম চিন্তাতে, যুদ্ধমুখী চিন্তামূলক ট্রেনিঙে সর্বোচ্চ কার্যকরী উপায় বের করার চিন্তা মননের id এ ঢুকানো, যেটা জেনারেলদের দেয়। আরো জানতে পারবেন pleasure principle, conscious, subconscious, unconscious এর ব্যাপারে বিশ্বকোষীয় লেখাগুলো পড়লে।

Wednesday, December 27, 2017

ড্রাগন ঘটনা

মিমের জগতে মানুষকে সে হোক নিজেকে বা অন্যকে ড্রাগন হিসাবে উল্লেখ করাটা খুব ভয়ংকর জনপ্রিয় একটা মিম এবং সেটা ফেসবুক আবিষ্কারের আগের সময় থেকে।
ঘটনার সূচনা অক্টোবার ১৭, ২০০৩। সেসময়ে ব্লগজগতে জনপ্রিয় ছিলো ব্লগস্পট ও লাইভজরনাল নামক দুইটা সাইট, ওয়ার্ডপ্রেস তখনো বেটা পরীক্ষনের পর্যায়ে বলে। লাইভজরনালে Starblade নামক এক লেখক ধর্মের ভুয়ামি ধরানোমূলক একটা পোস্ট দিলো, সে পোস্টে সে কি লিখেছিলো তা নিচের লিংকে গেলে পুরোটা ইংলিশে পাবেন।
সারমর্ম হচ্ছে সে দেখিয়েছিলো যে যেহেতু গড/আল্লাহ বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান ও অপ্রমান করা যায়না, সেহেতু নিজেকে আধ্যাত্মিকভাবে ড্রাগন মনে করাটা বা অন্য যেকোনোকিছু মনে করাটাও একইরকম এবং ধার্মিকদের যুক্তি "প্রমান করা যায়না বলেই তা মিথ্যা হয়ে যায়না" টা স্টারব্লেডের "নিজেকে ড্রাগন মনে করাটা" এর জন্যও প্রযোজ্য। সেই পোস্টে যে বিতর্কযুদ্ধ লেগেছিলো, সেখানে ছাগুদেরকে তৎকালিন নাস্তিকরা কচুকাটা করে একটি মিম লাইন দিয়ে, তা হচ্ছে
fuck you, i am a dragon.
পোস্টের তারিখ দেখুন। এবার "এরা মানুষ নয়, এরা ড্রাগন" নামক ২০১৭ মিমটা যেটা তৈরি হয়েছে একজনকে "ফেরেশতারা ও বোরাক আসলে কি" প্রশ্নের জবাবের উত্তরকে স্ক্রিনশট করে, সেটার সাথে তুলনা করে দেখুন।

