Thursday, March 9, 2017

প্যারাডকসিকাল সাজিদের জবাব-১

২০১৬ সালের নভেম্বার মাসে তৎকালীন প্যারাডকসিকাল সাজিদকে কচুকাটা করেছিলাম আমি একাই। সেবার হা-রিপ সব কমেন্ট ডিলিট করে ব্লক দিয়া পলায়ন করে। তখন জানতাম না যে হা-রিপ এর পেরাসাজিদ একদিন এতবড় একটা ক্যানসারে পরিনত হবে। আজকে সেসময়ের করা মন্তব্য জবাবটি পোস্টে দেওয়া হলো। এটা ১ নামবার গল্পের জবাব এবং এপর্যন্ত পেরাসাজিদের বিরুদ্ধে যত জবাব আসার চেষ্টা করেছে, তাদের প্রায় সবারটার উপরে আমার এটি, প্রতিটা জবাবের শব্দ গুগলে সার্চ দিলে সাক্ষি হাজির এবং এটা আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ, সবার প্রতি, আমার জবাবকে ছাড়িয়ে যেতে। এবার শুরু হোক পেরাডকসিকাল সাজিদকে "পেরাডক্স" দিয়েই ধরা।
১ নামবার গল্পের লিংক কমেন্টে। পোস্টে গল্পের লাইনগুলো ধরে তার জবাব।
সাজিদ গল্পে "‘উনি বলেছিলেন, পৃথিবীই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে, কিন্তু সূর্য ঘোরে না। সূর্য স্থির। কিন্তু আজকের বিজ্ঞান বলে, – নাহ, সূর্য স্থির নয়। সূর্যও নিজের কক্ষপথে অবিরাম ঘূর্ণনরত অবস্থায়।’" লাইনটাই একদম মিথ্যুক কা মিথ্যাচার হোগায়া। কোপারনিকাস বলেছিলো সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরেনা, এতটুকুই। মুমিনরা মিথ্যুক বলে মিথ্যাচার করে যে কোপারনিকাস বলেছিলো সূর্য নাকি স্থির। কতবড় মিথ্যুক ইসলামি ধার্মিকরা!!!!
"আমি বললাম,- ‘ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার ধারনা/অস্তিত্ব হচ্ছে ঠিক এর বিপরীত। দ্যাখ, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মধ্যকার এই গূঢ় পার্থক্য আছে বলেই আমাদের ধর্মগ্রন্থের শুরুতেই বিশ্বাসের কথা বলা আছে। বলা আছে- ‘এটা তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করে।’ (সূরা বাকারা,০২)।
যদি বিজ্ঞানে শেষ বা ফাইনাল কিছু থাকতো, তাহলে হয়তো ধর্মগ্রন্থের শুরুতে বিশ্বাসের বদলে বিজ্ঞানের কথাই বলা হতো। হয়তো বলা হতো,- ‘এটা তাদের জন্যই যারা বিজ্ঞানমনষ্ক।’
কিন্তু যে বিজ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, যে বিজ্ঞানের নিজের উপর নিজেরই বিশ্বাস নেই, তাকে কিভাবে অন্যরা বিশ্বাস করবে?’"
বিজ্ঞান একটা বিষয়, তথ্যের সমষ্টি। বিষয় বা তথ্যের সমষ্টি পরিবর্তন হয়, যেখানে মানুষ নিজের নামও বদলাতে পারে আর নামও তথ্য। কতবড় চুতিয়া হলে সেখানে মুমিন বলতে পারে যে তথ্য বদলায় বলে বিজ্ঞানে আস্থা রাখা যাবেনা কারন বিজ্ঞানের "নিজের উপরে বিশ্বাস নেই।" মুমিন মনে করে বিজ্ঞান একটি প্রানি। তবে ধর্মের উপরে বিশ্বাস রাখতে হবে কঠিন, তাও ৫২০০ ধর্মের মধ্যে ঐ একটাই কারন তারা সত্য। কেমনে সত্য? জিগাবি না, কতল কইরা দিমু।
"‘সৃষ্টিকর্তার পক্ষে অনেক প্রমান আছে, কিন্তু সেটা বিজ্ঞান পুরোপুরি দিতে পারেনা।এটা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, সৃষ্টিকর্তার নয়।বিজ্ঞান অনেক কিছুরই উত্তর দিতে পারেনা। লিষ্ট করতে গেলে অনেক লম্বা একটা লিষ্ট করা যাবে।’" কতবড় চুতিয়া হলে বিজ্ঞান অনেক কিছুর উত্তর দিতে পারেনা, তার সাথে "সৃষ্টিকর্তার পক্ষে অনেক প্রমান আছে" মিথ্যাচার লাইন জুড়ে দিতে পারে। মুমিনরা এই লেখা পড়ে একবারও জিজ্ঞেস করবেনা যে সেই "অনেক প্রমান"গুলো কোথায়???? কোথায়???????!!!!!!!!!!!!!!!!
"আমি হাসতে লাগলাম। বললাম,- ‘আচ্ছা শোন, বলছি। তোর প্রেমিকার নাম মিতু না?’
– ‘এইখানে প্রেমিকার ব্যাপার আসছে কেনো?’
– ‘আরে বল না আগে।’
– ‘হ্যাঁ।’
– ‘কিছু মনে করিস না। কথার কথা বলছি। ধর, আমি মিতুকে ধর্ষণ করলাম। রক্তাক্ত অবস্থায় মিতু তার বেডে পড়ে আছে। আরো ধর, তুই কোনভাবে ব্যাপারটা জেনে গেছিস।’
– ‘হু।’
– ‘এখন বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা কর দেখি, মিতুকে ধর্ষণ করায় কেনো আমার শাস্তি হওয়া দরকার?’
সাজিদ বললো,- ‘ক্রিটিক্যাল কোয়েশ্চান। এটাকে বিজ্ঞান দিয়ে কিভাবে ব্যাখ্যা করবো?’
– ‘হা হা হা। আগেই বলেছি। এমন অনেক ব্যাপার আছে, যার উত্তর বিজ্ঞানে নেই।’
– ‘কিন্তু এর সাথে স্রষ্টায় বিশ্বাসের সম্পর্ক কি?’
– ‘সম্পর্ক আছে। স্রষ্টায় বিশ্বাসটাও এমন একটা বিষয়, যেটা আমরা, মানে মানুষেরা, আমাদের ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য প্রমানাদি দিয়ে প্রমান করতে পারবো না। স্রষ্টা কোন টেলিষ্কোপে ধরা পড়েন না।উনাকে অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়েও খুঁজে বের করা যায়না। উনাকে জাষ্ট ‘বিশ্বাস করে নিতে হয়।’"
হা-রিপ চুতিয়াটি এখন moral absolutism নামক একটি bullshit এবং false equivalence ফ্যালাসি টেনে এনেছে এখানে। দুইটা ব্যাপার যাদের মধ্যে সম্পর্ক নেই, তাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে বলে প্রচার যাকে বলে। আর চুতিয়াটি বলতে অক্ষম যে কেনো "জাস্ট বিশ্বাস করে নিতে হয়।" কেনো ৫২০০ টি ধর্মের মধ্যে মহাম্মকের পাঠানো হাওয়ার পুতদের জঙ্গিধর্ম ইসলামকেই মানতে হবে এবং ডিসি কমিকসের ফ্ল্যাশপয়েন্ট ২০১১ তে বিশ্বাস আনা যাবেনা।
"‘আচ্ছা, তোর বাবা-মা’র মিলনেই যে তোর জন্ম হয়েছে, সেটা তুই দেখেছিলি? বা,এই মূহুর্তে কোন এভিডেন্স আছে তোর কাছে? হতে পারে তোর মা তোর বাবা ছাড়া অন্য কারো সাথে দৈহিক সম্পর্ক করেছে তোর জন্মের আগে। হতে পারে, তুই অই ব্যক্তিরই জৈব ক্রিয়ার ফল।তুই এটা দেখিস নি।
কিন্তু কোনদিনও কি তোর মা’কে এটা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলি? করিস নি। সেই ছোটবেলা থেকে যাকে বাবা হিসেবে দেখে আসছিস, এখনো তাকে বাবা ডাকছিস। যাকে ভাই হিসেবে জেনে আসছিস, তাকে ভাই।বোনকে বোন।
তুই না দেখেই এসবে বিশ্বাস করিস না? কোনদিন জানতে চেয়েছিস তুই এখন যাকে বাবা ডাকছিস, তুই আসলেই তার ঔরসজাত কিনা? জানতে চাস নি। বিশ্বাস করে গেছিস।এখনো করছিস। ভবিষ্যতেও করবি। স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসটাও ঠিক এমনই রে।এটাকে প্রশ্ন করা যায়না। সন্দেহ করা যায়না। এটাকে হৃদয়ের গভীরে ধারন করতে হয়। এটার নামই বিশ্বাস।’

