Wednesday, January 17, 2018

পুরাতন প্রতারনা

আপনারা কে কে আছেন যাদের মনে আছে samara jamil mckinley ও mark claydon mckinley দের?
ঘটনার সূচনা ২০১৩ এর সেপ্টেম্বারের দিকে। তখন অনলাইনে ছাগু vs নাস্তিক যুদ্ধ চরম পর্যায়ে, ১৩ এর শেষ ৩ মাস, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় গিয়ে সাইজ করার তর্জন তৎকালীন জামাত ও হিজবুতের, বহুঘটনা, সে আলাদা পোস্টের বিষয়। এমনসময়ে অনলাইনে হাজির হয় এই নামের দুইজন। তারা এসেই শুরু করে ধোলাই, যে ধোলাইয়ের পারফরম্যান্স তৎকালীন mussharraf hossen shoikot, মানে তৎকালীন আমার থেকে অনেক উপরে ছিলো এবং যেকোনো লড়াইতে samara ও mark এর আগমন মানেই ছাগুদের ভয়ংকর ও নিশ্চিত পরাজয় নিশ্চিত, যেসব জায়গাতে আমি নিজে লড়তে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম, সেখানেও। দ্রুতই samara ও তার "স্বামী" mark রা তৎকালীন নাস্তিক কমিউনিটিতে জনপ্রিয় চরিত্রে পরিনত হয়, এমনকি খোদ Asif Mohiuddin তাদেরকে তার নজরে আনে। খুব আনন্দ মজা এবং যারা দেশে ছিলো, তাদের সামান্য আতংকের মধ্যে এই নিশ্চয়তা মনের ভেতরে থাকতো যে মরলেও লড়াই চালিয়ে যাবার মতো দুর্ধর্ষ সক্ষম কেউ থাকছে। এর মধ্যে সামারা একদিন পোস্ট দিলো যে সে ঢাকাতে আসবে তার বনানীর পারিবারিক আবাসে ও দেশি নাস্তিকরা আমন্ত্রিত for beers and burgers. তখন আমিসহ অনেকে এ নিয়ে উৎকন্ঠা দেখাই যে দেশে ছাগুদের বড় আস্ফালন, চাপাতি ও গ্রেনেড ঘুরছে। সামারা নিশ্চয়তা দেয় যে আমেরিকান নাগরিক ও পারিবারিক ইতিহাসবাবদ কড়া প্রটেকশনের। কিন্তু এরপরে বড় আঘাতটা পুরো নাস্তিক কমিউনিটিতে আসে যখন কিছু ধার্মিক ও নাস্তিকরা একজোট হয়ে সামারা-মার্ক দম্পতির ষড়যন্ত্র ফাস করে। মার্কের প্রফাইলে তার career এর "প্রমান" হিসাবে যত ছবি দেওয়া, সেগুলো সব মৃত এক সৈন্যের যে ইরাক যুদ্ধে মারা যায়, মার্ক ও সামারার যত দম্পতি ছবি তাদের প্রফাইলে, সবগুলো হচ্ছে raphael caders ও zuena caders নামক এক পুরো অসম্পর্কিত প্রফাইলের থেকে চুরি করে দেওয়া ছবি। এই জিনিস আমি তৎকালীন প্রফাইল দিয়ে ফাস করানোর পরে সামারা ডিএকটিভ করে, কিছুক্ষন পরে মার্ক তা করে। সে ঘটনার সাক্ষী Kodor Ali ওরফে Naraye TakbirTaimul Islam ওরফে @taim tomopaha, Joyanta K Saha (সামুব্লগের পুরাতন যোদ্ধা), Juliyas Caesar ও আরো অনেকে।
সেই সামারা ও মার্ক ২০১৬ তে ফেরত আসে নাজিয়া ইউসুফ লেভিনসন ও জন লেভিনসন নামে।
তাদের লেখাতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও রাজনীতির যে জ্ঞানের দৌড় দেখি, তা ভয়ংকর, astounding, elite amongst the elites, আমি কেবল ওরকম হতে পারার স্বপ্ন দেখি, তাদের জ্ঞান ও বুদ্ধি ও ধোলাই করার সক্ষমতার জন্য তারা বা তা (এক ব্যক্তি) আমার idol ছিলো ও এই ঘটনার পরেও আছে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, যদি পরিচয় লুকিয়ে রাখতেই হয়, কেনো এরকম প্রতারনা, কেনো এত নাটক? ভুয়া নাম দিয়ে সে নামে আটক থেকে এক নামে চালিয়ে গেলেই হয় আর যদি এক নামে চালানো সম্ভব না হয়, সাকা যেভাবে নিজে থেকে ফাস করে যে সে সৈকত, সেরকমটা কেনো করেনা নাজিয়া ওরফে সামারা?
প্রতারনার প্রমান যেসব লিংকে তা পড়ে দেখুন http://archive.is/7sldahttps://www.facebook.com/oghotonghoton/posts/502304383220804https://www.facebook.com/oghotonghoton/posts/496429903808252
উপরের পোস্টগুলোতে গিয়ে দেখুন যে samara ও mark নামে যাদের মেনশন করেছে, তাদের উপরে মাউস নিলে কার প্রফাইল আসে
http://rushokarim.blogspot.com/2014/01/blog-post.html এই পোস্টে দেখুন নাজিয়া লেভিনসনের URL মানে লিংক দেওয়া, কিন্তু নাম হলো সামারার ও মাঝপথে সামারার বদলকৃত নামের। পোস্টটি ২০১৪ সালের জানুযারিতে করা। রহস্যটা খেয়াল করুন।

No comments:

Post a Comment