Tuesday, October 17, 2017

বিবর্তন নিয়ে মিথ্যাচার ধরে আমার জবাব

Rajnikanth Reddy এর পুরাতন পরিকল্পনা ও আমার বর্তমান চেষ্টাতে মুমিনবানির জবাবে তৈরি আরেক কপিপেস্ট। এটা ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে কয়েকজনের মাধ্যমে ব্যবহার হতে দেখেছেন, তাদের ক্রেডিট আছে এটা তৈরিতে, আমি এটাতে কিছু পরিবর্তন এনেছি। বিবর্তন নিয়ে মুমিনদের মিথ্যাচারের জবাবে এটি।
ইসলামধর্ম বিবর্তনকে মিথ্যা বলে। বিবর্তন বলে যে কার্বনের সাথে কার্বন মিলে তৈরি হওয়া লং চেইন ও তাতে হাইড্রোজেন অক্সিজেন নাইট্র্রোজেন যুক্ত হয়ে তৈরি হওয়া জৈব যৌগের রাসায়নিক বন্ধন পরিবেশ অনুযায়ী বদল হয় ও তার ফলে জীবের জিনেটিক কোড বংশ থেকে বংশে বদলায়। উল্লেখ্য যে মুমিনরা ছবি স্প্যাম করে যে ছবিতে দেখায় যে বিবর্তনের ফলে এক প্রানি থেকে আরেক প্রানি বংশগতভাবে তৈরি হওয়াটা হচ্ছে অনেকগুলো ভাংগা বা স্ক্র্যাপ ধাতু থেকে কম্পিউটার তৈরি হয়ে যাবার মত, যা সম্পূর্ণ ভুল তুলনা।
ভুল তুলনা এজন্য যে স্ক্র্যাপ ধাতুর উপাদান অ্যালুমিনিয়াম কপার আয়রন এসব মৌলের মধ্যে catenation ক্যাটেনেশন নামক বৈশিষ্ট্যটি নেই, কেবল কারবনের মধ্যে ক্যাটেনেশন আছে যার ফলে কার্বন কার্বন জোড়া লেগে লম্বা চেইন অণু তৈরি হতে পারে যাদের সাথে উপরে বর্নীত মৌল মিলে জৈব যৌগ তৈরি হয়। প্রথমেই মগজে এটা ঢুকাতে হবে।
যারা বলে বিবর্তনবাদ মিথ্যাচার, তাদের এটা দেখা উচিত যে পৃথিবীর তাবৎ নদী ও সমুদ্রে সব জীবের যত বর্জ্য ও মৃতদেহ যায়, তা পরিবেশ অনুযায়ী ভেঙ্গে অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিনত হয় ও সে অ্যামিনো অ্যাসিড যুক্ত হয়ে সরল প্রান তথা জীবানুগুলো তৈরি হয়, যেগুলো সব মাছের খাবার হয়, আবার এসব জীবানুগুলো তাদের বিবর্তন হয়ে জটিলতর জীবানু ও প্রানিতে পরিনত হয়, যা প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তেই ঘটছে। কোন সমুদ্র ও নদীতে কতটুকু জীবানু আছে তা সে জায়গার উর্বরতা মানে কত পরিমান মাছের খাদ্য আছে, তার একটা হিসাব যেটা মেরিন বায়োলজি ল্যাবগুলোতে করতেই হয়। তাহলে এবার কি বিবর্তনবিরোধীরা এটাকেও মিথ্যা বলবে? নাকি এই সত্যপ্রচার ঠেকাতে মেরিন বায়োলজি ল্যাবগুলোতে হামলা করবে?
উল্লেখ্য যে বিবর্তন যদি না ঘটতো তাহলে বর্তমান যুগে আদি প্রান জীবানুগুলো আদৌ পাওয়া যেতোনা কারন বিবর্তনে তাদের উৎপত্তিই সবচেয়ে দ্রুতগতিতে হয়।
যারা ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তুলে যে বানর ও মানুষ প্রকৃতিতে এত আছে কেনো যদি বানর থেকে মানুষ হয়, তাদের অবগতির জন্য, বানর থেকে মানুষ হয়নি। এটা হচ্ছে বিবর্তনের বিরুদ্ধে খৃষ্টানদের তৈরিকৃত মিথ্যাচার এবং এটা মুসলমানরা চুরি করেছে তাদের জিহাদের জন্য। বানর ও মানুষ বিবর্তনীয় কাজিন এবং তাদের বিবর্তনীয় কমন পূর্বপুরুষ যে এপ ছিলো সেটা বিলুপ্ত, কেবল ফসিল আছে। আরো বড় কথা হচ্ছে মাঝপথের বহু প্রানির ফসিল তথা transitional fossil বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে বর্তমান পর্যন্ত আবিস্কার হয়েই যাচ্ছে, মানে মধ্যবর্তী ফসিল না পাওয়ার কথাটিও মিথ্যা।

No comments:

Post a Comment