সাজিদ উঠে বাইরে চলে গেলো। ভাবলাম, সে আমার কথায় কষ্ট পেয়েছে হয়তো।
পরেরদিন ভোরে আমি যখন ফজরের নামাজের জন্য অযূ করতে যাবো, দেখলাম, আমার পাশে সাজিদ এসে দাঁড়িয়েছে।আমি তার মুখের দিকে তাকালাম।সে আমার চাহনির প্রশ্নটা বুঝতে পেরেছে। সে বললো,- ‘নামাজ পড়তে উঠেছি।’"
চুতিয়ার উপরে চুতিয়া। বাংলা সিনেমার কল্যানে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ "জন্মের পর যাকে বাপ বলে জানা, একদিন তাকে পালক বাপ হিসাবে আবিষ্কার করা, তারপরে বাজনার তালে আসল বাপকে "বাবাআআআআ" চিতকার দিতে দিতে খুজা" দেখতে দেখতে মগজ এমনই পচালো যে এটাও বুঝতে অক্ষম যে জন্মের পরে যাকে বাবা মা হিসাবে চিনা, তারা যে পালক হতে পারে এবং বাস্তবে অহরহ হচ্ছে, সেটা এড়িয়ে গেলো, যেনো বাস্তব জগতে তা ঘটেই না। শেষ লাইনে হা-রিপ তার কল্পনার ঘটনা যা তৈরি করলো, বাস্তব জগত হলে যা হতো
"সাজিদ এরপর আর হলে আসেনি। সে তার বাপ মার কাছে গিয়ে ডিএনএ টেস্ট এর মাধ্যমে চেক করতে যায় যে তারা তার আসল নাকি পালক।"

2 comments:

  1. https://sottokothon.wordpress.com/2016/09/05/disbelievers-faith/

    ReplyDelete
  2. ভাই পাগলামির একটা লিমিট থাকে প্রথম গ্লপে তিনি কোনো বিজ্ঞানের কথা বলেন নি

    ReplyDelete