Thursday, March 9, 2017

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-২

পেরা সাজিদ ২ নাম্বার চেপটারের জবাব। সবার প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ এর চেয়ে উন্নততর জবাব তৈরির।
"সাজিদ বললো,- ‘স্যার, গত শতাব্দীতেও বিজ্ঞানিরা ভাবতেন, এই মহাবিশ্ব অনন্তকাল ধরে আছে।মানে, এটার কোন শুরু নেই।তারা আরো ভাবতো, এটার কোন শেষও নাই।তাই তারা বলতো- যেহেতু এটার শুরু-শেষ কিছুই নাই, সুতরাং, এটার জন্য একটা সৃষ্টিকর্তারও দরকার নাই।
কিন্তু থার্মোডাইনামিক্সের তাপ ও গতির সূত্রগুলো আবিষ্কার হওয়ার পর এই ধারনা তো পুরোপুরিভাবে ভ্যানিশ হয়ই,সাথে পদার্থবিজ্ঞানেও ঘটে যায় একটা বিপ্লব।থার্মোডাইনামিক্সের তাপ ও গতির দ্বিতীয় সূত্র বলছে- ‘এই মহাবিশ্ব ক্রমাগত ও নিরবচ্ছিন্ন উত্তাপ অস্তিত্ব থেকে পর্যায়ক্রমে উত্তাপহীন অস্তিত্বের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে।কিন্তু এই সূত্রটাকে উল্টোথেকে প্রয়োগ কখনোই সম্ভব নয়।
অর্থাৎ, কম উত্তাপ অস্তিত্ব থেকে এটাকে বেশি উত্তাপ অস্তিত্বের দিকে নিয়ে যাওয়া আদৌ সম্ভব নয়।এই ধারনা থেকে প্রমান হয়, মহাবিশ্ব চিরন্তন নয়।এটা অনন্তকাল ধরে এভাবে নেই।এটার একটা নির্দিষ্ট শুরু আছে।থার্মোডাইনামিক্সের সূত্র আরো বলে, – এভাবে চলতে চলতে একসময় মহাবিশ্বের সকল শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে।আর মহাবিশ্ব ধ্বংস হবে।’"
হা-রিপ চুতিয়া থারমোডাইনামিকসের ভুল সংগা শিখিয়ে মুমিন তৈরি করছে। কতবড় চুতিয়া। আসল সংগা জানতে english wikipedia তে second law of thermodynamics, thermodynamics লিখে তা পড়ে দেখা উচিত। সংক্ষেপে এটা বলা যায়, গর্বের সাথে যে মহাবিশ্ব উত্তাপ থেকে নিরুত্তাপে যাওয়ার কথাটা ১০০% ভুল। আসলে হচ্ছে মহাবিশ্বের এনট্রপির বৃদ্ধি। see entropy article.
কম উত্তাপ অস্তিত্ব থেকে বেশি উত্তাপ অস্তিত্ব কথাটা একেতো ভুল তার উপরে এই ধারনা থেকে কিভাবে প্রমান হয় যে মহাবিশ্ব চিরন্তন না এবং এর আদি ছিলো, তার উত্তরও সাজিদের কাছে নেই। মিথ্যাচার হলো মুমিনের প্রান। মহাবিশ্বের সকল শক্তি নিঃশেষ হবার কথাও থারমোডাইনামিকসে নেই এবং তাও ভুয়া।
‘এর থেকে প্রমান হয়, মহাবিশ্বের একটা শুরু আছে। মহাবিশ্বের যে একটা শুরু আছে- তারও প্রমান বিজ্ঞানিরা পেয়েছে। মহাবিশ্ব সৃষ্টি তত্বের উপর এ যাবৎ যতোগুলো থিওরি বিজ্ঞানিমহলে এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, প্রমানের দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী থিওরি হলো- বিগ ব্যাং থিওরি।বিগ ব্যাং থিওরি বলছে- মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছে একটি বিস্ফোরণের ফলে।তাহলে স্যার, এটা এখন নিশ্চিত যে, মহাবিশ্বের একটি শুরু আছে।’
এক নামবার চেপটারেও এই মিথ্যাচারটা করেছিলো হা-রিপ। প্রমান নেইকে প্রমান আছে বলে চালানো এবং এবার আরো বড় ব্যাপার, বিগ ব্যাং যেখানে আসলে ঘটলো মহাবিশ্বের সম্প্রসারন, সেটাকে চালাচ্ছে সৃষ্টি হিসাবে। আর সৃষ্টির ঘটনা "যদি" ঘটে থাকে, তা আল্লায় করলো নাকি কোয়েতজলোকাতোল করলো নাকি ব্রহমা করলো নাকি ইকচুতুলহু করলো, তাও বললো না। তবে গ্রেনেড মারমু যদি কস আল্লা ছাড়া অন্য কেউ বানাইছে। big bang in wikipedia, read to know real big bang.