Sunday, December 17, 2017

ভাষা প্রসঙ্গে-২

ভাষার জগতে ভাষার ব্যবহারপদ্ধতি তথা ব্যকরনে স্থিততাবাদি যাদের মিম করে বলা হয় grammar nazi তাদের সাথে ব্যকরনে পরিবর্তনবাদি যারা ভাষার বিবর্তনের পক্ষে ও তা চায়, তাদের কড়া যুদ্ধ ছিলো ও আছে। স্থিততাবাদিদের যুক্তি হচ্ছে যে স্টার ট্রেক ও ম্যাস ইফেক্টের সিরিজে যেরকমটি দেখাতো কয়েক পর্বে যে কোনো কোনো প্রজাতি অতিদ্রুতগতিতে তাদের ভাষা পরিবর্তন করতো বলে মানুষসহ অন্যান্য জাতির পক্ষে তাদের সাথে যোগাযোগ অনেক কঠিন হতো, সেরকম দৃশ্য বাস্তবের মানবজাতির মধ্যে এড়ানোর জন্য ভাষা নিয়ন্ত্রনের এক কেন্দ্রীয় আধিপত্য বা সরকার দরকার যে নতুন কোনো পরিবর্তন আনবার একমাত্র অধিকার রাখবে ভাষার উপরে। পরিবর্তনবাদিদের যুক্তি হচ্ছে এই পদ্ধতি অনেক ধীর। তবে এগুলোই দুইপক্ষের একমাত্র যুক্তি নয়, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে ব্যবহৃত যুক্তি, অন্যান্যর তুলনায়। মানুষ ভাষা আবিষ্কারের পরে মনের ভাব পরিবহন অনেকাংশে সহজ হয় কিন্তু সেখানে সমস্যা থেকে যায় যে অপরজনকে বারবার এক কথা বলে মনে করিয়ে রাখাটা সমস্যা, বিশেষ করে যদি যিনি কথা মনে করিয়ে দিতে চায়, তিনি যদি জীবিত না থাকে। এজন্য মানবজাতি বুদ্ধিতে বের করলো ছবি চিহ্ন দেখানোর মাধ্যমে মনের ভাব বিনিময় ও সে ছবি চিহ্ন কোনো জায়গাতে তৈরি করে সংরক্ষন করে রাখা। তার ফলে তৈরি হলো প্রথম Writing system যার অংশ হলোHieroglyphics Sign language । তারপরে চিহ্ন লিখার মাধ্যম হিসাবে বিভিন্ন জিনিসের উপরে পরীক্ষা চালানোর ফলে Egyptian Civilization এর লোকরা আবিষ্কার করলো যে Papyrus গাছের রস ও ছাল থেকে কেমন একটা জিনিস তৈরি করা যায় যার উপরে চিহ্ন সহজে দেওয়া যায়, মুছে না সহজে আবার খুব কঠিন না মুছা। তৈরি হলো প্রথম paper. তার পরে মানুষ দেখলো যে বারবার হাতে করে লিখা ও খোদাই করা একটা কঠিন কাজ, চেষ্টা চললো কাজটা স্বয়ংকৃয় করার, Johannes Gutenberg আবিষ্কার করে ফেললো Printing Press, ফলে শিক্ষনজগতের বড় বিস্তার ঘটলো স্বয়ংকৃয় ছাপাতে গনহারে বই বিস্তারের ফলে। বিংশ শতাব্দীর দিকে যখন কম্পিউটার আবিষ্কার হলো, প্রথম কম্পিউটারগুলোতে প্রতিটা প্রোগ্রাম নিজে কোড করে প্রতিবার চালাতে হতো, কোনো সেভ করার অপশন না থাকায় বারবার কোড করতে হতো, চরম ঝামেলা, কম্পিউটার সাইন্সের ছেলেমেয়েরা ভালোমত বুঝে সেভ করতে না পারার ঝামেলা। Jon von Neumann আবিষ্কার করলো Automata theory এর সে অংশগুলো যেগুলোর ফলে কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষন এবং স্বয়ংকৃয় পুনর্লিপি তথা copying সম্ভব হলো। সেটা এবং Ascii System নামক কোড সিসটেম যেখানে কমপিউটারের বাইনারি সিগনালকে ইংলিশ লেখার অক্ষরে প্রদর্শনী করা যায় স্কৃনে, এই দুইটার ফলে ভাষা ও প্রকাশনের খাত অনেক বড় একটা বিস্তার লাভ করলো যার ফলে আজকে আমরা মেমোরি কার্ডে টেরাবাইট পরিমান লেখা জমা করে রাখতে পারছি ও প্রয়োজনে চালু করতে পারছি যেকোনো কমপিউটারে।

এই লেখাতে দেখানো হয়েছে যে ভাষাতে বিবর্তনের পক্ষীয় হলে যে বোধগম্য কথ্য ভাষা অবোধগম্যতে পরিনত হতে পারে তা এবং তার সাথে দেখানো হয়েছে যে তথ্যকে সবচেয়ে সংক্ষেপে সবচেয়ে বেশি প্রচার করানোর জন্য যতরকমের প্রচারনা ও সংরক্ষনচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।

