Friday, December 15, 2017

কান্নাকাটি প্রসঙ্গে

প্লেয়ার: আপনি ও অনেক নাস্তিক ব্লগাররা প্রায়ই বিভিন্ন ব্যাপারকে নালিশ করার কিছু একটা সাজিয়ে সেটা নিয়ে অনেক কান্নাকাটি জুড়েন, অতীতের বিভিন্ন ট্র্যাজেডি বারবার ডেকে নিয়ে আসেন পোস্টে কমেন্টে, জিনিসটা কেমন জানি, কিছুটা মেয়েমানুষী গন্ধ পাই, মেয়েলী ছিচকাদুনি।
আমি: ব্যাপার নিয়ে কান্নাকাটি বা মেয়েলিবাজি যেটা আপনি বলছেন, এখানে ব্যাপার হচ্ছে একেকজনের আদর্শ একেকরকম এবং কারোরটা কারোর সাথে ১০০% মিলে না। এখন আদর্শিক বৈপরীত্য, সেটা ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির হোক বা নন-ব্যক্তি সত্তা যেমন রাষ্ট্র, সমাজ, গ্রুপ প্রভৃতির হোক, সেখানে সেটা পেলে সেটা নিয়ে নালিশ জুড়া বা আপনার ভাষায় বললে মেয়েলিবাজি যেটা, সেটা অন্যরা কিজন্য করে, সেটা তাদের মগজের ভেতরে এবং তারা বলতে পারবে সঠিকটা, আমি আমারটা বলি, আমি অতীত ঘটনা যা নিয়ে আসি, সেখানে আমি বলে দেই যে এই নির্দিষ্ট স্মৃতিটার মতো অবস্থা তৈরি করতে হবে এবং ওই নির্দিষ্ট স্মৃতির মতো অবস্থা তৈরি করা যাবেনা, মানে replication factor এ যা আসে আমার দিক থেকে। আপনি যদি সার্বিকভাবে মেয়েলিবাজি অর্থাৎ যেকোনো ব্যাপার পেলেই সেটা নিয়ে নাকিকান্না, নালিশ করা, পোস্ট হ্যাশট্যাগ কমেন্ট চিতকার স্লোগান দিয়ে তার বিরুদ্ধে বলা এই পুরো ব্যাপারটার কথা যদি বলতে চান, ব্যাপারটা হচ্ছে কোনো ব্যাপার পেলে সেটার প্রতি একটা প্রতিকৃয়া জানানোর আদর্শিক ধারা, যেটাকে বলে প্রতিকৃয়াশীলতা, reactionary. আপনার আদর্শ আমি যতটুকু জানলাম এতদিনে, তাতে আপনি তার উল্টাপথের অর্থাৎ tolerancy এর আদর্শিক ধারার চর্চা করেন অর্থাৎ সহনশীলতার, যেখানে আপনি মনে কোনো ব্যাপারের প্রতি কিছু অনুভব করেন না অথবা করলেও সেটা প্রকাশ করেন না, আপনি গেম, অ্যানিমে, ফাস্টফুড, ট্রিপ, ড্রিংক, ড্যান্স, স্পোর্টস প্রভৃতি নিয়ে পড়ে থাকেন। এটা হচ্ছে সার্বিকভাবে reactionary vs tolerancy এর আদর্শিক রাজনীতির একটা ভূমিকাতথ্য। আর সার্বিকভাবে না করে আংশিক নির্বাচনী ভাবে যদি বলতে চান, আমি যেরকম নির্দিষ্ট কিছু ব্যাপারে কথা বলি, normative statement অর্থাৎ কি করা উচিত উচিত না, এরকম বক্তব্য দেই, আরেকজন তার আদর্শের জায়গা থেকে সেটা করে এজন্য এরকম দেখবেন যে আমার মেয়েলিবাজির সাথে তার মেয়েলিবাজি মিলবে না। একই ব্যাপারে সে হাউমাউ কান্না চিল্লাচ্ছে, আমি তাতে চুপ করে থাকছি বা হাসছি।
প্লেয়ার: বুঝলাম। কিন্তু প্রায় সবাই যদি আপনাদের অনেকের মতো সারাক্ষন মেয়েলিবাজি করে, তাহলে কি জীবনের অন্যসব কাজ বন্ধ হয়ে যাবেনা?
আমি: এটা আমার আদর্শের দিক থেকে বড় ব্যাপার এবং এখানে যে ব্যাপারটা কাজ করছে, তা ঐ আদর্শিক ভিন্নতাটাই। দিনে গড়ে ৫ ঘন্টা গেম খেলে আপনার সাথে চ্যাট কিংবা বাস্তবে দেখা করে এসব বলা, তারপরে সেটা থেকে বা তা না থেকে পোস্টের বিষয় তৈরি করা কিংবা অন্যকিছু করা, সেটা আমার আদর্শ, যা আমার মানসিক অবস্থার ফল।

No comments:

Post a Comment