"সকল সৃষ্টির একটা নির্দিষ্ট শুরু আছে এবং শেষ আছে………… ধরি, এটা সমীকরণ ১।
মহাবিশ্ব একটি সৃষ্টি……….. এটা সমীকরণ ২।
এখন সমীকরণ ১ আর ২ থেকে পাই-
সকল সৃষ্টির শুরু এবং শেষ আছে।মহাবিশ্ব একটি সৃষ্টি,তাই এটারও একটা শুরু এবং শেষ আছে।
তাহলে, আমরা দেখলাম- উপরের দুটি শর্ত পরস্পর মিলে গেলো,এবং তাতে থার্মোডাইনামিক্সের তাপ ও গতির সূত্রের কোন ব্যাঘাত ঘটে নি।
– ‘হু’
– ‘আমার তৃতীয় সমীকরণ হচ্ছে- ‘স্রষ্টা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।’
তাহলে খেয়াল করুন, আমার প্রথম শর্তের সাথে কিন্তু তৃতীয় শর্ত ম্যাচ হচ্ছে না।
আমার প্রথম শর্ত ছিলো- সকল সৃষ্টির শুরু আর শেষ আছে।কিন্তু তৃতীয় শর্তে কথা বলছি স্রষ্টা নিয়ে।তিনি সৃষ্টি নন, তিনি স্রষ্টা।তাই এখানে প্রথম শর্ত খাটে না।সাথে, তাপ ও গতির সূত্রটিও এখানে আর খাটছে না।তার মানে, স্রষ্টার শুরুও নেই, শেষও নাই।অর্থাৎ, তাকে নতুন করে সৃষ্টিরও প্রয়োজন নাই।তার মানে স্রষ্টার আরেকজন স্রষ্টা থাকারও প্রয়োজন নাই। তিনি অনাদি, অনন্ত।’"
সৃষ্টির ঘটনা আদৌ ঘটেছে কিনা, তার কোনো প্রমান দাখিল করলোই না, উল্টা মিথ্যাচার ও তার উপরে মিথ্যাচার যে স্রষ্টা অনাদি অনন্ত। তবে মহাবিশ্ব ও তার উপাদান অনাদি অনন্ত হইতে পারবেনা। আমি ভাত পাবো ডিমসহ, তুমি পাবানা, কেনো পাবানা, তা প্রশ্ন করলে মাইর। মুমিন ট্যাকটিক।
"– ‘স্যার, Laws Of Causality বলবৎ হয় তখনই, যখন থেকে Time, Space এবং Matter জন্ম লাভ করে, ঠিক না? কারন, আইনষ্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটিও স্বীকার করে যে- Time জিনিসটা নিজেই Space আর Matter এর সাথে কানেক্টেড।Cause এর ধারনা তখনই আসবে, যখন Time-Space-Matter এই ব্যাপারগুলা তৈরি হবে।তাহলে, যিনিই এই Time-Space-Matter এর স্রষ্টা, তাকে কি করে আমরা Time-Space-Matter এর বাটখারাতে বসিয়ে Laws Of Causality দিয়ে বিচার করবো,স্যার? এটা তো লজিক বিরুদ্ধ, বিজ্ঞান বিরুদ্ধ।’
লোকটা চুপ করে আছে। কিছু হয়তো বলতে যাচ্ছিলো। এরমধ্যেই আবার সাজিদ বললো,- ‘স্যার, আপনি Laws Of Causality’র যে সংজ্ঞা দিয়েছেন, সেটা ভুল।’"
নিজে কজালিটির ভুল সংগা প্রচার করছে সত্য হিসাবে আর অন্যেরটাকে বলছে ভুল। মুমিনরাই বড় চুতিয়া। আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি এই পোস্টে বর্নিত কথাই বলেনি। আসল কথা হচ্ছে যে গতির সাথে সময়ের গতি কমা, স্থান কমার কথা। theory of relativity in wikipedia. আরো বড় কথা, এসবকিছুর স্রষ্টা যিনি, সেই স্রষ্টা, সৃষ্টির ঘটনার প্রমান না দিয়েই প্রশ্ন তুলছে যে যিনি স্রষ্টা তাকে বাটখাড়াতে বসানো উচিত হবে কিনা। আরে বাপু, বাটখারাতে বসানোর মালডা কই?

2 comments:

  1. https://sottokothon.wordpress.com/2016/09/05/who_created/

    ReplyDelete
    Replies
    1. থার্মোডাইনামিক্সের ২য় সূত্রটা কি জানাবে

      Delete