Friday, December 15, 2017

কান্নাকাটি প্রসঙ্গে

প্লেয়ার: আপনি ও অনেক নাস্তিক ব্লগাররা প্রায়ই বিভিন্ন ব্যাপারকে নালিশ করার কিছু একটা সাজিয়ে সেটা নিয়ে অনেক কান্নাকাটি জুড়েন, অতীতের বিভিন্ন ট্র্যাজেডি বারবার ডেকে নিয়ে আসেন পোস্টে কমেন্টে, জিনিসটা কেমন জানি, কিছুটা মেয়েমানুষী গন্ধ পাই, মেয়েলী ছিচকাদুনি।
আমি: ব্যাপার নিয়ে কান্নাকাটি বা মেয়েলিবাজি যেটা আপনি বলছেন, এখানে ব্যাপার হচ্ছে একেকজনের আদর্শ একেকরকম এবং কারোরটা কারোর সাথে ১০০% মিলে না। এখন আদর্শিক বৈপরীত্য, সেটা ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির হোক বা নন-ব্যক্তি সত্তা যেমন রাষ্ট্র, সমাজ, গ্রুপ প্রভৃতির হোক, সেখানে সেটা পেলে সেটা নিয়ে নালিশ জুড়া বা আপনার ভাষায় বললে মেয়েলিবাজি যেটা, সেটা অন্যরা কিজন্য করে, সেটা তাদের মগজের ভেতরে এবং তারা বলতে পারবে সঠিকটা, আমি আমারটা বলি, আমি অতীত ঘটনা যা নিয়ে আসি, সেখানে আমি বলে দেই যে এই নির্দিষ্ট স্মৃতিটার মতো অবস্থা তৈরি করতে হবে এবং ওই নির্দিষ্ট স্মৃতির মতো অবস্থা তৈরি করা যাবেনা, মানে replication factor এ যা আসে আমার দিক থেকে। আপনি যদি সার্বিকভাবে মেয়েলিবাজি অর্থাৎ যেকোনো ব্যাপার পেলেই সেটা নিয়ে নাকিকান্না, নালিশ করা, পোস্ট হ্যাশট্যাগ কমেন্ট চিতকার স্লোগান দিয়ে তার বিরুদ্ধে বলা এই পুরো ব্যাপারটার কথা যদি বলতে চান, ব্যাপারটা হচ্ছে কোনো ব্যাপার পেলে সেটার প্রতি একটা প্রতিকৃয়া জানানোর আদর্শিক ধারা, যেটাকে বলে প্রতিকৃয়াশীলতা, reactionary. আপনার আদর্শ আমি যতটুকু জানলাম এতদিনে, তাতে আপনি তার উল্টাপথের অর্থাৎ tolerancy এর আদর্শিক ধারার চর্চা করেন অর্থাৎ সহনশীলতার, যেখানে আপনি মনে কোনো ব্যাপারের প্রতি কিছু অনুভব করেন না অথবা করলেও সেটা প্রকাশ করেন না, আপনি গেম, অ্যানিমে, ফাস্টফুড, ট্রিপ, ড্রিংক, ড্যান্স, স্পোর্টস প্রভৃতি নিয়ে পড়ে থাকেন। এটা হচ্ছে সার্বিকভাবে reactionary vs tolerancy এর আদর্শিক রাজনীতির একটা ভূমিকাতথ্য। আর সার্বিকভাবে না করে আংশিক নির্বাচনী ভাবে যদি বলতে চান, আমি যেরকম নির্দিষ্ট কিছু ব্যাপারে কথা বলি, normative statement অর্থাৎ কি করা উচিত উচিত না, এরকম বক্তব্য দেই, আরেকজন তার আদর্শের জায়গা থেকে সেটা করে এজন্য এরকম দেখবেন যে আমার মেয়েলিবাজির সাথে তার মেয়েলিবাজি মিলবে না। একই ব্যাপারে সে হাউমাউ কান্না চিল্লাচ্ছে, আমি তাতে চুপ করে থাকছি বা হাসছি।
প্লেয়ার: বুঝলাম। কিন্তু প্রায় সবাই যদি আপনাদের অনেকের মতো সারাক্ষন মেয়েলিবাজি করে, তাহলে কি জীবনের অন্যসব কাজ বন্ধ হয়ে যাবেনা?
আমি: এটা আমার আদর্শের দিক থেকে বড় ব্যাপার এবং এখানে যে ব্যাপারটা কাজ করছে, তা ঐ আদর্শিক ভিন্নতাটাই। দিনে গড়ে ৫ ঘন্টা গেম খেলে আপনার সাথে চ্যাট কিংবা বাস্তবে দেখা করে এসব বলা, তারপরে সেটা থেকে বা তা না থেকে পোস্টের বিষয় তৈরি করা কিংবা অন্যকিছু করা, সেটা আমার আদর্শ, যা আমার মানসিক অবস্থার ফল।

প্যারাডকসিকাল সাজিদ বই লিংক

অবশেষে নিল নিমো পারসে। নাস্তিক কমিউনিটির মাঝে ২০১৪ তে আসা, এসেই একধাক্কায় আমার পাওয়ার লেভেলের কাছে আসা, তারপরে দেখানো যে আমার পাওয়ার লেভেলের চেয়েও বেশি তারটা, তার পাওয়ার লেভেলের উৎস চ্যাটে বলার পরে আমাকে মহা-মহা আনন্দিত করা, সেই নিল নিমো, প্যারা সাজিদকে ছবি তুলে আপলোড করে দিয়েছে।

https://drive.google.com/file/d/0B6vWsXqT8m7KXzNOTVoyN1poblE/view

Sunday, December 10, 2017

সাহিত্য প্রসঙ্গে

চিত্র, শব্দ তথা ইন্দ্রিয়মাধ্যমে অনুভূতি তৈরির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু আবেগ ও চেতনা তৈরির পদ্ধতির সমষ্টিকে সাহিত্য/কলা বলে। art এর বাংলা। বিশ্বের প্রথম কলা থেকে শুরু করে সাহিত্যের মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্মীয়, জীবন জ্ঞান ছড়ানোর ব্যাপারটি বিদ্যমান আছে এবং অর্থধ্যায়নের (hermeneutics) বিষয়ে এগুলো গবেষনা করা হয়। উদাহরন: deus ex নামক গেমে বিদ্যমান অধর্মীয়, বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো, কিভাবে সেখানে রাজনীতি ও উত্তরমানবতাবাদ নিয়ে প্রচারনা হয়েছে।

সাহিত্যের বিভিন্ন ধারা মননের উপরে feedback loop করে এভাবে যে একটা নির্দিষ্ট মানসিকতা থেকে নির্দিষ্ট সাহিত্য (লেখা, ছবি, গেম, অ্যানিমে, মুভি) তৈরি হয়, সেটা আবার সে মানসিকতাকে হয় তৈরিতে নয় ধ্বংসতে সাহায্য করে।

