Thursday, December 6, 2018

what happened in 2013

বাংলাদেশে দেশ স্বাধীন হবার আগে থেকে, সম্ভবত বৃটিশদের যুগ থেকে, একদিকে আমেরিকানপন্থি ধনতান্ত্রিক অর্থাৎ খাও দাও ফুর্তি করো স্টাইল করো ঘুরো, দুনিয়াটা মস্তবড়, অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নপন্থী কেউ খাবে কেউ খাবেনা তা হবেনা, কামানোর নামে শোষন বন্ধ করতে হবে অস্ত্রহাতে বিপ্লব করে, উৎপাদনব্যবস্থার মালিকানা গনকরন করতে হবে, এই সমাজতন্ত্রী অর্থাৎ communist দের মধ্যকার epic war চলছে, যেই epic war এর বড় অংশ আবার সাংস্কৃতিক লড়াই। একদিকে comicon, anime, foodbank, ice today, daily star shout, dhaka club এর জগতটা ও তাদের কমিউনিটির লোকরা, অন্যদিকে জয়িতা, চারুকলা, দেশি দশ, পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান ও টিএসসির শুদ্ধ বাঙালিয়ানা ও লালন চর্চা কমিউনিটির লোকরা। এই লড়াইটা ভয়ংকর হয়ে উঠে ২০১৩ এর ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগের আন্দোলনটার সময়ে, যখন রাজাকারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গ্রুপ অবরোধ শুরু করলো এবং সেই গ্রুপদের রাজাকারবিরোধি অবরোধের আড়ালে চলছিলো বাঙালি জাতীয়তাবাদের চরমত্ব চর্চার চেষ্টা, to say in easy term, elimination of all foreign elements and bolstering of শাড়ি পরে পান্তা খাওয়া on weaponized level. তখনই নাস্তিক ব্লগারদের কমিউনিটিটা বড় দুইভাগ হয়ে গেলো, একদিকে Faruq Hasan ভাইয়ের মতো পশ্চিমা আধুনিক ধরনেরা, অপরদিকে উদীচির নেত্রি সঙ্গিতা ইমাম, মারুফ রসুল, ইমরান এইচ সরকারের মতো পাঞ্জাবি শাড়ি বাঙালিয়ারা। সেই লড়াইতে হয় ওরা জিতবে আমরা লাশ হবো নয় আমরা জিতবো ওরা লাশ হবে এরকম পর্যায়ে ব্যাপারটা চলে গিয়েছিলো, bridging became impossible. ওইপক্ষতে আবার একটা ব্যাপার ছিলো যে আব্দুর রাজ্জাক, সলিমুল্লাহ খান, আহমদ শরিফ, আহমদ ছফা, হুমায়ুন আজাদ, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরি, আব্দুল্লাহ আবু সাইদ এর মতো "কিছুটা সাহিত্যিক, কিছুটা বৈজ্ঞানিক" বোদ্ধা বা intellectual রা ছিলো, তখন আমি এই ছোটলোকটা এই বড় আত্মঘাতি পরিকল্পনাটা নেই যে ২০১৩ সালের যে অ্যানিমে ও কমিকস কমিউনিটি ছিলো তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা এবং তাদের মধ্যে এরকম super intellectuals তৈরি করা যাদেরকে ব্যবহার করা হবে বাংলাদেশের মধ্যকার communistic ও nationalistic intellectual দেরকে প্রতিস্থাপন করে বাংলাদেশের বুদ্ধিস্তর বা intelligencia কে আমাদের পক্ষে নিয়ে আসা।

in the beginning

আমার বড় পরিচয় হচ্ছে আমি নাস্তিক এবং নাস্তিকতা, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস নিয়ে নিজ আগ্রহ থেকে পড়ার ও জানার চেষ্টা করতাম নাস্তিকদের ব্লগ ও ফেসবুক পোস্ট থেকে। তবে সেটা শুরু হয় ২০১০ সালে, ২০১০ এর আগে আমি আস্তিক ছিলাম ও জাকির নায়েককে খুব ভালোবাসতাম। আমি কোনো বড় পরিবারের লোক না, সাধারন মানুষের পর্যায় থেকে আগত আমি ছোট একজন মানুষ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় এভাবে চললো জীবন। ২০১০ এ নাস্তিক পুরো হবার পরে আমার জীবন বড় রকমভাবে বদলে যায়। আমি ছেোটকাল থেকে জাপানিজ কার্টুন তথা অ্যানিমে এবং ভিডিওগেম এর প্রতি কড়া আসক্ত ছিলাম কিন্তু পাপবোধ মনে লাগতো বলে একটু cringe বা বিকর্ষনবোধ অনুভব করতাম। নাস্তিক হবার পরে সে বাধাটা চলে গেলো ফলে পড়ালেখা সাথে আমার গেম ও অ্যানিমেবাজি দুর্ধর্ষভাবে চলতে থাকলো। যে নাস্তিক লেখকদের দুর্ধর্ষ লেখা পড়ে আমার পরিবর্তন হলো, জীবন জগত দর্শন উদ্দেশ্য সম্পর্কে বহু জিনিস শিখলাম যা আগে ভেবে দেখিনি, সেই নাস্তিকদের প্রতি কড়া কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে এবং আমাকে যে ধর্মীয় পরিবেশে বড় করা হয়েছে, সেই পরিবেশটা পরিবর্তন করার একটা "প্রতিশোধ স্পৃহা" থেকে আমি শুরু করলাম ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্রাযুক্তিক ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের course তথা MOOC পড়া সাথে পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিভিন্ন ব্লগ ও সাইট পড়া। আমার বেশি আগ্রহ কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক যোগাযোগব্যবস্থা তথা network এর খাতের দিকে তাই ওই জগতটা নিয়ে বেশি পড়তাম, নাস্তিকদের এসব পড়ার পাশাপাশি। ব্লগযুগের বহু নাস্তিকদের নাম মগজে আসলো ও তাদের সাহায্য করার ইচ্ছাও রইলো। এরপরে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বার মাসের দিকে কুখ্যাত নাস্তিক ব্লগসাইট মুক্তমনা ব্লগে বাংলাদেশের ঢাকাতে নাস্তিকতা ও বিজ্ঞানপ্রচারটা মাঠ পর্যায়ে করবার প্রকল্পের ঘোষনা দেখার পরে সেটাতে যোগদান করি, আমি চেষ্টা করি তাদেরকে যতটা সম্ভব সাহায্য করতে আস্তিক নাস্তিক বিতর্কগুলোতে, বিবর্তন নিয়ে বিতর্কে defend করতে genetics এর কিছু জিনিস পড়া শুরু করি, সোজা কথাতে বললে পড়ার remix, সেসময়ে আমি মননে খুব academic ঘরানার ছিলাম, চোখে চশমা গায়ে সুট বগলে ফাইল বা কম্পিউটার ওরকম academic person এর দৃশ্যে যেরকম বুঝা যায় সেরকম। তবে এর মাঝখান দিয়ে যে আরেকটা যুদ্ধ ঘটে যাচ্ছিলো, সেটা আমার অগোচরে ছিলো, যা আমি বড় রকমে দেখতে পাই ও যার শিকার হই ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে।