Wednesday, December 6, 2017

ব্যঙ্গ প্রসঙ্গে

বিশ্বব্যাপী নাস্তিকদের মধ্যে মজালস ট্রল ব্যঙ্গকারী গ্রুপদের সাথে সিরিয়াস বিতর্ক গ্রুপদের সম্পর্ক কোপানির। কোপাকুপিতে সিরিয়াস গ্রুপদের কমন অর্থাৎ বহুজনের মুখ থেকে দেওয়া একই যুক্তি হচ্ছে
বিবর্তনীয় ধারাতে ইতিহাসের একটা বড় divergence বা ভাংগুরাংশ যে মানবজাতির মনোজগতে সিরিয়াসনেস হিংস্রতা নির্দয়তা vs মজানেয়তা নরমতা দয়ালুতার বিভাজন ঘটে। স্যাপিয়েন্স প্রজাতির আমল শুরু হবার কিছু শতখানেক বছর পরে। এটা মানুষসহ খুব অল্প কিছু প্রজাতির মধ্যে দেখা যায় যে তারা নিজ প্রজাতির মধ্যে উপপ্রজাতি করে নিজেদের শিকার করে। আরো সহজ করে বললে, পিছে লাগা ও যুদ্ধ লাগানো।
মানুষসহ সেসব প্রানি প্রজাতি কখনোই প্রকাশ করেনা যে তারা কি ক্ষতির ধান্দাতে আছে নাকি না।
সেজন্য বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের আবিষ্কার বলে যে বিবর্তনের ফলে মানুষসহ কতিপয় প্রানির মগজে এটা তৈরি হয় যে তারা যার মধ্যে হিংস্রতা ও সিরিয়াসনেস দেখবে, তাকে বেশি মান্য করবে।মন অটো তা চালু হয়।
এজন্যই কমেডি শো গুলোতে যত বেশি সম্ভব "হে হে হো হো লু লু" টাইপ লোক ডাকা হয় কিন্তু মিলিটারি, হেভি ইনডাস্ট্রির পেশা যেমন ট্রেন বিমান ইনজিনিয়ারিং, স্পেস ইনজিনিয়ারিং, এসবে ডাকা হয় যতটা সম্ভব সিরিয়াস রোবট মানুষ এবং তারপরেও তাদেরকে কড়া ট্রেনিং দেওয়া হয় যেনো মনে একটুর জন্যও মজা লস হে হে মানসিকতা একদমই তৈরি যাতে না হয়।
এজন্য নাস্তিকদের সিরিয়াস গ্রুপের সদস্যরা মরনপর্যন্ত কিবোর্ড, কলম ও মাইক দখলে রাখতে মরিয়া বিতর্ক করতে। কোনো ট্রল না, মিম না, মজা লওন না, ব্যঙ্গ না, খোচা না। কেবল অপরপক্ষকে দেখানো যে তার ভুল কই, তার সমস্যা কই। যতবেশি তথ্য দেওয়া যায়।
এখানে শুরু হয়ে যায় মজালস গ্রুপের হামলা অথবা সিরিয়াস গ্রুপের হামলা। নিজপক্ষকে "ধ্বংস" করা ঠেকাতে প্রতিপক্ষ, মজালস গ্রুপের কাছে সিরিয়াসরা প্রতিপক্ষ, সিরিয়াসের কাছে মজালস, প্রতিপক্ষের সাথে যুদ্ধ লাগায়।

No comments:

Post a Comment