Thursday, December 7, 2017

পার্টনার প্রসঙ্গে

এটা ২০১৩ সালে আমার ফেসবুক প্রফাইল, যার নাম ব্লগের নামে ছিলো, সেটাতে লিখেছিলাম। আজকে তা লেখা হলো স্মৃতি থেকে যতটা সম্ভব।

নাস্তিক কমিউনিটিতে কে কিরকম পার্টনার চায় যৌনভিত্তিক, তা নিয়ে এই ইভেন্টে বিভিন্নজনের এন্ট্রির পাশে আমার এই এন্ট্রিটি।

অবশ্যই নাস্তিক চাই কারন নামাজ, পূজা, চার্চ প্রে যেটাই হোক, সেটা প্রমান ছাড়া অনুভূতি, বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানানো কোনো পার্টনার চাইনা এবং এ নিয়ে দাম্পত্য যুদ্ধগুলোও চাইনা।

নাস্তিক পার্টনারের অন্যান্য আদর্শ কি কি হবে, তার লেখা অনেক লম্বা হবে, এখন যা মনে পড়ছে, ততটুকুই লিখলাম। পার্টনারকে গেম ও অ্যানিমের কড়া ফ্যান হতে হবে, এরকম যে সে গেম খেলবে, অ্যানিমে দেখবে এবং মাঝেমধ্যে তাদের সম্পর্কিত বিভিন্ন background story তাদের উইকিতে পড়বে আর সেটা আমাকে দেখাবে এবং আনন্দের সাথে। তাকে নিয়ে বিভিন্ন কমিকনে ঘুরতে যাওয়া যাবে, তার মুখের ভাষাহবে গালিহীন আঞ্চলিকতা চিবানোহীন formal english এবং আধুনিক ঘরানার পোশাক ও চেহারা, তাকে নিয়ে কমিকনে হাতে হাত ধরে, কোমরে হাত রেখে এবং দুই হাতের উপরে মানে কোলে তুলে বহন করতে চাই। তার সাথে গেম কনটেস্টে গেম খেলতে চাই 1 vs 1. বাইরে থাকা অবস্থায় তার বড় ফোন বা কম্পিউটার বের করে সেখানে কোনো anime/comic related trivia লোড করে দেখাবে, fireworks and laser light show তে ্আমার সাথে থাকবে এবং খুব বাঙ্গাল রোমান্টিক না আবার খুব ফরমাল না এরকম মধ্যম western romantic কথা ও আচরন করবে।

Wednesday, December 6, 2017

মনোজগতীয় চলক প্রসঙ্গে

মানুষসহ কিছু প্রজাতির প্রানি যাদের মগজ বিবর্তিত হয়েছে সরল উচ্ছাসীয় চিন্তা/instinctual thought এর বাইরে জটিল চিন্তাক্ষমতা নিয়ে, সেসব প্রানির মধ্যে বিভিন্ন স্মৃতি, চিন্তা ও তার ফলে সৃষ্ট কর্ম/action কে চালু করা যায় বিভিন্নরকমের আলো, শব্দ, কথা, পরিবেশের দৃশ্য ইত্যাদি দিয়ে। এসব ব্যাপার যেগুলোর মাধ্যমে মনে স্মৃতি চিন্তা এসব চালু করা যায় মানে মগজ চালু করা যায়, সেগুলোকে মনোবিজ্ঞানে বলে মনোজগতীয় চলক বা psychological trigger. বিভিন্নরকমের মনোরোগ যেমন বিষন্নতা, অতিসুখ, post traumatic stress disorder, সন্দেহবাতিকতা (paranoia), আতংকরোগ (panic disorder), রাগ ইত্যাদি তৈরি করার ক্ষমতা যেহেতু বিভিন্ন কথ্যভাষা ও পরিবেশের মধ্যে থাকে, সেহেতু পশ্চিমা বিশ্বে পড়ুয়া জগতে (academics) এ বিভিন্ন বইয়ের পাঠ্যসূচি বা ক্লাস লেকচার শুরুর আগে সেখানে trigger alert/trigger warning বলা হয় যেখানে জানানো হয় যে আপনাদের মধ্যে যাদের উপরোক্ত বা কাছাকাছি কোনোরকম সমস্যা আছে, তারা যেনো পড়াটি পড়তে বা জানতে যাবার আগে প্রস্তুতি নেয় অথবা যেনো ক্লাস ত্যাগ করে। a soldier who saw his comrades burn to death might have intense reactions to the smell of grilling
আমিসহ যত ব্লগার ও ফেসবুকাররা আছে যারা লেখার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য পূরন করানোর চেষ্টা করছে মানুষকে লেখার মাধ্যমে জানিয়ে, তারা এই psychological trigger ব্যাপারটিরই ব্যবহার করাচ্ছে।
এই লেখাটি পড়ার ফলে আপনার মনে যেসব স্মৃতি ও চিন্তা আসছে, সেগুলোর পিছনে এই লেখাটি trigger হিসাবে কাজ করছে।
ক্যাকারট!!

আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রসঙ্গে

অক্টোবার ১৭. ২০১০
ব্লগ আমলের প্লেয়ার Horus Ahmed লিংকে দেওয়া লেখাটি প্রকাশ করে। লেখাটি প্রকাশ ছিলো বাংলা অনলাইনে নাস্তিকদের বড় আকারের বিজয়ের একটি। লেখাটির ফলে বাংলাভাষীরা জানতে পারে যে জগতে জ্বিন ভূত পরী আল্লা ইশ্বরের উপস্থিতির অনুভূতি তৈরির একটি কৃত্রিম যন্ত্র আছে যার মাধ্যমে মসজিদে সারাক্ষন পরে থাকা কড়া ঈমানির অনুভূতিগুলো হোরাসের মত সুপারপ্লেয়ার নাস্তিকের মগজেও তৈরি করা সম্ভব। যন্ত্রটি god helmet/ইশ্বরের শিরস্ত্রান। লেখাটি আমি পড়ি ২০১১ সালের Q3/fall season সময়ে। তারপরে বাংলাভাষী ও ইংলিশভাষী বহু ফোরাম ও চ্যাটরুমে মুসলিম ও খৃষ্টান ছাগুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়ে কাজে দিয়েছিলো গড হেলমেটের লেখাটি।

পাগল প্রসঙ্গে

এটা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দেখা যায় যে প্রতিপক্ষরা অপরপক্ষকে পাগল বা মেন্টাল বা insane লেবেল দেয়, বিশেষ করে টারগেট করে প্রতিপক্ষের নেতাদেরকে। বাংলাভাষী নাস্তিক কমিউনিটির সদস্যদের মধ্যে বড় প্লেয়ার যারা জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতার দিক থেকে, তাদের মধ্যকার যুদ্ধগুলোতে দেখতে পাবেন পরস্পরকে বিভিন্ন মানসিক রোগে আক্রান্ত হবার অভিযোগ ছুড়তে। মানসিক রোগাক্রান্ত আছে কতটা ও কতটা হচ্ছে ভুয়া অভিযোগ সে হিসাব অজানা এবং সঠিক হিসাব বের করা প্রায় অসম্ভব। কারনটি এরপরের লাইন থেকে শুরু। ঘটনা হচ্ছে যে মানুষকে পরিবেশে চারপাশ থেকে তাকে যে আদর্শ শিখানো হয়, বিশেষকরে এভাবে যে সে আদর্শই সব এবং সেটাই তাবৎ জগত তথা omniverse এর জন্য মঙ্গলজনক, সেটার প্রতি তখন সে নেশাগ্রস্ত হয়ে উঠে (মুমিনদের নামাজ ও সওয়াব নেশা দ্রষ্টব্য) যেটাকে মানুষ বলে obsessive compulsion রোগ, কিন্তু এই উদাহরনে তার নেশাটি কতটুকু আদতে রোগ ও কতটুকু আদর্শের সৃষ্টি?
এরপরে মানসিক রোগ ও রোগের চিকিতসার প্রসঙ্গে, বিশ্বের ইতিহাসে শিকার শিকারী যুগ থেকে আদর্শিক অমিলে আদর্শের অনুসারীদেরকে পাগল নামে রটিয়ে দিয়ে তাকে নেতৃত্ব থেকে সরানো, তার আদর্শকে পাগলামি লেবেল দিয়ে তা থেকে মানুষকে সরানো ও তার চিকিতসার নামে তাকে আটকানো ও মেরে ফেলা পর্যন্ত খুব জনপ্রিয় এবং ভয়ংকর একটি মিলিটারি কৌশল। ইতিহাসসহ বিস্তারিত জানতে পড়ুন https://en.wikipedia.org/wiki/Antipsychiatry এবং https://en.wikipedia.org/…/Controversy_surrounding_psychiat…
এসব কথাকে ফরমাল গবেষনা আকারে প্রকাশনার জন্য communist দের কাছে আবার jacques lacan, michael foucault, erving goffman, thomas szasz জনপ্রিয় the four horsemen of the antipsychiatric apocalpyse হিসাবে। তবে আবার কমিউনিস্ট বা সমাজতান্ত্রিকরা বিরোধী আদর্শের নেশাগ্রস্ত অনুসারীদেরকে পাগল নামে রটিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে মানসিক হাসপাতাল গারদে আটকানোতে সবচেয়ে পারদর্শী ছিলো। দেখুন https://en.wikipedia.org/wiki/Political_abuse_of_psychiatry এবং https://en.wikipedia.org/…/Political_abuse_of_psychiatry_in…
তাহলে যাদের আচরনে আমরা পাগলামি দেখছি বলে মনে করছি, তারা কি তাহলে? যে লোকগুলো তাদের মুমিনত্ব, জাতীয়তাবাদ, সাংস্কৃতিক বিশুদ্ধতাসহ বহু আদর্শকে কায়েমের জন্য রাস্তার পাগলের টাইপের পাগলামি করছে, কমের মধ্যে মজা লুটা হে হে হু হু হি হি বাজি সাথে গালিগালাজ ও বেশির মধ্যে রাস্তাতে আক্রমন ও ভাংচুর, তারা তাহলে কি? সেক্ষেত্রে বড় রকমের সম্ভাব্য উত্তর হচ্ছে যে তারা পরার্থপর (altruistic) তবে altruistic in their own ways. এই জিনিসটা ভালো করে বুঝবেন বিনোদনের মাধ্যমে যদি mass effect 3 নামক গেমটি খেলুন। পুরো ম্যাস ইফেক্ট সিরিজের ঘটনা ও তার সমাপ্তি হচ্ছে তাদের ইউনিভার্সে রিপার নামক এক জীবপ্রজাতির "পাগলামি" ঠেকাতে মানবজাতি ও আরো কয়েক এলিয়েন জীবপ্রজাতির সম্মিলিত যুদ্ধচেষ্টা। রিপাররা জগতের তাবতের উপকার ও সুখ চায়, জগতের সকল জীব সুখি হোক। কিন্তু সুখি হওয়াটা ও সুখটা হবে রিপাররা তাদের মনে যেটাকে সুখ হিসাবে দেখে, সেটাকে। এজন্য তারা সবকিছুকে জিনেটিকালি এসেম্বল করে রিপার প্রজাতিতে পরিনত করে, নিজেদের মতো করে সবার জিন বানিয়ে ফেলে যাতে করে আর কেউ মুক্তভাবে চিন্তা মানে freethinking করে অনেক কিছু চিন্তা করে তাদের দৃষ্টিতে "পাগল" হয়ে যেতে না পারে। সেটাকে ঠেকানো হবে নাকি বাড়তে দিয়ে জিততে দেওয়া হবে, সেটা হলো mass effect 3 এর বহু সমাপ্তিদৃশ্যের অংশ। রিপারদের এটার সাথে আশেপাশের কোন "পাগল বলে রটানোদের মিল পান?"
সারমর্ম: যেসব লোক আপনাকে ও আপনার পছন্দের আদর্শের অনুসারীদেরকে পাগল বলে রটাচ্ছে ও মানসিক চিকিতসার সাজেশন দিচ্ছে, তারা কি আদতে আদর্শটি ঠেকানোর জন্য আপনাকে ও আপনার আদর্শের ব্যক্তিদের মূল্য কমাতে পরিকল্পনা জেনেই এরকম বলছে নাকি না জেনে বলছে? চিন্তা করে দেখুন।

