Wednesday, December 6, 2017

জীবনসঙ্গি প্রসঙ্গে

ইনবক্সে আগত প্রশ্ন: আমরা যারা অবিশ্বাসী আছি, আমরা কীভাবে আমাদের মত জীবনসঙ্গী পাবো? এটা একটা সমস্যা।
উত্তর বড় পোস্ট এবং এটা সেটা। নিচে পড়া শুরু করুন।
পৃথিবীতে মানবজাতির আদিযুগ থেকে সঙ্গিনির্বাচন ও বংশরক্ষা খুব ভয়ংকর একটি প্রতিযোগিতার ব্যাপার ছিলো এবং ধর্মগুলোর তৈরির পিছনে একটা বড় ফ্যাক্টর ছিলো অলীকের ভয় দেখিয়ে পরিবার ও বংশরক্ষা।
এই হিসাবে অবিশ্বাসীরা সবসময়ে পিছিয়ে ছিলো সঙ্গী নির্বাচন ও রক্ষাতে যে তাদের সঙ্গীরা ধর্মভিত্তিক নির্ভরশীলতার জায়গা থেকে
পরিবার গঠন করতো না বলে তাদের পরিবার কম টিকতো ও টিকে।

কিন্তু মিথ্যা দিয়ে বেশিকাল চলা যায়না কারন তথ্যপ্রবাহের গতির উপরে নির্ভর করে মিথ্যা ধরা খায়। যেহেতু পৃথিবীবহির্ভূত নেটওয়ার্ক বা extranet এখন নেই, পৃথিবীর ভেতরে internet দিয়ে সহজে তথ্য পরিবহন করা যায় আলোর গতিতে, তাই মানবজাতির মধ্যে মিথ্যা ছড়ানো ও ধরা, এই দুইটা এখন অনেক সহজ হওয়ায় ধর্মের মিথ্যা ধরে ফেলা যায়। ফলে ধর্ম উধাও হয়ে যাচ্ছে। তো এখন পরিবার তৈরি ও রক্ষন কি নিয়ে হবে? সেই পলিসির প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত এবং মতের পার্থক্যগত যুদ্ধ নিয়ে ঘটে ঝগড়া ও ভাংগন।
এখন তাহলে জীবনসঙ্গী কিভাবে পাবো? প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর হচ্ছে প্রায় অসম্ভব। জীবনসঙ্গী খোজা তথা ডেটিং, সেটার রেজিস্ট্রিকরন তথা বিবাহ, সংসারকরন তথা family matters এসবে নাস্তিকদের সংখ্যাগতভাবে ~৬৪% (বামপাশের ~ চিহ্নটি দিয়ে প্রায় কথাটা বুঝায়) এর বিকর্ষন আছে এবং তাদের এক বড় অংশের বিকর্ষনটা তৈরি পরিবারগত ও যৌনগত ব্যাপারে মতভেদের ফলে। একপক্ষ আধুনিক ডিস্কো গেমার টাইপ, অপরপক্ষ রাবীন্দ্রিক বা ইউরোক্ল্যাসিকাল, লেগে গেলো ফাইট। এরপরে আছে নারীবাদ অর্থাৎ feminism ব্যাপারে নারীবাদি অর্থাৎ feminist দের মধ্যকার মারামারি এই ইস্যুতে। একপক্ষ বলে প্রেম ভালোবাসা সব মিষ্টি এবং স্বাধীনতার স্মারক, আরেকপক্ষ বলে তা পুরুষতন্ত্রের চাপানো ষড়যন্ত্র।

No comments:

Post a Comment