ব্যঙ্গ প্রসঙ্গে

বিশ্বব্যাপী নাস্তিকদের মধ্যে মজালস ট্রল ব্যঙ্গকারী গ্রুপদের সাথে সিরিয়াস বিতর্ক গ্রুপদের সম্পর্ক কোপানির। কোপাকুপিতে সিরিয়াস গ্রুপদের কমন অর্থাৎ বহুজনের মুখ থেকে দেওয়া একই যুক্তি হচ্ছে
বিবর্তনীয় ধারাতে ইতিহাসের একটা বড় divergence বা ভাংগুরাংশ যে মানবজাতির মনোজগতে সিরিয়াসনেস হিংস্রতা নির্দয়তা vs মজানেয়তা নরমতা দয়ালুতার বিভাজন ঘটে। স্যাপিয়েন্স প্রজাতির আমল শুরু হবার কিছু শতখানেক বছর পরে। এটা মানুষসহ খুব অল্প কিছু প্রজাতির মধ্যে দেখা যায় যে তারা নিজ প্রজাতির মধ্যে উপপ্রজাতি করে নিজেদের শিকার করে। আরো সহজ করে বললে, পিছে লাগা ও যুদ্ধ লাগানো।
মানুষসহ সেসব প্রানি প্রজাতি কখনোই প্রকাশ করেনা যে তারা কি ক্ষতির ধান্দাতে আছে নাকি না।
সেজন্য বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের আবিষ্কার বলে যে বিবর্তনের ফলে মানুষসহ কতিপয় প্রানির মগজে এটা তৈরি হয় যে তারা যার মধ্যে হিংস্রতা ও সিরিয়াসনেস দেখবে, তাকে বেশি মান্য করবে।মন অটো তা চালু হয়।
এজন্যই কমেডি শো গুলোতে যত বেশি সম্ভব "হে হে হো হো লু লু" টাইপ লোক ডাকা হয় কিন্তু মিলিটারি, হেভি ইনডাস্ট্রির পেশা যেমন ট্রেন বিমান ইনজিনিয়ারিং, স্পেস ইনজিনিয়ারিং, এসবে ডাকা হয় যতটা সম্ভব সিরিয়াস রোবট মানুষ এবং তারপরেও তাদেরকে কড়া ট্রেনিং দেওয়া হয় যেনো মনে একটুর জন্যও মজা লস হে হে মানসিকতা একদমই তৈরি যাতে না হয়।
এজন্য নাস্তিকদের সিরিয়াস গ্রুপের সদস্যরা মরনপর্যন্ত কিবোর্ড, কলম ও মাইক দখলে রাখতে মরিয়া বিতর্ক করতে। কোনো ট্রল না, মিম না, মজা লওন না, ব্যঙ্গ না, খোচা না। কেবল অপরপক্ষকে দেখানো যে তার ভুল কই, তার সমস্যা কই। যতবেশি তথ্য দেওয়া যায়।
এখানে শুরু হয়ে যায় মজালস গ্রুপের হামলা অথবা সিরিয়াস গ্রুপের হামলা। নিজপক্ষকে "ধ্বংস" করা ঠেকাতে প্রতিপক্ষ, মজালস গ্রুপের কাছে সিরিয়াসরা প্রতিপক্ষ, সিরিয়াসের কাছে মজালস, প্রতিপক্ষের সাথে যুদ্ধ লাগায়।

জঙ্গিবাদ বিস্তারে নাস্তিকদের সহায়তা প্রসঙ্গে-২

২০১২ সালে বাংলাভাষি নাস্তিকদের একটা সম্মেলন হয়েছিলো। সে সম্মলনে বিষয় ছিলো নাস্তিকতা বিজ্ঞানবাদ মুক্তচিন্তা বিস্তারের জন্য বই কাগজে লিখে সেটা বইমেলাতে প্রকাশ করে সেটার প্রফিট থেকে প্রচারনার ফান্ড চালানো। আমি সেখানে যে বক্তৃতাটা দিয়েছিলাম সবার সামনে সেটা আজও প্রযোজ্য এবং এখানে দেওয়া হলো
আপনারা মনে করেন যে আপনারা যারা "বিজ্ঞান ও ধর্ম" "আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী" "বিশ্বাসের ভাইরাস" "বিবর্তনের পথ ধরে" টাইপের বইগুলো কাগজে তৈরি করে বিক্রির মাধ্যমে ছড়াতে চাইছেন, তারা মনে করেন যে মানুষ এসব বইয়ের নাম ও লেখকের নাম দেখলে কুরান হাদিস তাফসির মকসুদুল মুমিনিন টাইপ বইয়ের মতো গনহারে কিনবে ও বাচ্চাদের জোর করে পড়াবে। একদমই না, উল্টা প্রকাশনাতে ও বইমেলাতে ভাংচুর হামলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। শহরের মডার্ন ইসলামিক (ছাগু শব্দের ব্যবহার তখনো শিখিনি) এবং গ্রামের ইসলামিকরা দলবেধে আসবে লেখককে খুজতে ও বই ধ্বংস করতে, তখন কি দিয়ে আপনারা প্রচার করবেন? আমি নিজে ও অনেকে নাস্তিক হয়েছে কাগজের বই কিনে না, নেট থেকে, নেটের জগতে ফ্রিতে লেখা প্রচার হয়, সেটা পড়ে এতকিছু জানা, আপনারা যদি নাস্তিকতা বিজ্ঞানবাদের বই দিয়ে ধান্দা for profit করতে চান, ৩৫০ বছর অপেক্ষা করুন কমপক্ষে, এখন ইসলাম অনেক বেয়াড়া এবং সবাইকে কুপায়ে পুরো পৃথিবীকে অরবিট থেকে চ্যুত করে হলেও নিজেকে কায়েম করানোর চেষ্টা করবে, যদি না আমরা নিজেদের টাকা খরচ করে ফ্রিতে কাগজের বই ও নেটে লেখা বিতরন না করি।
তাই বই নিয়ে ধান্দাবাজি বন্ধ হোক immediately.
২০১২ এর পরে যেসব নাস্তিকরা এই বক্তৃতার জন্য আমাকে শত্রু বানিয়েছিলো, ২০১৫ এর পরে তারা সব কেদে একাকার এবং শেষপর্যন্ত সব ফ্রিতে ছাড়লো নেটে।
TOO
BLOODY
LATE

জঙ্গিবাদ বিস্তারে নাস্তিকদের সহায়তা প্রসঙ্গে

ইসলামি জঙ্গিবাদ বিস্তারে সহায়তা করার জন্য ইসলাম যে ভুয়া ও মিথ্যা, সেটা প্রচার না করে ও সে প্রচার হতে না দিয়ে কেবল কোরবানির টাকা কোরবানিতে না দিয়ে সেটা বন্যা বা গরীব বা অন্যখাতে ব্যয় করতে বলা হচ্ছে। তাদের প্ল্যানটা ত্রুটিমুক্ত এই পর্যন্ত যে এরকম প্রচারনা দেখলে মুসলিমরা খেপবে, খেপে ইসলামি প্রচারনা বাড়াবে ও সে বাড়ন্ত প্রচারনাতে আরো মুসলিম জঙ্গি তৈরি হবে যারা তাদের মিথ্যাচারকে সত্য আরো কড়াভাবে মনে করবে এবং অস্ত্র হাতে যুদ্ধ লাগাবে। জঙ্গি ধরার আগে যারা কোরবানির টাকা অন্যখাতে দান করতে বলছে, তাদেরকে ধরা দরকার যে তারা জামাত ও হিজবুত থেকে কি পরিমান পেমেন্ট ও ক্ষমতার বিনিময়ে এভাবে জঙ্গিত্ব বিস্তারে সাহায্য করছে।

ভাষা প্রসঙ্গে

মানুষ প্রজাতির মধ্যে মনের কথা পড়ার বৈশিষ্ট্য না থাকায় কোনো কথা কাজ কি অর্থে বলা ও করা হয়, তা নির্ণয় বড় মাত্রায় অস্পষ্ট ৷ jacques derrida এর deconstruction নিয়ে গবেষনা এই ব্যাপারটা বেশি করে দেখিয়ে দিয়ে তাকে বিখ্যাত করেছে ৷

জীবনসঙ্গি প্রসঙ্গে

ইনবক্সে আগত প্রশ্ন: আমরা যারা অবিশ্বাসী আছি, আমরা কীভাবে আমাদের মত জীবনসঙ্গী পাবো? এটা একটা সমস্যা।
উত্তর বড় পোস্ট এবং এটা সেটা। নিচে পড়া শুরু করুন।
পৃথিবীতে মানবজাতির আদিযুগ থেকে সঙ্গিনির্বাচন ও বংশরক্ষা খুব ভয়ংকর একটি প্রতিযোগিতার ব্যাপার ছিলো এবং ধর্মগুলোর তৈরির পিছনে একটা বড় ফ্যাক্টর ছিলো অলীকের ভয় দেখিয়ে পরিবার ও বংশরক্ষা।
এই হিসাবে অবিশ্বাসীরা সবসময়ে পিছিয়ে ছিলো সঙ্গী নির্বাচন ও রক্ষাতে যে তাদের সঙ্গীরা ধর্মভিত্তিক নির্ভরশীলতার জায়গা থেকে
পরিবার গঠন করতো না বলে তাদের পরিবার কম টিকতো ও টিকে।

কিন্তু মিথ্যা দিয়ে বেশিকাল চলা যায়না কারন তথ্যপ্রবাহের গতির উপরে নির্ভর করে মিথ্যা ধরা খায়। যেহেতু পৃথিবীবহির্ভূত নেটওয়ার্ক বা extranet এখন নেই, পৃথিবীর ভেতরে internet দিয়ে সহজে তথ্য পরিবহন করা যায় আলোর গতিতে, তাই মানবজাতির মধ্যে মিথ্যা ছড়ানো ও ধরা, এই দুইটা এখন অনেক সহজ হওয়ায় ধর্মের মিথ্যা ধরে ফেলা যায়। ফলে ধর্ম উধাও হয়ে যাচ্ছে। তো এখন পরিবার তৈরি ও রক্ষন কি নিয়ে হবে? সেই পলিসির প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত এবং মতের পার্থক্যগত যুদ্ধ নিয়ে ঘটে ঝগড়া ও ভাংগন।
এখন তাহলে জীবনসঙ্গী কিভাবে পাবো? প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর হচ্ছে প্রায় অসম্ভব। জীবনসঙ্গী খোজা তথা ডেটিং, সেটার রেজিস্ট্রিকরন তথা বিবাহ, সংসারকরন তথা family matters এসবে নাস্তিকদের সংখ্যাগতভাবে ~৬৪% (বামপাশের ~ চিহ্নটি দিয়ে প্রায় কথাটা বুঝায়) এর বিকর্ষন আছে এবং তাদের এক বড় অংশের বিকর্ষনটা তৈরি পরিবারগত ও যৌনগত ব্যাপারে মতভেদের ফলে। একপক্ষ আধুনিক ডিস্কো গেমার টাইপ, অপরপক্ষ রাবীন্দ্রিক বা ইউরোক্ল্যাসিকাল, লেগে গেলো ফাইট। এরপরে আছে নারীবাদ অর্থাৎ feminism ব্যাপারে নারীবাদি অর্থাৎ feminist দের মধ্যকার মারামারি এই ইস্যুতে। একপক্ষ বলে প্রেম ভালোবাসা সব মিষ্টি এবং স্বাধীনতার স্মারক, আরেকপক্ষ বলে তা পুরুষতন্ত্রের চাপানো ষড়যন্ত্র।